মদীনা থেকে কারবালা : ইমাম হুসাইন (আ.)-এর স্লোগান
সাইয়্যেদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনা মুনাওয়ারাহ্ থেকে মক্কা মু‘আযযামায় ও সেখান থেকে কুফার পথে কারবালায় পৌঁছা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এবং আশুরার দিনে কারবালার রণাঙ্গনে যে সব ভাষণ দেন ও বক্তব্য রাখেন সে সবের মধ্যে এমন কতকগুলো কথা আছে যা খুবই প্রভাববিস্তারকারী এবং সে সবে জিহাদ ও আত্মমর্যাদার জন্য প্রেরণা সৃষ্টিকারী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর এ কথাগুলো ভাষণের অংশই হোক,বা কথোপকথনের অংশ বা স্লোগান হোক,নির্বিশেষে এগুলো এক ধরনের স্লোগানের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এ সব স্লোগান থেকে হুসাইনী লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং আশুরা-কেন্দ্রিক চিন্তাধারা ও চেতনার সন্ধান পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁর ভাষণ ও কথার এ অংশগুলোকে আশুরা আন্দোলনের স্লোগান বলে গণ্য করা চলে। এ স্লোগানগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটি নিম্নে উদ্ধৃত করা হল :১
১. ‘উম্মাহ্ যখন ইয়াযীদের ন্যায় শাসকের কবলে পড়েছে তখন ইসলামকে বিদায়!’২
হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনায় মারওয়ান ইবনে হাকামের কথার জবাবে এ কথা বলেন।
২. ‘আল্লাহর শপথ,এমনকি আমার যদি কোন আশ্রয়স্থলও না থাকত,তথাপি আমি ইয়াযীদের পক্ষে বাই‘আত হতাম না।’৩
ইমাম হুসাইন তাঁর ভাই মুহাম্মাদ আল্-হানাফীয়ার কথার জবাবে এ কথা বলেন।
৩. ‘অবশ্যই আমি মৃত্যুকে সৌভাগ্য এবং যালেমদের সাথে বেঁচে থাকাকে দুর্ভাগ্য ব্যতীত অন্য কিছু মনে করি না।’৪
ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালায় তাঁর সঙ্গীসাথীদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
৪. ‘মানুষ হচ্ছে দুনিয়ার দাস,আর দীন তাদের কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যাতে তারা পার্থিব জীবনের সুবিধাদি দেখতে পায় যা তাদের ঘিরে রেখেছে। অতঃপর তারা যখন বিপদে নিপতিত হয় তখন খুব কম লোকই তা (সে বিপদকে) জয় করতে পারে।’৫
ইমাম হুসাইন কারবালায় যাওয়ার পথে যি হিসাম্ নামক স্থানে এ কথা বলেন।
৫. ‘তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না যে,সত্যের ভিত্তিতে কাজ করা হয় না এবং বাতিল থেকে বিরত থাকা হচ্ছে না? অতএব,(এহেন পরিস্থিতিতে) যথার্থভাবেই মু’মিনের উচিত তার রবের সাথে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহী হওয়া।’৬
ইমাম কারবালায় স্বীয় সঙ্গী-সাথীদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
৬. ‘আদম-সন্তানদের গলায় মৃত্যুর দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে (অবধারিত করে দেওয়া হয়েছে) যেভাবে যুবতীদের গলায় হারের দাগ কেটে থাকে।’৭
ইমাম হুসাইন মক্কা ত্যাগের প্রাক্কালে তাঁর কাছে সমবেত তাঁর কতক বন্ধুবান্ধব,পরিবারের সদস্য,সঙ্গীসাথী,অনুসারী ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
