মানুষ এজন্যেই মানুষ যে তার বিচার-বিবেচনাশক্তি আছে। আবেগ আছে, উপলব্ধি আছে, দয়া-মায়া, আনন্দ-বেদনা আর সহানুভূতিবোধ আছে। তাই মানুষ হাসে আবার কাঁদে। কখনো রাগ করে, কখনো করে অভিমান। এইসব অভিব্যক্তি মানুষের সুস্থতার অনুভূতিকেই প্রকাশ করে। কারো মাথায় যদি বিশ কেজি ওজনের একটা পাথর পড়ে আর ঐ ব্যক্তিটি যদি কিছুই হয় নি এরকম একটা ভাব করে আগের মতোই স্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে তার সুস্থতার ব্যাপারে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে পারে। একইভাবে ধরা যাক আপনার কোনো প্রিয়বস্তু যা অনেক দাম দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছিলেন তা যদি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, তাহলে আপনি কি হাসবেন ! যদি হাসেন তাহলে আপনি অবশ্যই সুস্থ নন। আর যদি কে ভাঙলো, কীভাবে ভাঙলো ইত্যাদি বলে মনের কষ্টটা লাঘব করার চেষ্টা করেন-তাহলে আপনার বোধশক্তি আছে একথাই প্রমাণিত হবে। মানুষের কাছে সবচে প্রিয় হলো তার পরিজন। আপনার শিশুটি-যে আপনাকে বাবা বাবা বলে ঘর তোলপাড় করে তোলে, আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফেরার সাথে সাথে যে আপনাকে জিজ্ঞেস করে আমার জন্যে কী এনেছো ! আর আপনি তার হাতে ছোট্ট একটি লজেন্স ধরিয়ে দিলেই সারামুখে পূর্ণিমার আলোর মতো স্নিগ্ধ হাসি হেসে খুশিতে চিৎকার করতে করতে প্রজাপতির মতো ঘরময় দৌড়ে বেড়ায়। আপনি তাকে তার নাম ধরে ডাক দিলেই সে এক দৌড়ে আপনার কোলের ভেতর ঢুকে পড়ে আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনি একদিন লজেন্স নিয়ে ঘরে ফিরে এসে আপনার এই শিশুটিকে তার নাম ধরে ডাক দেওয়ার পর সে যদি আপনার কোলে ওঠার জন্যে দৌড়ে না আসে, যদি শোনেন সেই শিশুটি আর কোনোদিন একগাল হাসি হেসে ঘরময় ঘুরে বেড়াবে না, চিরদিনের জন্যে তার হাসি মিলিয়ে গেছে মাটির নীচে অন্ধকার রহস্যময় অন্য পৃথিবীতে। তখন কি আগেকার মতোই স্বাভাবিক থাকবেন ! যদি থাকেন , তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান আপনাকে হাসপাতালে পাঠাতে বলবে। কারণ আপনি সুস্থ নন। কেননা ; প্রিয়জনকে হারিয়ে কেউ স্বাভাবিক থাকতে পারে না। প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় সুস্থ মানুষমাত্রই ভেঙ্গে পড়বে, কান্নাকাটি করবে , আহাজারি করবে। প্রিয়জনের প্রিয় মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করে করে বিলাপ করবে। স্বয়ং রাসূলে কারিম ( সা. )
এভাবে প্রিয়জনের বিয়োগ-ব্যথায় কেঁদেছেন। তাঁর কান্নার ধ্বনি যাঁদের কানে গেছে, তাঁরাও অকপটে রাসূলের সাথে কেঁদেছেন। মনোসাম্য বলে একটি তত্ত্ব আছে। এই তত্ত্বের মাধ্যমে মনোবিজ্ঞানীরা একজনের মনের সাথে আরেকজনের মনের মিল খুঁজে পান। আজকের পৃথিবীতে প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই খুব সহজে বুঝতে পারি। যা আগে সহজে বোঝা যেত না। ধরুন আপনি কোনো ছায়াছবি দেখছেন। ঐ ছবিতে আপনি আপনার মনের অজান্তেই কোনো না কোনো একটি চরিত্রের সাথে নিজেকে মিলিয়ে ফেলবেন। মুখে এই কথাটি স্বীকার না করলেও যখন অপনার ঐ প্রিয় চরিত্রটির কষ্ট দেখে অবলীলায় আপনি কেঁদে ফেলবেন, তখন তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। অথচ যার জন্যে আপনি কাঁদলেন, সে কিন্তু বাস্তবের কেউ না। কিন্তু আপনি যদি ইসলামের ইতিহাসের এরকম কোনো বিখ্যাত চরিত্রকে ভালোবাসেন, যার সাথে আপনি আপনার অন্তরের মিল বা প্রেম রয়েছে বলে ভাবেন। তাহলে তার করুণ অবস্থার কাহিনী শুনে আপনি চুপ করে বসে থাকবেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। মনোসাম্যের কারণেই এরকমটি হয়।
