বাঙ্গালী
Sunday 24th of November 2024
0
نفر 0

আবু হানিফার সাথে ইমাম সাদিকের মুনাযিরা

আবু হানিফার সাথে ইমাম সাদিকের মুনাযিরা



ইবনে শাহরে আশুব মুসনাদে আবু হানিফা থেকে রেওয়ায়েত উল্লেখ করে বলেছেন যে, হাসান ইবনে যিয়াদ বলেছেনঃ আবু হানিফার (হানাফি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা বা ইমাম) কাছে প্রশ্ন করা হল এ মর্মে যে, ‘ফিকাহ শাস্ত্রে সব থেকে বিজ্ঞ এমন কোন ব্যক্তিকে দেখেছো, যদি দেখে থাকো তবে সে কে’?

আবু হানিফা এই প্রশ্নের উত্তরে বললঃ `ফীকহ শাস্ত্রে সব থেকে বিজ্ঞ ব্যক্তি হচ্ছেন জাফর ইবনে মুহাম্মদ (ইমাম সাদিক আ.)। যখন মানছুর দাওয়ানিকি (দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা) জাফর ইবনে মুহাম্মদকে তার কাছে নিয়ে গিয়েছিল তখন মানছুর আমার কাছে এমন একটি নির্দেশ পাঠিয়েছিলঃ

‘হে আবু হানিফা । জনগণ অধিক পরিমানে জাফর ইবনে মুহাম্মদের মাযহাবের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাচ্ছে । এমন কোন কঠিন বিয়য় নির্ধারণ কর এবং তার সাথে মুনাযিরা কর যার উত্তর দিতে সে ব্যর্থ হয় এবং তার মর্যাদা হানি হয় ।

আমি চল্লিশটি বিষয় নির্ধারণ করলাম । মানছুর যেহেতু ঐ সময় হিরা শহরে (কুফা এবং বসরার মধ্যবর্তী স্থান) অবস্থান করছিল তাই সে আমাকে সেখানে ডেকে পাঠালো । আমি তার সম্মুখে উপস্থিত হলাম । দেখলাম ইমাম সাদিক (আ.) মানছুরের ডান পার্শ্বে বসে আছেন । আমার দৃষ্টি তার দিকে পড়তেই তার সম্মানে অন্তরটা যেন নুয়ে পড়ল যা মানছুরকে দেখে হয়নি । মানছুরকে সালাম জানালাম । সে আমাকে ইশারায় বসতে বলল । তারপর ইমামের দিকে ফিরে বললঃ ‘ইয়া আবা আব্দিল্লাহ ! উপস্থিত এই লোকটি হচ্ছে আবু হানিফা’।

ইমাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমি তাকে চিনি ।

তারপর মানছুর আমার দিকে ফিরে বললঃ ‘হে আবু হানিফা তোমার প্রশ্নসমূহ উত্থাপন কর’ ।

আমি আমার নিজের প্রশ্নগুলোকে একের পর এক ইমামকে জিজ্ঞাসা করলাম এবং তিনি একের পর এক জবাব দিচ্ছিলেন আর বলছিলেনঃ এই বিষয়ে তুমি এমন বল,মদীনাবাসী এরূপ বলে । কোন কোন প্রশ্নের উত্তর আমার মতের সাথে মিল ছিল আবার কোন কোন প্রশ্নের উত্তর মদীনাবাসীদের মতের সাথে মিল ছিল । আবার কোন কোন প্রশ্নের উত্তর আমাদের দু’পক্ষের কারো মতের সাথেই মিল ছিল না । এরূপভাবে আমার নির্ধারণকৃত চল্লিশটি প্রশ্ন শেষ হয়ে গেল এবং তিনি পরিপূর্ণভাবে প্রত্যেকটির উত্তর বর্ণনা করলেন । তারপর আবু হানিফা বললঃ

الیس أن اعلم الناس، اعلمهم باختلاف النّاس

“বিজ্ঞ ও অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি কি সেই নয়, যে ব্যক্তি বিভিন্ন গোত্রের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে অধিক জ্ঞান রাখেন” (আনওয়ারুল বাহিয়্যা, পৃঃ১৫২ ।)

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

দাওয়াতে দ্বীনের গুরুত্ব ও ...
‘ইমাম হুসাইন (আ.)’র বিপ্লবই ...
ফিলিস্তিনি বালিকা
পরকালের জন্য প্রস্তুতি এবং ...
ইমাম হাসান (আ.) মুয়াবিয়াকে কখনও ...
নেয়ামতের হাত ছড়া হওয়ার কারন
হযরত মুসা (আ.)'র মু'জিজার কাছে ...
মহানবী (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (২)
গাদিরে খুম
কুরআনের দৃষ্টিতে নবী-রাসূলগণ

 
user comment