মহান আল্লাহর অশেষ প্রশংসা করছি যিনি আমাদের কালজয়ী কারবালা বিপ্লবের মহান আশুরাকে স্মরণ করার তৌফিক দিয়েছেন। একইসঙ্গে অশেষ দরুদ পেশ করছি বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত এবং বিশেষ করে কারবালার মহান শহীদদের শানে।
মহাপুরুষ, মহাসত্য, মহা-সুন্দর, মহাবীর –এইসব এমনই কিছু বিশেষণ যা স্থান-কাল-পাত্র ও মানুষের সাধারণ জ্ঞানের সীমানা ছাড়িয়ে প্রায় ক্ষেত্রেই হয়ে পড়ে বর্ণনাতীত এবং ধারণাতীত। ‘আকাশের উদারতা’ ও ‘স্বর্গীয় মহত্ত্ব’ বলে মানুষ যা কিছু বলতে চায় এইসব বিষয়ে- তাও এসবের আসল পরিচয় পুরোপুরি তুলে ধরতে অক্ষম।
মহা-সুন্দরের নানা দিক দেখে কবিরা হয়তো বলে ওঠেন: সুন্দর তুমি কতরূপে কতভাবে প্রকাশিত আপনারে!
হযরত ইমাম হুসাইন (আ) ও আশুরার মহা-বিপ্লবও মহাকালের পাখায় চির-দেদীপ্যমান এমনই এক বিষয়। আপনি যতই বাক্যবাগীশ বা উঁচু মানের গবেষক কিংবা বিশ্লেষক হন না কেন কারবালার মহাবিপ্লব এবং এর রূপকার ও তাঁর অমর সঙ্গীদের মহত্ত্ব আর গুণ-কীর্তন পুরোপুরি তুলে ধরতে পারবেন না কখনও। তাই যুগের পর যুগ ধরে তাঁদের গুণ আর অশেষ অবদানের নানা দিক নিত্য-নতুনরূপে অশেষ সৌন্দর্যের আলো হয়ে চিরকাল প্রকাশিত হতেই থাকবে। কবির ভাষায়: যতদিন এ দুনিয়া রবে, চাঁদ সুরুজ আকাশে বইবে, তোমাদের নামের বাঁশী বাজিতে রইবে ভবে।
শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইন (আ)’র মত এক অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্রের অনুগত ও ন্যায়নিষ্ঠ সঙ্গী হওয়ার মত গৌরবময় আলোক-স্পর্শ যারা পেয়েছিলেন তারাও ইসলাম এবং মানবতার ইতিহাসে উজ্জ্বল হীরক-খণ্ডের মতই অমর হয়ে আছেন। মুষ্টিমেয় সেইসব সঙ্গীদের মর্যাদা তুলে ধরতে গিয়ে স্বয়ং ইমাম বলেছিলেন সেই ঐতিহাসিক উক্তি:
‘‘আমি পৃথিবীতে তোমাদের চেয়ে বিশ্বস্ত ও উত্তম কোনো সহযোগীর সন্ধান পাইনি।’’ (দ্রঃ তারিখে তাবারীঃ ৬/২৩৮-৯,তারিখে কামেলঃ ৪/২৪,)
পবিত্র কুরআনে বলা হচ্ছেঃ
‘‘কত নবী যুদ্ধ করেছেন, তাদের সাথে বহু আল্লাহ-ওয়ালা ছিল। আল্লাহর পথে তাদের যে বিপর্যয় ঘটেছিল তাতে তারা হীনবল হয়নি ও নতি স্বীকার করেনি। আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে পছন্দ করেন।’’ (আল ইমরানঃ ১৪৬)
অথচ ইমাম হুসাইন (আ.) প্রকারান্তরে তার সহযোগীদেরকে আম্বিয়া কেরামের এ সকল সহযোগীদের চেয়েও মর্যাদাসম্পন্ন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ইমামের সঙ্গে কয়েক মাস পর্যন্ত ছিল কয়েক হাজার সঙ্গী। তাদের অনেকেই খুব ভাল প্রকৃতির মানুষও ছিলেন। তবে এদের বেশিরভাগই শেষ মুহূর্তে তাদের ইমাম তথা নেতাকে পরিত্যাগ করেন যদিও এ সময় ইমামের প্রতি তাদের সাহায্য ছিল জরুরি। যারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইমামের পাশে থেকেছেন তারা কেন সুযোগ পেয়েও ইমামকে ত্যাগ করেননি?