রাসূল (সা.) একবার তাঁর এক সন্তানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সাদ ইবনে উবাদাহ, মায়ায ইবনে জাবাল, উবাই ইবনে কাব, যাইদ ইবনে ছাবিত এবং আরও কয়েকজন সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বাসায় গেলেন এবং শিশুটিকে কোলে নিয়ে অঝোরে কাঁদলেন। সাদ বিন উবায়দাহ রাসূলকে কাঁদতে দেখে অবাক হয়ে বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি কাঁদছেন কেন ? রাসূল (সা.) উত্তরে বললেন, আল্লাহ তাঁর বান্দার অন্তরে শিশু সন্তানের প্রতি ভালবাসার রহমত দান করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর এরূপ দয়াশীল বান্দার প্রতি রহমত বর্ষন করেন। এরকম কান্নার কিংবা কান্নাকাটিতে উৎসাহিত করার আরো বহু প্রমাণ রয়েছে রাসূলের জীবনেতিহাসে।
আমরা একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করছি। ঘটনাটি হলো, ওহুদের যুদ্ধের পর রাসূল (সা.) যখন মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন আনসার নারীগণ তখন তাদের শহীদদের জন্য ক্রন্দন করছিলেন। রাসূল (সা.) নারীদের আহাজারী শুনে তাঁর চাচা হযরত হামযার (রা.) শাহাদাতের কথা স্মরণ করে বললেন, কিন্তু আফসোস! আমার চাচা হযরত হামযার (রা.) জন্য কোন ক্রন্দনকারী নেই। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) সামান্য বিশ্রাম নেওয়ার পর শুনতে পেলেন আনসার নারীগণ হযরত হামযার (রা.) জন্য ক্রন্দন করছেন। মুতার যুদ্ধে হযরত জাফর ইবনে আবু তালিব শহীদ হলে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হযরত জাফর ইবনে আবু তালিবের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন । তার বাসা থেকে ফিরে আসার সময় রাসূল (সা) জাফর ইবনে আবু তালিবের মত ব্যক্তির জন্য শোকানুষ্ঠান করার আদেশ দিয়ে আসেন। এভাবে অসংখ্য হাদীস এবং ঘটনা পাওয়া যাবে যেখানে রাসূল (সা.) মৃত ব্যক্তির জন্যে কান্নাকাটি করেছেন। হযরত আব্দুল মুত্তালিব, আবু তালিব, মা আমেনা, পুত্র ইব্রাহিম, ফাতেমা বিনতে আসাদ, হযরত হামযাহসহ অনেক সাহাবীর জন্যেও কান্নাকাটি করেছেন তিনি। আসলে যার অন্তর আছে, প্রিয়জনের বিয়োগ-ব্যথায় তার অন্তর কাঁদবেই-এটা মানব প্রকৃতির একটা স্বাভাবিক প্রবণতা।
ইমাম হোসাইন (আ.) বেহেশতে যুবকদের নেতা, একথা মাযহাব নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন। তাঁর শাহাদাতের ঘটনায় যে-কোনো সংবেদনশীল মানুষ শিহরিত হবেন। এতো করুণভাবে তাঁকে শহীদ করা হয়েছে, যা বলতেও ঠোঁটে কম্পন সৃষ্টি হয়। কেন তিনি শহীদ হলেন, একথা ইতিহাস সচেতন সবারই জানা। ইসলাম যখন ধীরে ধীরে বিকৃতির দিকে যাচ্ছিলো, যখন কেউ কেউ ইসলামের নামে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছিল, তখন সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ-এর আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। তাঁর শাহাদাতই আজ পর্যন্ত ইসলামকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। অনৈসলামী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে নিজের জীবনকে পার্থিব কোনো স্বার্থে নয় বরং একমাত্র আল্লাহর জন্যেই বিলিয়ে দিতে। আজো তাই বিশ্বব্যাপি মুসলমানরা বিশ্বাস করে, শাহাদাতের রক্তের ওপরেই ইসলাম প্রাণময়তা পায়। এই সত্য কষ্টিপাথরে যাচাইকৃত নিখুঁত বাস্তব। আজো রাসূল ( সা ) এর জীবন বাস্তবতার আলোকে ইসলামপ্রিয় মুসলমানরা তাদের প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় কাঁদে। বলাবাহুল্য যাঁরা রাসূলকে ভালোবাসেন, তাঁরা ইমাম হোসাইনসহ নবীবংশের সকল শহীদকেও ভালোবাসবেন-এটাই স্বাভাবিক। আর তাঁদেরকে ভালোবাসলে অবশ্যই তাঁদের বিরহেও কষ্ট পাবেন। এই কষ্ট থেকেই বিশ্বের মুসলমানরা তাঁদের অন্যান্য প্রিয়জনের মতো ইমাম হোসাইনের শাহাদাতকে স্মরণ করেও কাঁদেন। যুগে যুগে বিশ্বব্যাপী এই কান্না বা মাতমের একটা ধারা চলে আসছে।
আমরা এবারে দেখবো বিশ্বের কোথায় কীভাবে এই মাতম বা কান্নাকাটি করা হয়। এই মাতমগুলো যেহেতু বিভিন্ন ভাষায় এবং অ-বাংলায় , তাই আমরা এগুলোকে আপনাদের বোঝার স্বার্থে অনুবাদ করে দিচ্ছি। প্রথমেই পাকিস্তানী মাতমের নমুনা।
হোসাইন, হোসাইন, হোসাইন !
হোসাইন, হোসাইন, হোসাইন !
সমগ্র বিশ্বে আজ মাতম,
হোসেইন হচ্ছেন একাকী বন্ধুহীন
শহীদের সম্মানে উড়ছে পতাকা প্রতি ঘরে,
অন্তরে কষ্ট সীমাহীন
কালো কাপড় কালো চাদরে
মাথায় নিয়ে দুঃখের ধূল
মাতমকারীদের চোখ অশ্রু সজল,
দ্বিতীয় যাহরা যেয়নাব প্রতিবাদী
আর চারদিকে শুধু কান্নার রোল
নেই কুর্ণিশ, হতবাক সব,
হোসেনের জুলজুনাহ সওয়ারীহীন
মওলা আলীর সওয়ার দুলদুল
কারবালার মাটিতে সাথীবিহীন
দেখ পানিশূন্য সাকিনার মশক
হে মুমিন ! এ বলেই তুমি কাঁদো যে-
চাচা-ভাতিজীর কি নিবীড় টান,
আব্বাসের ভূমিকা কতো মহৎ সে।
হোসাইন, হোসাইন , হোসাইন !
হোসাইন, হোসাইন, হোসাইন !
রেওয়ায়েতে আছে "যে কান্না করবে অথবা কাঁদাবে কিংবা কান্নার চেষ্টা করবে তাঁর পুরস্কার জান্নাত ।" এখন কথা হলো আমরা যে কাঁদবো , তা কি শহীদদের জন্যে খুব প্রয়োজনীয় ? মোটেই না। বরং কান্নাকাটি আমরা আমাদের স্বার্থেই করবো। এতে শহীদদের কোনো স্বার্থ নেই। আমরা পারলৌকিক স্বার্থেই কান্নাকাটি করবো। তবে ইহলৌকিক স্বার্থও যে এতে নেই তা নয়। মর্সিয়া গীতির অনুষ্ঠানে সকলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক নৈকট্য সৃষ্টি হয়। এরি সূত্র ধরে সংঘবদ্ধ হবার কোরআন নির্দেশিত আদেশ বাস্তবায়নের পথও সুগম হয়। যারফলে সমগ্র জাতি একাত্ম হয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হতে পারে। আর কোন জাতির মধ্যে ধর্মীয় আন্তরিকতার ভিত্তিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলে বহির্শক্তি আর সেই জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না। কান্নাকাটির ফলে বিশ্ববাসী মহান ব্যক্তিত্বদের শাহাদাতের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবে। আর ঐ ঘটনা জানতে পারলে বিশ্ববাসী জালেমের ব্যাপারে সচেতন হবে এবং ইসলামের প্রকৃত জীবনাদর্শের প্রতি ঝুঁকে পড়বে। ফলে মর্সিয়া গীতি অনুষ্ঠান যে ইসলাম বা দ্বীনী আদর্শকে টিকিয়ে রাখারও মাধ্যম তা সহজেই অনুমান করা যায়। এবারে ফার্সী একটি মর্সিয়ার বাংলা অনুবাদ।
তুমিই সেই রক্তে নিমজ্জিত মহান শহীদ
যাহরার নয়নমণি প্রিয় প্রাণ
তুমি হোসাইন
তোমার সত্ত্বায় ঐশী লহু বহমান
তোমার মস্তক পবিত্র দেহ-বিচ্ছিন্ন করলো হায় !
