শেষ রহমত ও বরকতের বার্তা নিয়ে পবিত্র হজ্ব সমাগত। পূণ্যভূমি মক্কা তথা খোদা-প্রেমিকদের বার্ষিক সম্মেলন-স্থল অপরূপ ও সুন্দরতম স্বর্গীয় সাজে সজ্জিত হয়েছে। পূণ্যভূমি মক্কা ও মদীনা সব-সময়ই খোদা-প্রেমিকদের প্রাণের ছবি, স্বপ্নের দেশ এবং মনের গভীরে সযত্নে লালিত চূড়ান্ত লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু। বুকের বেদনায়-ঢাকা খোদাপ্রেমিকদের প্রাণের আকুতিগুলো লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক নামক স্বর্গীয় বাক্যের অপূর্ব ছন্দে দোলায়িত প্রেম-বিহ্বল ধ্বনির মাধুর্যে মধুর সঙ্গীত হয়ে মহান আল্লাহর আরশে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। মহান ফেরেশতারা আজ স্বাগতঃ জানাচ্ছেন পবিত্র হতে আসা প্রেমিক বান্দাদের। সাম্য, মুক্তি ও ভ্রাতৃত্বের এই গানে শরীক সারা বিশ্বের মুসলিম ভাইবোনদেরকে আমরাও জানাচ্ছি হৃদয়-নিংড়ানো মোবারকবাদ। আসুন আমরাও সাড়া দেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর আহ্বানে উপস্থিত হবার এ মহতী ও পবিত্র কলরোলে।
হজ্বযাত্রীরা আজ এমন এক দেশে এসেছেন যেখানে নির্মিত হয়েছিল পৃথিবীর বা মানবজাতির ইতিহাসের প্রথম ইবাদত-গৃহ ও একত্ববাদীদের মহা-মিলনের কেন্দ্র এবং যা প্রথম নবী ও মানুষ হযরত আদম (আঃ) ও প্রথম মানবী হযরত হাওয়া (সাঃ)'র পবিত্র স্পর্শে ধন্য হয়েছে। একত্ববাদের এ পূণ্যভূমি ধারণ করেছে হাজারও নবী-রাসূল এবং বিশেষ করে আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হযরত ইব্রাহীম (আঃ), হযরত ইসমাইল জবিহউল্লাহ (আঃ), বিবি হাজেরা(সাঃ)'র অসাধারণ ত্যাগের কীর্তিগাঁথা। এ পূণ্যভূমি ধারণ করেছে মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং এখানেই রয়েছে ত্যাগের আদর্শ মা ফাতেমা (সাঃ)'র কত পূণ্য-স্মৃতি, এখানে পড়েছে উম্মাহর সংস্কারক হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন (আঃ)'র চোখের জল। এ পূণ্যভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধিকার-হারা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ধর্ম ইসলাম। হ্যা, হজ্ব হচ্ছে এমন এক প্রেমের কেন্দ্রস্থল যেখানে মহান আল্লাহর নূরের তাজাল্লিতে পুড়ে মরতে আগ্রহী ছিলেন সমস্ত নবী-রাসূল, অলি-আওলিয়া, পীর- দরবেশসহ সকল প্রেমিক মানব-পতঙ্গ এবং ফেরেশতাকূল। কিন্তু প্রশ্ন হল, আলোর এ বণ্যায় কেন এ অবগাহন? কেন জীবনে একবার হলেও কাবা-ঘর নামক আল্লাহর ঘরে শির লুটিয়ে দিতে একত্ববাদের প্রেমিকদের এত আগ্রহ?
