আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশে যোগদানকারী আলোচিত ব্রিটিশ গায়িকা সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ নারী স্যালী জোনস ওরফে ‘দ্যা হোয়াইট উইডো’ ২০১৩ সালে নিজের শিশু ছেলেকে নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় তার নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা ব্রিটিশ দৈনিক ‘সান’কে জানিয়েছেন, গত জুন মাসে ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন জোনস। ঐ সূত্র আরো জানিয়েছে, রাকা থেকে পলায়নের চেষ্টাকালে স্যালীকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। সম্ভবত তার ১২ বছরের ছেলেও ঐ হামলায় তার সাথে নিহত হয়েছে। সান আরও লিখেছে, ঐ নারী অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার ছেলেকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন।
পত্রিকাটির সংযোজন, দায়েশি যুবকদের প্রতারণার শিকার হয়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো ইউরোপীয় নারীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন স্যালী জোনস। মূলতঃ তিনি তার পূর্বপরিচয়ের কারণেই আলোচনায় আসেন।
জোনস ছিলেন একজন রক সিঙ্গার। তিনি সিরিয়া সফর ও দায়েশি এক যুবকের সাথে বিয়ে করার পর তার পূর্ববর্তী পরিচয়ের কারণে তিনি আলোচিত হন। গণমাধ্যমে ‘দ্যা হোয়াইট উইডো’ বা ‘শ্বেত বিধবা’ নামেও অনেকে চেনে তাকে। তিনি তার টুইটার পেইজে নেকাব পরা ছবি আপলোড করে হুমকি মূলক নানান বার্তা পোস্ট করতেন।
স্যালী জোনস (৫০) ছিলেন ব্রিটিশ সন্ত্রাসীদের মধ্য থেকে সবচেয়ে আলোচিত সন্ত্রাসী। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েব সাইটগুলোর মাধ্যমে রমজান মাসে তিনি ব্রিটেনে হামলা চালানোর জন্য গ্লাসগো, লন্ডন ও কার্ডিফের নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন।#
ব্রিটিশ নারী স্যালী জোনস ওরফে ‘দ্যা হোয়াইট উইডো’ ২০১৩ সালে নিজের শিশু ছেলেকে নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় তার নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।