আসলে এরা ছিলেন ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার যোগ্য ব্যক্তিত্ব। ইমামের প্রতি তাদের মধ্যে গভীর ভালবাসা ছিল কিংবা গভীর ইমাম-প্রেমের একটা পটভূমি তাদের হৃদয়ে তৈরি হয়েই ছিল। তাই মহান আল্লাহর পরিচালিত আত্মত্যাগের নানা কঠিন পরীক্ষায় তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অবিচল থাকেন। তারা দুর্বল ঈমানদারদের চিন্তার বিপরীতে বিপদের কঠিন পাহাড় ও অনিবার্য মৃত্যু দেখেও একজন শ্রেষ্ঠ ও পরিপূর্ণ মানুষের পৌরুষোচিত সংগ্রামে অংশগ্রহণের গৌরব হাতছাড়া করতে চাননি। খোদা-প্রেমের ক্ষেত্রে একনিষ্ঠতাই তাদেরকে শেষ পর্যন্ত মহান সংগ্রামের পথে অবিচল রেখেছে। ইসলাম ও এর কর্ণধার ইমামের প্রতি তাদের ভালবাসা ছিল কিংবদন্তীতুল্য।
দৃষ্টান্ত হিসেবে ইমামের আহলে বাইত তথা নবী-পরিবারের সদস্যদের কথা বাদ দিয়েও স্মরণ করা যায় ইমাম-প্রেমিক আমর ইবনে জুনাদে, হাবিব মাজাহের, সাইদ, আসলান এবং আবেস ও সওজাবদের কথা। নবীজির আহলে বাইতের প্রতি গভীর ভালবাসায় তাঁরা যেন ছিলেন আত্মহারা। তাই সে সময় শত্রুদেরকে হতভম্ব-করা তাদের অসীম সাহস, প্রজ্ঞা,বুদ্ধি ও মহাত্যাগের মনোভাব ইতিহাসে হয়ে আছে অমর।
ইমাম-প্রেমিক আবেস ছিলেন একজন খ্যাতনামা পাহলোয়ান। সওজাব ছিলেন তার অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইমাম ও নিজের পরিবারের পর এতো ঘনিষ্ঠ আর কেউই ছিল না তাঁর। কে আগে ইমামের জন্য প্রাণ বিলিয়ে দিতে যাবে এ নিয়ে যখন ইমামের সঙ্গীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তখন এমন বীর পাহলোয়ান যুদ্ধে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে বন্ধু সওজাবকে রণাঙ্গনে যেতে বললেন। সওজাব এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান যে, আমি তোমার মৃত্যু আগে দেখতে চাই এ কারণে যে ইমাম তার অতি প্রিয়জনদের হারানোর সময় যে বেদনা অনুভব করেছেন সেই বেদনার খানিকটা আমিও অনুভব করতে চাই।
বন্ধুর শাহাদতের পর যখন তার নিজের পালা এলো তখন আবেসকে দেখে তার সঙ্গে মল্ল যুদ্ধে অংশ নিতে ইয়াজিদ বাহিনীর কেউই ভয়ে অগ্রসর হচ্ছিল না। আবেস শত্রুদের সাহসহীনতা দেখে ক্রুদ্ধ হলেন। তিনি নেমে এলেন ঘোড়া থেকে। বললেন, এবার আস। কিন্তু কেউ সাহস করলো না। এরপর আবেস তরবারিও ছুঁড়ে ফেলে দেন। তবুও কেউ এলো না তার সঙ্গে লড়াই করতে। এরপর আবেস গায়ের বর্ম খুলে খালি গায়ে অগ্রসর হয়ে বললেন: এবার আস, আমাকে হত্যা কর! তার হাতে রইল শুধু একটি বর্শা! তবুও ভীর কাপুরুষ ইয়াজিদ সেনারা তখনও এগুনোর সাহস করলো না তাঁর দিকে। এ সময় ইয়াজিদ বাহিনীর সেনারা বলছিল: আবেস তুমি পাগল হয়ে গেছ! আবেস বলছিলেন: আমি পাগল আমি হুসাইনের পাগল!
আমর ইবনে জুনাদ নামের আরেক ইমাম প্রেমিক অনুমতি চান যুদ্ধের জন্য। ইমাম হুসাইন (আ) বললেন, তোমার বাবা কিছুক্ষণ আগে শহীদ হয়েছেন। তাই তুমি যুদ্ধে যেও না, তোমার মায়ের সেবার জন্য বেঁচে থাক। অনুমতি পাওয়ার জন্য ব্যাকুল জুনাদ কেঁদে কেঁদে বললেন, আমার মা-ই আমাকে পাঠিয়েছেন এবং তিনি চান যে আমি আপনার জন্য এখানেই শহীদ হই, তিনি কিছুতেই আমাকে ফিরতে দেবেন না। কেমন ইমাম-প্রেমিক ছিলেন এই মা? মল্ল যুদ্ধের সময় জুনাদ আবৃত্তি করছিল স্বরচিত সেই বিখ্যাত কবিতা: ‘আমার নেতা হুসাইন (আ), কতো উত্তম নেতা! হৃদয়ে আনন্দের মাধ্যম। তিনি পুরস্কারের সুসংবাদদাতা ও খোদায়ী শাস্তির ভীতি প্রদর্শনকারী। হযরত আলী (আ) ও ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহা তাঁর বাবা ও মা। হুসাইনের সঙ্গে তুলনা করার মতো কেউ কি আছে? যেন মধ্যাহ্নের উজ্জ্বল সূর্যের মত তাঁর চেহারা ....’
আসলান নামের এক কৃষ্ণকায় ব্যক্তি ছিলেন ইমামের সেবক। তিনি যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি আদায় করে ছাড়েন তাঁর প্রাণপ্রিয় নেতার কাছ থেকে। বীরের মত লড়াইয়ের পর আসলান ইয়াজিদ বাহিনীর আঘাতে ধরাশায়ী হলে ইমাম নিজে এসে তাঁর গালে নিজের মুখ রাখেন স্লেহভরে। এ সময় শাহাদতের আগ মুহূর্তে আসলান বার বার বলছিলেন: আমার মত সৌভাগ্যবান কে আছে পৃথিবীতে? ফাতিমার ছেলে আমার মুখে মুখ রেখেছেন!
সাইদ নামের আরেক ইমাম প্রেমিক ১৩ টি তিরের আঘাত সহ্য করেন ইমামের জন্য। ইমাম যাতে নির্বিঘ্নে আশুরার দিনে যুদ্ধক্ষেত্রেই জোহরের নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য সাইদ এতগুলো তীর বুকে পেতে নেন। সাধারণত মানুষ তিনটি বা বড় জোর ৫ টি বিষাক্ত তিরের আঘাত সইতে পারে। কিন্তু সাইদ কঠিন বেদনা সয়ে একে একে ১৩টি তিরের আঘাত সহ্য করেন! ১৩তম তিরের আঘাতে যখন লুটিয়ে পড়েন সাইদ ততক্ষণে ইমামের নামাজ শেষ হয়েছে। এ সময়ও সাইদ হাসিমুখে বলছিলেন, ইমাম আপনি কী আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন?
এই ছিল ইমামের ৭২ জন শহীদ সঙ্গীর এক-একজনের অবস্থা। ইয়াজিদ বাহিনীর প্রাথমিক হামলার মূল ধকলটা যেন ইমামের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের ওপর না পড়ে সে জন্য সচেষ্ট ছিলেন ইমামের পরিবারের বাইরের সঙ্গীরা। তারা যেন ছিলেন ইমামের প্রতি ভালবাসায় কুরআনে বর্ণিত শিশা ঢালা প্রাচীর।
এখানে আমরা স্মরণ করতে পারি সেই হোর ইবনে রিয়াহির কথা যিনি কারবালা অঞ্চলের কাছে প্রথম ইমামকে বাধা দিয়েছিলেন। ইয়াজিদ বাহিনীর বড় মাপের সেনা কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও হোর যখন বুঝলেন যে ইয়াজিদ বাহিনী ইমামের সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং এমনকি তাঁকে হত্যা করতেও দ্বিধা বোধ করবে না। তখন তার মধ্যে জেগে উঠলো ঈমান ও ইমাম-প্রেমের সুপ্ত চেতনা। তীব্র অনুশোচনা নিয়ে তিনি ইমামের কাছে ক্ষমা চাইলেন। এ সময় হোর তাঁর মাথা নিচু করে রেখেছিলেন। ইমাম তাঁকে কেবল ক্ষমাই করলেন না, তাঁকে মাথা উঁচু করতে বললেন। হোর ইমামের পক্ষে যুদ্ধ করে শহীদ হলেন। ইমাম হুসাইন (আ) বলেছিলেন হোর নামের অর্থ মুক্তি এবং তাঁর ওই নাম সার্থক হয়েছিল। ইমামের নসিহত শুনে আশুরার দিনে ইয়াজিদ বাহিনীর আরও কয়েকজন দলত্যাগ করে ইমামের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।
আশুরার দিন নবী পরিবারের নুরানি সদস্যদের একে একে শাহাদত বরণও ছিল ইতিহাসের অনন্য দৃশ্য। ইমামের ৬ মাসের শিশুও রেহাই পায়নি ইয়াজিদ বাহিনীর বর্বরতা থেকে। হযরত আলী আকবর (আ) ছিলেন ইমামের বড় ছেলে। ১৯ বা ২১ বছর বয়সের এই তরুণ জোহরের নামাজের সময় কারবালায় আজান দিয়েছিলেন। তার আযানের কণ্ঠ শুনে চমকে যায় শত্রু শিবিরের অনেকে। ঠিক যেন মহানবীর (সা) কণ্ঠস্বর! চেহারাও ছিল অবিকল মহানবীর যুব-বয়সের সেই চেহারা। চাল-চলনও ছিল অবিকল মহানবীর মত! তাকে যুদ্ধে পাঠাতে ইমামের কতই না কষ্ট হচ্ছিল। নবী-পরিবারের সদস্যরা বলতেন, মহানবীর জন্য যখন প্রাণ কাঁদতো তখন মাঝে মধ্যে তাঁকে স্মরণ করে আমরা আলী আকবরের দিকে তাকাতাম!