ইসলামের প্রতিটি ফরজ এবাদতের রয়েছে কিছু অভিন্ন দর্শন ও রহস্য এবং একইসাথে রয়েছে কিছু বিশেষ দর্শন বা রহস্য। মহান আল্লাহ পবিত্র কয়েকটি মাসে তাঁর রহমতের ভোজসভা বান্দাদের জন্য খুলে দেন। আল্লাহর রহমতের এই ভোজ-সভার মাস শুরু হয় পবিত্র রমজানে এবং শেষ হয় পবিত্র জ্বিলহজ্ব মাসে। হজ্ব হচ্ছে মহান আল্লাহর অভিমুখে বা আল্লাহর দিকে সফর। কিংবা যে পথে মুক্তি নেই, নেই আলো, নেই কল্যাণ সেইসব পথ-হারাদের পথ থেকে সুপথে বা আলোর উৎস তথা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন। এটা ঠিক যে সব যায়গাতেই আল্লাহ আছেন এবং সব স্থানেই আল্লাহর এবাদত করা যায়, কিন্তু তা সত্ত্বেও মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের ভোজ-সভার মেহমানদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও সময় নির্ধারণ করেছেন।যেমন, রোজার জন্য বিশেষ সময় এবং হজ্বের জন্য নির্দিষ্ট স্থান। কিন্তু আল্লাহর দিকে সফরের জন্য স্থান ও সময়েরও প্রয়োজন হয় না। তাই হজ্ব তথা আল্লাহর দিকে সফর বলতে প্রকৃত অর্থে আল্লাহ ছাড়া অন্য সব-মুখী বা অন্য সব ধরনের প্রবণতা ত্যাগ করাকে বোঝায় এবং শুধু আল্লাহর সান্নিধ্য চাওয়াকে বোঝানো হয়। তাই হজ্ব কোনো আনন্দ-ভ্রমণ বা খ্যতি অর্জনের সফর নয়।
নামাজী যেমন নামাজ পড়ার আগে অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করেন, তেমনি হজ্বযাত্রীকে পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে বৈধ-উপায়ে অর্জিত ইহরামের পোশাক পরতে হয় এবং গোসলের মাধ্যমে সবধরনের বাহ্যিক ও আত্মিক গোনাহ ধুয়ে ফেলার বা বর্জনের অঙ্গীকার করতে হয়। মৃত্যু-পথযাত্রী যেমন সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং সবার পাওনা বুঝিয়ে দেন বা ওসিয়তনামা লেখে যান, তেমনি হজ্বযাত্রীকেও এই একই কাজ করতে হয়, অতীতের গোনাহ বা পাপের জন্য ক্ষতিপূরণ বা প্রায়শ্চিত্তও করতে হয়। তাকে ভাবতে হয় যে এটাই তার অন্তিম সফর। এ মুসাফির বা হজ্বযাত্রী মৃত ব্যক্তির মত এমন এক স্থানে যাচ্ছেন যেখানে সবাই সমান, শুধু যার সৎকর্ম বেশী তিনিই সেখানে আল্লাহর কাছে বেশী প্রিয়, কিন্তু দুনিয়াতে আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই সমান। হজ্বের মধ্যে বিভিন্ন বংশ, শ্রেণীভাগ, পদমর্যাদা, গায়ের বর্ণ কিংবা ধনী ও গরীব নির্বিশেষে সবাই পবিত্রতার প্রতীক শ্বেত-শুভ্র কাফনের পোশাক পরে ইসলামের সাম্যের চেতনাই তুলে ধরছেন।
হজ্বযাত্রী সেলাইবিহীন এই সাদা পোশাক পরে কেবল আল্লাহর আনুগত্যের পোশাক পরার ও গোনাহ বা সব ধরনের আনুগত্যহীনতা থেকে দূরে থাকার শপথ নেয়। সেলাই করা পোশাক পরে অন্য সময় এবাদত বৈধ হলেও হজ্বের সময় সেলাই করা পোশাক খুলে ফেলা বলতে রূপক বা প্রতীকী অর্থে নিজের তৈরি পাপের পর্দা ত্যাগ করাকে বোঝায়। কাপড়ের বুননে যেমন আনুভূমিক ও উলম্ব সুতা গাঁথা থাকে, তেমনি মানুষও উদাসীনতা, লোভ-লালসা ও অজ্ঞতাসহ পাপের বিভিন্ন উপাদান নিজেই সংগ্রহ করে পাপের পর্দা তৈরি করে। সেলাইবিহীন ও সাদা কাপড় পরা বলতে এটা বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে যে তোমাকে একদিন তথা মৃত্যুর পরে এ পোশাক পরেই আল্লাহর কাছে উপস্থিত হতে হবে। সৎকর্ম ছাড়া গর্বের রংবেরংয়ের পোশাক, পদমর্যাদা, আভিজাত্য ও অহংকার সেখানে কোনোই কাজে আসবে না। এভাবে হজ্বের মধ্যে বিচার-দিবস ও কিয়ামত তথা পুনরুত্থানের মহড়া তথা হাশরের ময়দানের মহড়া দেয়া হয়।