৭. ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কৃত হারামকে হালালকারী,তাঁর (আল্লাহর গৃহীত) অঙ্গীকার ভঙ্গকারী ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাতের বিরোধিতাকারী কোন নিপীড়ক শাসককে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে পাপাচার ও দুর্বত্তপনা করতে দেখে,সে যদি তার কাজ বা কথার মাধ্যমে তাকে প্রতিহত না করে,তাহলে আল্লাহর জন্য দায়িত্ব হয়ে যায় যে,তাকে (প্রতিহতকরণে বিরত ব্যক্তিকে) তার (নিপীড়ক শাসকের) প্রবেশদ্বার দিয়ে (জাহান্নামে) প্রবেশ করাবেন।’৮
কুফার পথে অবস্থিত বাইযাহ্ নামক মনযিলে হুর বিন ইয়াযীদের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ইমাম এ কথা বলেন।
৮. ‘ঐ ব্যক্তি ছাড়া কেউ সত্যিকারের ইমাম হতে পারে না যে (আল্লাহর) কিতাব অনুযায়ী আমল করে,ন্যায়সঙ্গতভাবে (কর) গ্রহণ করে,সত্যের ভিত্তিতে (সুদমুক্ত) ঋণ প্রদান করে এবং আল্লাহর সত্তার কাছে স্বীয় প্রবৃত্তিকে বন্দী করে রাখে।’৯
ইমাম হুসাইন কুফাবাসীর দাওয়াতের জবাবে সত্যিকারের ইসলামী নেতা ও শাসকের গুণাবলি বর্ণনা করে মুসলিম ইবনে ‘আক্বীলের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রেরিত পত্রে এ কথা বলেন।
৯. ‘অচিরেই গত হব;কিবা লাজ মৃত্যুতে যুবকের
লক্ষ্য যবে সত্য,আর লড়ে যবে মুসলিম রূপে।’১০
এটি একজন কবির কবিতার উদ্ধৃতি। ইমাম কুফার পথে হুর বিন ইয়াযীদের হুমকির জবাবে এটি আবৃত্তি করেন।
১০. ‘আল্লাহর সন্তুষ্টিতেই আমাদের আহলে বাইতের সন্তুষ্টি;আমরা তাঁর পক্ষ থেকে আগত পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণ করব এবং তিনি অবশ্যই আমাদের তাঁর নেক বান্দাদের জন্য প্রতিশ্রুত পুরস্কার প্রদান করবেন।’১১
ইমাম হুসাইন মক্কা থেকে বহির্গত হওয়ার প্রাক্কালে স্বীয় সঙ্গী-সাথী ও স্বজনদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
১১. ‘অবশ্যই আমি কেবল আমার নানার উম্মাতের সংশোধনের উদ্দেশ্যে বহির্গত হয়েছি।’১২
ইমাম মদীনা ত্যাগের প্রাক্কালে তাঁর ভাই মুহাম্মাদ বিন আল্-হানাফিয়ার উদ্দেশে লিখিত অসিয়তনামায় এ কথা বলেন।
১২.‘তোমাদের হাতে দেব না’ক কভু লাঞ্ছিতের হাত
করব না কভু জেন দাসের অঙ্গীকার/
পালিয়ে যাব না কভু ক্রীতদাস সম।”১৩
আশুরার দিনে দুশমন-বাহিনীর সামনে প্রদত্ত ভাষণে তাদের পক্ষ থেকে বাই‘আত-দাবির জবাবে ইমাম হুসাইন এ কথা বলেন।
১৩. ‘দূর হোক লাঞ্ছনা আমাদের থেকে;আল্লাহ্,তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণ এটা আমাদের জন্য অপছন্দ করেন।’১৪
দুশমন পক্ষ ইমাম হুসাইনকে আত্মসমর্পণ বা নিহত হওয়া-এ দু’টির যে কোন একটি বেছে নিতে বললে এবং তৃতীয় কোন পথ খোলা না থাকায় তিনি আশুরার দিনে দুশমনদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
১৪. ‘মৃত্যু ছাড়া আর কী হবে? অতএব,তাকে স্বাগতম!’১৫
ইমামকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লেখা ওমর বিন সা‘দের পত্রের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১৫. ‘মহানুভবতার ভিত্তি হচ্ছে ধৈর্য;আর মৃত্যু দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতির ওপর দিয়ে পার হয়ে সুবিস্তৃত ও চিরস্থায়ী নেআমতে পরিপূর্ণ বেহেশতে উপনীত হওয়ার পুল ছাড়া অন্য কিছু নয়।’১৬
ইমাম হুসাইনের কয়েক জন সঙ্গীর শাহাদাতের পর আশুরার দিন সকালে আত্মোৎসর্গী অন্যান্য সঙ্গীসাথীর উদ্দেশ প্রদত্ত ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। .
১৬. ‘লাঞ্ছনার জীবনের চেয়ে সম্মান সহকারে মৃত্যুই শ্রেয়।’১৭
১৭. ‘তোমাদের কোন দীন নেই এবং তোমরা পরকালকে ভয় করছ না,সুতরাং তোমরা তোমাদের দীনের ব্যাপারে স্বাধীন হয়ে যাও।’১৮
ইমামের শাহাদাতের পূর্বে ইয়াযীদী বাহিনী তাঁর পক্ষের নারীদের তাঁবুতে হামলা চালালে তিনি তাদের সম্বোধন করে এ কথা বলেন।
১৮. ‘(রাসূলুলাহর) পবিত্র বংশধরকে সাহায্য করবে এমন কোন সাহায্যকারী আছে কি?’১৯
অসুস্থ ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) ছাড়া ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সকল পুরুষ সঙ্গী ও আত্মীয় শহীদ হলে ইমাম এ আহ্বান জানান।
১৯. ‘এমন কোন বিগলিতপ্রাণ আছে কি যে রাসূলের হারামের জন্য বিগলিত হবে?’২০
ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) ছাড়া হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সকল পুরুষ সঙ্গী ও আত্মীয় শহীদ হলে ইমাম এ আহ্বান জানান।
২০. ‘আমি একগুঁয়েমির বশবর্তী হয়ে বা পার্থিব আরাম-আয়েশের জন্য বা বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে অথবা যুলুম-অত্যাচারের উদ্দেশ্যে বহির্গত হইনি;বরং আমি আমার নানার উম্মাতের সংশোধনের চেষ্টা চালানোর উদ্দেশ্যে বহির্গত হয়েছি;আমি ভাল কাজের আদেশ দান ও মন্দ কাজ প্রতিহত করতে এবং আমার নানার ও আমার পিতা আলী বিন আবি তালিবের জীবনাচরণের অনুসরণ করতে চাই।’২১
আশুরার স্লোগানের শিক্ষা
উপযুক্ত নূরানী ও বীরত্বব্যঞ্জক বাক্যগুলো সাইয়্যেদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আন্দোলনের স্লোগান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ বাক্যগুলো পর্যালোচনা করলে নিম্নোক্ত তথ্য ও শিক্ষাসমূহ পাওয়া যায় :
১. ইয়াযীদী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী কোন শাসক শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা ইসলামের ধ্বংসের নামান্তর।
২.ইয়াযীদের ন্যায় যে কোন লোকের অনুকূলে বাই‘আত হওয়া হারাম।
৩.লাঞ্ছনার জীবনের তুলনায় শহীদী মৃত্যু অধিকতর মর্যাদার।
৪.ঈমানের কঠিন পরীক্ষার মোকাবিলায় টিকে থাকে এমন প্রকৃত মুসলমানের সংখ্যা খুবই কম।
৫.বাতিল শক্তি ক্ষমতাসীন থাকার যুগে শাহাদাতকামী লোকদের উপস্থিতি অপরিহার্য।
৬.মানুষের জন্য শাহাদাত হচ্ছে অলঙ্করণস্বরূপ।
৭.শক্তিমদমত্ত ও খোদাদ্রোহী দুর্বৃত্ত শক্তির আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা অপরিহার্য।
৮.কুরআন অনুযায়ী চলা ও ন্যায়বিচার ইসলামী নেতৃত্বের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।
৯.আল্লাহ্ তা‘আলার ইচ্ছার সামনে আত্মসমর্পণ ও সন্তুষ্ট থাকা অপরিহার্য।
১০. সত্যকামী আন্দোলনে শাহাদাতকামীদের সাথে থাকা অপরিহার্য।
১১. স্বাধীনচেতা ও মু’মিন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য লাঞ্ছনার সামনে মাথা পেতে দেওয়া হারাম। ১২. মৃত্যু হচ্ছে নেআমতে পরিপূর্ণ বেহেশ্তে পৌঁছার পুল স্বরূপ।
১৩. স্বাধীনচেতা হওয়া ও মহানুভবতা ঈমানদারদের বিশেষ গুণ।
১৪. সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সব সময়ই ও সকলের কাছেই সাহায্য চাওয়া প্রয়োজন।
বস্তুত আশুরা তথা সাইয়্যেদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের ঘটনার স্মৃতি যে হাজার বছরেরও বেশিকাল যাবৎ অমর হয়ে আছে তা তাঁর বাণীতে প্রতিফলিত এসব মহান ও সমুন্নত শিক্ষার কারণেই। এ কারণেই যুগে যুগে যুলুম- নির্যাতন ও নিপীড়নবিরোধী এবং স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনসমূহ কারবালার ঘটনা থেকে শিক্ষা ও প্রেরণা গ্রহণ করেছে। কবির ভাষায় :
বিশ্বে দিল শিক্ষা আযাদীর হুসাইনের আচরণ
হুসাইনী চিন্তায় হিম্মত-বীজে ভরে গেল এ ভূবন
না যদি থাকে ধর্ম তোমার,স্বাধীন হয়ে বাঁচ তবু
এ অমূল্য বাণী মনে রেখ,হুসাইনের এ কথন
লাঞ্ছিত জীবন নয়,মর্যাদা নিয়ে মৃত্যুবরণও ভাল
হুসাইনী ভাণ্ডারে বহু পাবে তুমি মণিমুক্তা এমন।২২
তথ্যসূত্র:
১.ইমাম হুসাইন (আ.)-এর নিম্নোক্ত স্লোগানমূলক কথাগুলো সরাসরি আরবি থেকে অনূদিত হয়েছে।- অনুবাদক
২.মাওসূ‘আতু কালামাতিল্ ইমাম আল্-হুসাইন,পৃ. ২৮৪
৩.বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ৩২৯;আ‘য়ানুশ্ শি‘আহ্,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৮৮
৪. বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ৩৮১ ৩৮.
৫.তুহাফুল ‘উকূল,জামে‘আহ্ মুর্দারেসীন কর্তৃক প্রকাশিত সংস্করণ,পৃ. ২৪৫;বিহারুল আনওয়ার,৭৫তম খণ্ড,পৃ. ১১৭
৬. মানাক্বিব : ইবনে শাহর আশূব,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ৬৮
৭.আল্-লহূফ্,পৃ. ৫৩;বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ৩৬৬
৮.ওয়াক্ব‘আতু আল্তাফ্,পৃ. ১৭২;মাওসূ‘আতু কালামাতিল ইমাম আল্-হুসাইন,পৃ. ৩৬১ ৯.বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ৩৩৪
১০.প্রাগুক্ত,পৃ. ৩৭৮
১১.বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ৩৬৬;আ‘ইআনুশ শিআ‘হ,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৩৯
১২.মানাক্বিব্ : ইবনে শাহ্র্ আশূব্,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ৮৯
১৩.মাক্বতালুল্ হুসাইন : মুক্বরিম্,পৃ. ২৮০। [দ্বিতীয় পঙ্ক্তিটির দু’টি পাঠ রয়েছে;এখানে দু’টিই উদ্ধৃত হয়েছে।]
১৪.নাফাসুল্ মাহমুম্,পৃ. ১৩১;মাক্বতাল : খারাযমী,২য় খণ্ড,পৃ. ৭
১৫.মাওসূ‘আতু কালামাতিল্ ইমাম আল্-হুসাইন,পৃ. ৩৮২
১৬.নাফাসুল্ মাহমুম্,পৃ. ১৩১;মা‘আনিল্ আখবার,পৃ. ২৮৮
১৭.বিহারুল আনওয়ার,৪৪তম খণ্ড,পৃ. ১৯২
১৮.প্রাগুক্ত,৪৫তম খণ্ড,পৃ. ৫১
১৯.যুররিয়্যাতুন্ নাজাহ্,পৃ. ১২৯
২০.বিহারুল আনওয়ার,৪৫তম খণ্ড,পৃ. ৪৬
২১.মাক্বতাল্ : খারাযমী,১ম খণ্ড,পৃ. ১৮৮
২২.হুসাইন পিশ্ভয়ে এন্সান্হা,পৃ. ৭০। [কবিতাটি ফাযলুল্লাহ্ সালাওয়াতী কর্তৃক রচিত।]
(সূত্র: প্রত্যাশা, বর্ষ ১,সংখ্যা ৩)