কতো যে তৃষ্ণাকাতর ছিলো তোমার দুটি ঠোঁট
তোমার পবিত্র মৃতদেহ প্রবহমান ফোরাতের তীরে
টেনে হিঁচড়ে নিলো পাষন্ডরা কৃষ্ণ মাটির পরে
তবু একবুক তৃষ্ণা নিয়ে শহীদ হলে তুমি।
কে কোথায় দেখেছে এমন পাশবিকতার নজীর।
কী অন্যায় ছিলো তোমার , কী ছিলো অপরাধ !
ইয়ারব ! ইয়ারব !!
কারবালায় পানি হলো জীবনের মূল্য
আসগারের তৃষিত স্বরযন্ত্র পেল তীর কামান
ইয়ারব ! ইয়ারব !!
পবিত্র নবী বংশ বা আহলে বাইতের ইমামদের শাহাদাতের ঘটনা স্মরণ করে ক্রন্দন করা সওয়াবের কাজ । বিভিন্ন বর্ণনায় দেখা যায় মর্সিয়া বা কান্নাকাটি করার একটা সওয়াব বা পুণ্যময় দিক আছে । এতো ফজীলত থাকার পরও কোনো কোনো মহল এই মর্সিয়ার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করে থাকে। তারা যে এর মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোর অনুকরণে মূলত ইসলামের প্রাণপ্রবাহকেই স্তব্ধ করে দিতে চায়, তা হয়তো তাদের সচেতন বিবেকের কাছে সুস্পষ্টভাবে ধরাও দেয় না। তবে সুখের ব্যাপার হলো তা সত্ত্বেও কিন্তু মর্সিয়া বা শোক পালনের এই ধারা বন্ধ হয়ে যায় নি। তারি প্রমাণ হলো দেশ-বিদেশে এই মর্সিয়া গীতির সংস্কৃতি গড়ে ওঠা। এবারে একটি আরবি মর্সিয়া গীতির বাংলা অনুবাদ লক্ষ্য করা যাক।
বিপদ-মুসিবত ছাড়া কী ছিল কারবালায় হোসেইনের তরে আর
অন্তর আমার শুধুই যে চায় অশ্রুর বদলে খুন বইয়ে দেবার
বেদনার পেয়ালায় এ কোন্ মুসিবৎ করেছি পান
এ কোন্ ঐশী আপদ এসে চোখকে করলো অশ্রু সজল
অসহায়ের দল খোদার পথে বিলিয়ে দিল আপন প্রাণ
অন্তর আমার শুধুই যে চায় অশ্রুর বদলে খুন বইয়ে দেবার
হে কারবালার মাটি ! পবিত্র দেহগুলো ধারণ করে
চির সম্মানিত হলে তুমি , হলে বিরাট খ্যাতিময়
আকাশেও তোমার বেড়ে গেছে খ্যাতি-কদর
বেড়েছে এই টুকেরো টুকরো দেহের কারণ
শহীদের বদান্যতায় ধর্মের ভিত্তি পেয়েছে দৃঢ়তা আরো
তাদেরি অবদানে বিশ্বব্যাপী আজ উড্ডীন ইসলামের পতাকা
বিপদ-মুসিবত ছাড়া কী ছিল কারবালায় হোসেইনের তরে আর
অন্তর আমার শুধুই যে চায় অশ্রুর বদলে খুন বইয়ে দেবার।
এভাবে সারাবিশ্বের মুসলমানরাই ইমাম হোসাইন (আ) তথা নবীবংশের নিষ্পাপ ইমামদের স্মরণে শোক পালন করে থাকেন। বাংলাদেশেও এ ধরনের শোকগীতির প্রচলন রয়েছে। দেশের রাজধানী শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই শোকগীতি বা মাতমের প্রচলন দেখা যায়।(রেডিও তেহরান)