১৩ বা ১৬ বছরের তরুণ হযরত কাসেম ইবনে হাসানের (আ) বীরত্বও ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। শত্রুর আঘাতে ধরাশায়ী হয়ে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন: চাচাজান! এ সময় ইমাম হুসাইন বিদ্যুতের গতিতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু ভাতিজার জন্য কিছুই করতে না পেরে ইমামের হৃদয়টা যেন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায়!
প্রিয় ভাই ও ভাইয়ের ছেলেদের মৃত্যুতে অশেষ শোকে বেদনার্ত হয়েছিলেন হযরত জাইনাব সালামুল্লাহি আলাইহা। কিন্তু জাইনাবের দুই শিশু পুত্রও যে বীরের মত লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন সেদিকে তাঁর যেন ভ্রক্ষেপও ছিল না। অশেষ ধৈর্যের প্রতীক হযরত জাইনাব বলেছিলেন, "কারবালায় যা কিছু দেখেছি (ইমাম শিবিরের দিক থেকে ও ইয়াজিদ শিবিরের মোকাবেলায়) তাতে সৌন্দর্য ছাড়া অন্য কিছু দেখিনি।"
ইমামের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্যের কিংবদন্তীতুল্য প্রতীক হযরত আবুল ফজল আব্বাস (আ) ছিলেন ইমাম শিবিরের অন্যতম প্রধান সেনাপতি ও যুদ্ধের সময় পতাকা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এই আব্বাসের বীরত্ব দেখে শত্রুদেরও কেউ কেউ যেন গৌরব অনুভব করছিল। ইমাম শিবিরের পিপাসার্ত শিশুদের জন্য পানি আনতে গিয়ে তিনি রক্তাক্ত হন। অবশেষে ফোরাতের তীরে গিয়ে পানির সন্ধানও পান। এ সময় প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি ইমাম শিবিরের তৃষ্ণার্তদের কথা ভেবে পানি পানি বিরত থাকেন।
হযরত আবুল ফজল আব্বাস (আ) ইমাম শিবিরের জন্য পানি বয়ে আনতে গিয়ে একে-একে তাঁর দুই হারান শত্রুদের তরবারির আঘাতে। কিন্তু তবুও তিনি মুখে কামড়ে ধরে পানির মশক বয়ে আনছিলেন। অবশেষে ইয়াজিদ বাহিনীর তীরের আঘাতে মশক ছিন্ন হয়ে গেলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং নির্মমভাবে শহীদ হন শত্রুর তীর-বৃষ্টি ও তরবারির অসংখ্য আঘাতে!
ইমাম হুসাইন (আ) নিজে এবং তাঁর পুত্র আলী আকবর ও ভাই আবুল ফজল আব্বাস শহীদ হওয়ার আগে বহু শত্রু সেনাকে নিধন করেছিলেন। তাদের হাতে কয়েক হাজার বা অন্তত এক হাজারেরও বেশি ইয়াজিদি সেনা নিহত হয়েছিলেন বলে বর্ণনা রয়েছে।
ইমাম হুসাইনের (আ.) ব্যক্তিত্বের কিছু মহান দিক হল পৌরুষত্ব, বীরত্ব, বিচক্ষণতা, মহত্ত্ব, দৃঢ়তা, অবিচলতা এবং সত্য-প্রেম।
ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন, আমি নিজ কানে রাসূলুল্লাহর (সা.) মুখ থেকে যা শুনেছি তা হলোঃ
‘‘আল্লাহ বড় ও মহান কাজকে পছন্দ করেন এবং নীচ কাজকে তিনি ঘৃণা করেন।’’ (জামিউস সাগীর ১/৭৫) সূত্র:রেডিও তেহরান