ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী এভিগডোর লিবারম্যান গাজায় চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হিলিয়াম গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গাজা থেকে ইসরাইলে বেলুন উড়ে যাওয়া অব্যাহত থাকলে হিলিয়াম গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সামরিক তৎপরতা সমন্বয়কারী কামিল আবু রুকুন বলেছেন, গাজার বিক্ষোভকারীরা বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ভরে সেগুলো সীমান্তের ওপাড়ে পাঠাচ্ছে এবং এর ফলে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। বেলুন পাঠানো অব্যাহত থাকলে গাজায় কোনো হিলিয়াম গ্যাস প্রবেশ করবে না।
এর আগে গাজা থেকে উড়ে যাওয়া ঘুড়ির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি নেতারা। দখলদার ইসরাইলের ‘জিয়ুস হাউস’ পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য মোটি ইউগেভ বলেছেন, গাজা থেকে উড়ে আসা প্রতিটি ঘুড়ির মোকাবেলায় একেকজন হামাস নেতাকে হত্যা করতে হবে।
গাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের অধিকারের দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন।
বিক্ষোভের সময় গাজাবাসীরা ঘুড়ি ও হিলিয়াম বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা ঘুড়ির লম্বা লেজে আগুন লাগিয়ে সেগুলো উড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার কখনো কখনো বেলুনের নিচে মলোটোভ ককটেল ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। আর এসব ঘুড়ি ও বেলুন কখনো কখনো সীমান্ত দেয়ালের ওপারে ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় গিয়ে পড়ছে।
গত ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি।