বাঙ্গালী
Sunday 24th of November 2024
0
نفر 0

কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত

কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
আরব সহ সমগ্র বিশ্ব তখন গভীর তিমিরে আচ্ছন্ন। সবর্ত্র বিরাজ করছে এক প্রকার গুমোট অস্থিরতা। এমনি এক মূহুর্তে মক্কার আকাশে নতুন এক সুর্যের আবির্ভাব হল। সে সূর্য হল নবুওয়তের সূর্য। আলোকিত হয়ে উঠল মক্কার আকাশ। ঘরে ঘরে পৌঁছতে লাগল আলোক রশ্মী। নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষকে সে আলোর পথে ডাকতে থাকলেন। অন্ধকারের অলি-গলি পার হয়ে অসংখ্য মানুষ খুঁজে পেলেন সত্যের পথ। ক্রমেই দিক-দিগন্তে আলোর পরিধী বাড়তে থাকল।
কিন্তু! আঁধারেই যাদের বসবাস তারা তো আলোকে সহ্য করতে পারেনা। বাদুড় তো চিরদিনই সূর্যের বিরোধীতা করবেই। তাই বলে সূর্য উঠা কি বন্ধ হয়ে যাবে?
একদল লোক রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আওয়াজকে নিস্তদ্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগল। কিন্তু এ আওয়াজ তো বন্ধ হওয়ার নয়। বরং মরুভূমির প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ার সাথে তা আছড়ে পড়ল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে তারা হিংসা-বিদ্বেষ আর অন্তর জ্বালায় জলে-পুড়ে ছারখার হতে থাকল। এভাবে ইসলামের আলো আস্তে আস্তে বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করল। আল্লাহর বাণী চির সত্য। তিনি বলেন: “তারা তো মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায় কিন্তু আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণতা দান করবেনই যদিও কাফেরেরা তা অপছন্দ করে।” (সূরা আস সাফ্ফ: ৮)
কিন্তু ওসব হিংসুক কাফেরের দল বসে রইল না। বরং নানা কুট কৌশল আর ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকল। কিভাবে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করা যায়। ফলে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইবনে সাবা নামক ইহুদীকে ঢুকিয়ে দেয়া হল। সে মুসলমানদের মাঝে বিভিন্ন দল-উপদল সৃষ্টি করে তাদেরকে বিভক্ত করে ফেলল। আলী (রাঃ) কে কেন্দ্র করে শিয়া দলের সৃষ্টি হল।
 
