প্রশ্ন : মহানবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে কোন ধর্ম অনুসরণ করতেন?
উত্তর দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ্ নাসের মাকারেম সিরাজী
উত্তর : নবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে বিশেষ দিক-নির্দেশনা লাভ করতেন এবং তদনুযায়ী আমল করতেন। ঐ বিধানসমূহ বিশেষভাবে তাঁর জন্যই প্রযোজ্য ছিল। এ কথার সপক্ষে দলিল হলো নাহজুল বালাগায় হযরত আলী (আ.)-এর একটি বাণী। তিনি বলেছেন,“রাসূলের মাতৃদুগ্ধ ছাড়ার সময় হতেই আল্লাহ্ তাঁর সবচেয়ে বড় ফেরেশতাকে তাঁর সহযোগী করে দিয়েছিলেন যিনি তাঁকে দিবারাত্রি সর্বোত্তম চরিত্র শিক্ষা ও নির্দেশনা দিতেন।”
এরূপ একজন ফেরেশতা নিয়োজিত করা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ পথ ও পরিকল্পনার উপস্থিতির সাক্ষ্য বহন করে। তদুপরি কোন ইতিহাসেই উল্লিখিত হয় নি যে,রাসূল ইহুদী,খ্রিস্ট বা অন্য কোন ধর্মের অনুসারীদের উপাসনালয়ে গিয়ে তাদের মত উপাসনা করেছেন। তিনি মূর্তিপূজকদের সঙ্গে অবস্থান করেও কোনদিন মূর্তিপূজা করেন নি;বরং সর্বাবস্থায় তাওহীদ ও ইসলামের সর্বোত্তম চরিত্রকে সংরক্ষণ করেছেন।
‘বিহারুল আনওয়ার’-এ আল্লামাহ্ মাজলিসী বেশ কিছু সংখ্যক হাদীস এনেছেন যাতে উল্লিখিত হয়েছে নবী (সা.) তাঁর জন্মের সময় হতেই রুহুল কুদ্স দ্বারা সহযোগিতা পেতে শুরু করেন। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই মহান আল্লাহ্ তাঁকে রুহুল কুদ্স দ্বারা বিশেষ পথ-নির্দেশনা দিতেন।
আল্লামাহ্ মাজলিসীর মতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) রেসালতের মর্যাদার পূর্বেও নবুওয়াতের মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। তিনি কখনও কখনও ফেরেশতাদের কথা শুনতে পেতেন। কখনও সত্য স্বপ্ন দেখতেন,কখনও আবার তাঁর ওপর ‘ইলহাম’ হতো। পরবর্তীতে চল্লিশ বছর বয়সে তিনি রেসালত লাভ করেন এবং তাঁর ওপর কোরআন অবতীর্ণ হয়। ( জ্যোতি ১ম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা)