- শিয়া মাযহাবে ইমাম মাহদী (আ.)
ইমামের জন্ম গোপনে হওয়ার কারণে এধারণার অবকাশ ছিল যে শিয়ারা শেষ ইমামকে চিনতে ভুল করবে এবং পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে৷ ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর দায়িত্ব ছিল যে নিজের সন্তানকে বিশিষ্ট শিয়া ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে পরিচয় করাবেন৷ তারা আবার এ সংবাদ আহলে বাইতের অপর অনুসারীদের কাছে পৌঁছে দিবেন আর এভাবেই ইমামের পরিচয় ঘটবে এবং ইমাম (আ.) সকল বিপদ থেকে মুক্ত থাকবেন৷
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর বিশেষ অনুসারী এবং বিশিষ্ট শিয়া জনাব আহমাদ বিন ইসহাক বলেন:
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর কাছে গিয়ে মনে মনে তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারী সম্পর্কে জানার ইচছা পোষণ করলাম, কিন্তু কিছু জানতে চাওয়ার পূর্বেই তিনি বললেন: হে আহমাদ! আল্লাহপাক হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর থেকে কখনোই পৃথিবীকে হুজ্জাত বিহীন রাখেন নি এবং কিয়ামত পর্যন্ত কখনোই খালি রাখবেন না৷ আর আল্লাহর হুজ্জাতের মাধ্যমেই পৃথিবীর মানুষের উপর থেকে বালা-মুছিবত দূর হয়৷ তাঁর অস্তিত্বের বরকতেই বৃষ্টি বর্ষণ হয় এবং ফসল ফলে৷
আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান! আপনার পরবর্তী ইমাম এবং উত্তরাধিকারী কে? ইমাম সাথে সাথে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলেন এবং তিন বছরের একটি অতি সুন্দর ও চাঁদের ন্যায় পবিত্র শিশুকে নিয়ে বেরিয়ে এসে বললেন: হে আহমাদ বিন ইসহাক! যদি আল্লাহ ও তাঁর হুজ্জাতের নিকট প্রিয়ভাজন না হতে তাহলে আমার এ পূত্র তোমাকে দেখাতাম না৷ তাঁর নাম ও কুনিয়া রাসূল (সা.)-এর নাম ও কুনিয়ার অনুরূপ৷ পৃথিবী যেভাবে অন্যায়-অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়েছিল সে তেমনিভাবে পৃথিবীকে ন্যায়-নীতিতে পরিপ‚র্ণ করবে৷
আমি বললাম: এমন কোন চিহ্ন কি আছে যা দেখে আমি নিশ্চিত হতে পারি? এমন সময় পবিত্র শিশুটি বললেন:
انا بقية الله فی ارضه والمنتقم من اعدائه ...
আমিই হলাম পৃথিবীতে আল্লাহর শেষ গচিছত সম্পদ এবং আমি আল্লাহর দুশমনদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব৷ হে আহমাদ বিন ইসহাক নিজ চোখে দেখার পর আর কোন চিহ্নের অপেক্ষায় থেক না৷
আহমাদ বিন ইসহাক বলেন: এ কথা শোনার পর অতি আনন্দের সাথে ইমাম (আ.)-এর বাড়ী থেকে চলে আসলাম (কামালুদ্দিন খণ্ড- ২, বাব ৩৮, হাদীস ১, পৃ.-৮০)৷
অনুরূপভাবে মুহাম্মদ বিন উসমান ও আরও কয়েক জন বিশিষ্ট শিয়া ব্যক্তিত্ব বর্ণনা করেছেন:
আমরা শিয়া মাযহাবের চল্লিশজন ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর কাছে একত্রিত হই৷ তিনি আমাদেরকে তাঁর পবিত্র সন্তানকে দেখিয়ে বললেন, "আমার পর এই তোমাদের ইমাম ও আমার উত্তরাধিকারী৷ তাঁর নির্দেশ মেনে চলবে এবং দ্বীন থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড় না তাহলে ধবংস হয়ে যাবে৷ আজকের পর থেকে তাঁকে আর দেখতে পাবে না (তিনি ইমাম মাহদীর দ্বিতীয়