কাদিয়ানীদের ভ্রান্ত মতবাদ!!
ইসলামের পোষাক পরে শত্রুঃ
এর পর মুসলমানদের এ বিভক্তির দূর্বলতাকে সুযোগ মনে করে তারা ইসলামী দেশগুলোতে সামরিক আক্রমনের মাধ্যমে দখল করে নেওয়ার জন্য সর্ব সর্বশক্তি নিয়োগ করল। কিন্তু আল্লাহর রহমত এবং অকুতভয় মুসলিম সৌনিকদের সাহসী প্রতিরোধে তারা বিভিন্ন যুদ্ধে পরাজয় বরণ করতে থাকে। পরিশেষে সামরিক দিক দিয়ে মুসলমানদের কাছে ব্যার্থ হওয়ার পর শত্রুরা আবার তাদের সেই পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে আসল। ইসলামী দেশগুলোতে ইসলামের পোষাক পরিয়ে বিভিন্ন দালাল তৈরী করল। ইরানে সে সমস্ত দালালদের একজন হল মির্যা হুসাইন বিন আলী বাহাঈ। সে বাাহাঈ দল সৃষ্টি করে ঘোষণা করল কুরআন ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা। আরো ঘোষণা করল, সে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শরীয়তকে বিলুপ্তকারী। কিন্তু মুসলমানগণ তার এ প্রকাশ্য ঘোষণার কারণে খুব সহজে তার আসল পরিচয় পেয়ে গেল। ফলে তাকে ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখান করায় তার এ ষড়যন্ত্রও মুখ থুবড়ে পড়ল।
ভন্ডামির নানান রূপঃ
গোলাম আহমাদ ছিল অত্যন্ত ধূর্ত ও চালবাজ। সে অত্যন্ত সুকৌশলে মুসলমানদের মাঝে তার ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তুার করতে থাকে। প্রথমে সে নিজেকে একজন মুজাদ্দিদ বা মহান সংস্কারক, তারপর ইমাম মাহদী, কখনো বা নিজেকে ঈসা (আলাইহিস সালাম) দাবী করে। তারপর নিজেকে ‘ছায়া নবী’ সবশেষে একজন ‘পূর্ণ নবী’ বলে জোরেশোরে প্রচার চালাতে থাকে। শরীয়তের অনেক বিধান রহিত ঘোষণা করে এবং অনেক হুকুম-আকহাম রদবদল করতে থাকে। একদল লোককে তার অনুসারী হিসেবে পেয়ে যায়। তাদেরকে নিয়ে দল প্রতিষ্ঠা করে নাম দেয় ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’।
মুসলিম বিশ্ব এবং বাংলাদেশঃ
প্রায় সবকটি মুসলিম দেশে ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ ও এ দলের অনুসারী কাদিয়ানীদেরকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের যাবতীয় বই-পুস্তক, ও কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে তাদেরকে আজো অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি । যার কারণে বর্তমানে তারা আমাদের দেশে প্রকাশ্যে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্রাজ্যবাদের শাষণ এবং ভন্ড নবীর আবির্ভাবঃ
অবিভক্ত ভারতে তখন সম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের শাষণের নামে শোষণ চলছে। তাদের যুলুম-নির্যাতনে মানুষ দিশেহারা। সর্বত্র বিদ্রোহের গুঞ্জরণ। মুসলমানগণ ইংরেজ শাষনের বিরুদ্ধে জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনি একটি মূহুর্তে ইংরেজ শাষকগণ তাদের হাতে গড়া দালাল মির্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীকেকে মুসলমানদেরকে মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দিল। প্রথম পর্যায়ে সে নিজেরকে ইসলামের একজন একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে প্রকাশ করল। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই নিজেকে আল্লাহর নবী হিসেবে ঘোষণা করল। তারপর যা হবার তাই হল। শুরু হল ইসলাম সম্পর্কে নানা অপব্যাখ্যা। আল্লাহ, রাসূল, নবী, নবুওয়াত, সাহাবয়ে কেরাম, কুরআন, ওহী, জিহাদ, মদ ইত্যাদি নানা বিষয়ে জঘণ্য বিভ্রান্তিমূলক এবং আপত্তিকর বক্তব্য দেয়া শুরু করল। উপনেবিশবাদী বৃটিশ-বেনিয়াদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদকে নাজায়েয বলে ফাতাওয়া জারি করল।
যা হোক, নিম্নে আমরা কেবল ‘খতমে নবুওয়াত’ সর্ম্পকে তার অপব্যাখ্যা এবং কুরআন ও হাদীসের আলোকে এর জবাব সংক্ষেপে উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ।
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শেষ নবী নয় (!)ঃ গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রচার করতে থাকে যে,মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শেষ নবী নয় বরং যুগের চহিদা মোতাবেক নবুওয়াতের ধারা অব্যহত থাকবেএবং অন্যান্য নবী ও রাসূলগণের মত সে ও একজন নবী এবং রাসূল।
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে এর জবাবঃ
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেনঃ
﴿مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ﴾
“মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের কোন পুরুষের পিতা ছিলেন না। তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী।” (সূরা আহযাবঃ ৪০)
বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর কারক আল্লামা ইমাম ইবন্ কাসীর (রহঃ) বলেন, “অত্র আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয় যে, তাঁর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরে কোন নবী নাই। নবী যখন আসবেন না রাসুল আসার তো কোন প্রশ্নই উঠেনা। এ ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অসংখ্য মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (৩য় খন্ড, ৪৯৩ পৃষ্টা, মিসরিয় ছাপা)
নিম্নে কতিপয় হাদীস উল্লেখ করা হলঃ
১মঃ বাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ
((وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي ثَلَاثُونَ كَذَّابُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لَا نَبِيَّ بَعْدِي))
“আমার উম্মতর মধ্য থেকে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী আসবে প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমি হলাম শেষ নবী; আমার পরে কোন নবী নেই।” ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। (তিরমিযী ৮/১৫৬ হাদীস নং ৩৭১০)
২য়ঃ প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ
إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلَ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ إِلَّا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ َاوِيَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِهِ وَيَعْجَبُونَ لَهُ وَيَقُولُونَ هَلَّا وُضِعَتْ هَذِهِ اللَّبِنَة ُقَالَ فَأَنَا اللَّبِنَةُ وَأَنَا خَاتِمُ النَّبِيِّينَ
“আমি এবং পূর্ববর্তী অন্যান্য নবীদের উদাহরণ হল, এক লোক একটি ঘর অত্যন্ত সুন্দর করে তৈরী করল। কিন্তু ঘরের এক কোনে একটা ইট ফাঁকা রেখে দিল। লোকজন চর্তুদিকে ঘুরে ঘরে তার সৌন্দর্য্য দেখে বিমোহিত হচ্ছে কিন্তু বলছে, এ ফাঁকা জায়গায় একটি ইট বসালে কতই না সুন্দর হত!” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি হলাম সেই ইট এবং আমি হলাম সর্বশেষ নবী।” (বুখারী, হাদীস নং ৩২৭১ মুসলিম হাদীস নং ৪২৩৯)
৩য়ঃ প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ
)) كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمْ الْأَنْبِيَاءُ كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ وَإِنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي وَسَيَكُونُ خُلَفَاءُ
“বনী ইসরাইলকে পরিচালনা করতেন তাদের নবীগণ। এক নবী মৃত্যু বরণ করলে আরেক নবী তার স্থানে এসে দায়িত্ব পালন করতেন। তবে আমার পরে কোন নবী আসবে না; আসবে খলীফাগণ।”(সহীহ বুখারী)
৪র্থঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেনঃ
((أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي))
“মুসা (আঃ) এর নিকট হারুন (আঃ) যেমন তুমি আমার নিকট ঠিক তদ্রুপ। তবে আমার পরে কোন নবী নেই।” (বুখারী-৪০৬৪, মুসলিম হাদীস নং ৪৪১৮)
৫মঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
((لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ))
“আমার পরে কেউ নবী হলে উমার ইবনুল খাত্তাব নবী হতেন।” (সুনান তিরমিযী হাদীস নং-৩৬১৯)
৬ষ্ঠঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেনঃ
فُضِّلْتُ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ
“পূর্ববর্তী অন্যান্য নবীদের উপর ছয়টি বিষয়ে আমাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আমাকে দেয়া হয়েছে অল্প শব্দে অনেক বেশী অর্থবোধক কথা বলার যোগ্যতা, আমি অনেক দূর থেকে শত্রুবাহিনীর মধ্যে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বিজয় প্রাপ্ত হই। গনিমত তথা পরাজিত শত্রুবাহিনীর ফেলে যাওয়া সম্পদ আমার জন্যে বৈধ করা হয়েছে। যমিনের মাটিকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম এবং সেজদা প্রদানের স্থান বানানো হয়েছে। সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্য আমাকে নবী বানানো হয়েছে এবং আমার মাধ্যমেই নবী আগমনের ধারাকে সমাপ্ত করা হয়েছে।” (মুসলিম হাদীস নং-৭১২)
এছাড়াও অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা দ্যার্থহীনভাবে প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আখেরী-সর্বশেষ নবী । তাঁর পরে কোন নবী আগমণ করবেনা।
পূর্ববর্তী সালাফে সালেহীন এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত। যুগে যুগে মুসাইলামা কায্যাব, তুলাইহা, আসওয়াদ আনাসীর মত অনেক ভন্ড ও মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হয়েছে কিন্তু সবাইকে আল্লাহ ও তার রাসূলের অভিশম্পাতের অধিকারী হয়ে লাঞ্ছিত অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে এবং তারই ধারাবহিকতায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীও নিকৃষ্ট অবস্থায় পায়খানায় পড়ে মৃত্যবরণ করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
পরিশেষে, আহবান জানাব, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খতমে নবুওয়াত এবং এই কাদিয়ানী ফেতনা সর্ম্পকে জ্ঞানার্জন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেন কোন অপশক্তি ইসলামের সুরম্য অট্টালিকায় প্রবেশ করে আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তথা ঈমান হরণ করতে না পারে। আল্লাহ আমাদেরকে হকের উপর জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত টিকে থাকার তৌফিক দিন। আমীন ॥

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

আল্লাহর প্রতি ইমান
মৃত্যুর পর মানুষকে কতদিন কবরে ...
শিয়া-সূন্নীর মধ্যে পার্থক্য কি?
নামাজ : আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের ...
মিথ্যা কথা বলা
শিয়া মুসলমানরা কত ওয়াক্ত নামাজ ...
বারজাখের জীবন
সূরা ইউনুস;(১৬তম পর্ব)
দরিদ্রতার চেয়ে মৃত্যু ভাল
দোয়া কবুলের মাস

 
user comment