হজ্বের মধ্যে তালবিয়া উচ্চারণের তাৎপর্য হল, হে আল্লাহ! আমি যা সত্য ও সঠিক তা-ই যেন বলি, অন্যায় কথা বা অন্যায় সাক্ষ্য থেকে যেন দূরে থাকি। এভাবে জিহ্বা ও চিন্তার পবিত্রতা তথা আত্মিক-পবিত্রতা অর্জন হজ্বের অন্যতম লক্ষ্য। ইহরামের তাৎপর্য হল, আল্লাহর নির্দেশিত হালাল ও হারামকে সব সময় মেনে চলার অঙ্গীকারে অটল থাকা। আল্লাহর ঘর তাওয়াফের অর্থ হল, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সমস্ত তৎপরতার লক্ষ্য হওয়া উচিত, দুনিয়ার ঘর-বাড়ী নয়, আল্লাহর ঘরই মানুষের প্রকৃত ঠিকানা। হাজরে আসওয়াদ বা পবিত্র কালো পাথরে হাত রাখা বা চুমো দেবার তাৎপর্য হলো আল্লাহর প্রতীকী হাতে হাত রেখে তাঁর নির্দেশ পালনের অঙ্গীকার করা বা তাঁর নিদের্শকেই শিরোধার্য মনে করা। সাঈ বা সাফা ও মারওয়াতে দৌড়ানোর অর্থ হলো ভয় ও আশার মাঝামাঝি অনুভূতি নিয়ে ইহকালীন এবং পারলৌকিক কল্যাণ লাভের জন্য চেষ্টা-সাধনা করা। এর সাথে জড়িয়ে আছে নব-জাতক সন্তানের পিপাসা মেটানোর জন্য বিবি হাজেরার প্রচেষ্টার পূণ্য-স্মৃতি।
আরাফাতে অবস্থানের তাৎপর্য হল আল্লাহ সম্পর্কে জানা, আল্লাহ যে সর্বশক্তিমান এবং সব জানেন ও সব-কিছুই যে তাঁর কাছেই চাওয়া উচিত- এইসব বিষয়ে চেতনাকে শানিত করা। আরাফাতে অবস্থিত জাবাল আর রাহমাত নামক পর্বত মুমিন বা বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমতের প্রতীক। মোটকথা আরাফাতের ময়দান শাহাদত, মারেফাত ও এরফানকে উপলব্ধির ক্ষেত্র। হজ্বযাত্রীরা এখানে স্মরণ করেন অনেক মহামানবের অমর কীর্তিকে। আরাফাত ও মীনার মধ্যবর্তী স্থান মাশআরুল হারাম নামক স্থানে রাত্রি যাপন হজ্বের আরেকটি বড় দিক। এখানে রাত্রি যাপনের দর্শন হল নিজের মধ্যে খোদাভীতির চেতনা ও শ্লোগানকে বদ্ধমূল করা। এখানে থেকে হাজ্বীরা শয়তানকে পাথর মারার জন্য পাথরের নুড়ি সংগ্রহ করেন। শয়তানের সাথে মোকাবেলার জন্য তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন পূর্ব শর্ত। মীনায় শয়তানকে পাথর বা কঙ্কর নিক্ষেপের সাথে জড়িয়ে আছে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)'র স্মৃতি। তিনি যখন একমাত্র সন্তান ঈসমাইল (আঃ)কে কোরবানী করতে উদ্যত হন তখন শয়তান মানুষের ছবি ধরে তাঁকে এ কাজে বিরত রাখার জন্য কূমন্ত্রণা দেয়ার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় তিনি শয়তানকে তাড়ানোর জন্য কঙ্কর নিক্ষেপ করেছিলেন। নিজের মনকে ও সমাজকে শয়তানের বা তাগুতি শক্তিগুলোর হাত থেকে রক্ষার মহাশিক্ষা রয়েছে এ ঘটনায়।
আর এ মহাশিক্ষাকে বদ্ধমূল করার জন্যেই হজ্বের অন্যতম দিক হল শয়তানের প্রতি পাথর নিক্ষেপ। অন্যকথায় শয়তানকে পাথর ছোঁড়া বলতে মানুষের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কূপ্রবৃত্তি দমন করার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের শোষক এবং তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করাকে বোঝায়। বর্তমান যুগে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোই শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ। তাই তাদের দোসর ও অনুচরদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হবার শপথ নেয়া এবং সমাজে প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সাংস্কৃতিক, আর্থিক, রাজনৈতিক ও প্রয়োজনে সামরিক সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া হজ্বের অন্যতম শিক্ষা।
কোরবানী করার সূপ্ত অর্থ হল নিজের মনের সমস্ত কূপ্রবৃত্তি এবং কামনা-বাসনাকে আল্লাহর নির্দেশের কাছে বিসর্জন দিতে হবে। যে প্রাণ বা সন্তান-সন্ততি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় তা-ও প্রয়োজনে আল্লাহর জন্য বিলিয়ে দেয়ার শিক্ষা দিয়ে গেছেন হযরত ইব্রাহীম ও হযরত ঈসমাইল (আঃ)। কাবা ঘর তাওয়াফ শেষ করার পর হাজ্বীকে মাকামে ইব্রাহীমের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। এর প্রতীকী তাৎপর্য হল, হাজ্বীকে ইব্রাহিম (আঃ)'র মত পবিত্র হতে হবে এবং একনিষ্ঠ একত্ববাদী হয়ে নামাজ পড়তে হবে। এভাবে নিজেকে শুদ্ধ, পবিত্র ও যোগ্য করার পরই হাজ্বী বা ঈমানদার মানুষ সমাজ-সংস্কারে নিয়োজিত হতে পারেন।
হজ্ব আধ্যাত্মিক এবাদতের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক এবাদত। মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা হজ্বের অন্যতম লক্ষ্য। হজ্বের সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা পরস্পরের দূঃখ-দূর্দশা ও সমস্যা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি একে-অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারে এবং কাফির ও মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যব্ধ হতে পারে। আর এ জন্যই বারাআত বা কাফির-মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা হজ্বের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। আজ মুসলমানদের মধ্যে যত দূর্দশা ও সংকট মুসলমানদের অনৈক্য তার অন্যতম প্রধান কারণ। অথচ মুসলমানদের এক ধর্ম, এক নবী, এক পবিত্র গ্রন্থ রয়েছে এবং তাদের কিবলা ও ধর্মীয় শ্লোগানগুলোও অভিন্ন।
আজ ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও ইরাকের মুসলমানদের দূর্দশার ব্যাপারে কোনো প্রকৃত মুসলমান নীরব থাকতে পারে না। নিষ্পাপ হবার জন্য সচেষ্ট হজ্বযাত্রীরাও এ ব্যাপারে নীরব থাকতে পারেন না। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) পবিত্র হজ্বের সময় মক্কার মুসলমানসহ হজ্ব উপলক্ষ্যে সমবেত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানদের কাছে বক্তব্য রেখে এজিদের স্বৈরাচারি তাগুতি শক্তির বিপদ সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছিলেন।
হজ্বের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল, আল্লাহর নির্দেশ ও আইনকে সব কিছুর উপরে প্রাধান্য দেয়া। হযরত ইসমাইল (আঃ) যেমন আল্লাহর নির্দেশে নিজেকে পিতার হাতে কোরবানী করতে রাজী হয়েছিলেন এবং ইসলামকে দূষণ ও বিকৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) যেভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন তেমনি আমাদেরকেও ইসলামের স্বার্থে চরম আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতি বছর হজ্ব আমাদেরকে সে জন্য প্রস্তুতি নেয়ার, প্রশিক্ষণ নেয়ার এবং যোগ্যতা অর্জনের ডাক দিয়ে যায়। কল্যাণ , রহমত ও বরকতের অফুরন্ত ফল্গুধারা পবিত্র হজ্ব সারা বিশ্বে ইসলামের উচ্চতর ও মহান লক্ষ্যগুলো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিণত হোক্, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা জানিয়ে শেষ করছি পবিত্র হজ্ব সংক্রান্ত আজকের এ আলোচনা। (রেডিও তেহরান)