আবনা : পবিত্র মক্কা নগরীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)র জন্মস্থান ধ্বংস করে রাজকীয় প্রাসাদ নির্মাণের বিতর্কিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি আরব। আর এ নিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটেন-ভিত্তিক ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মহানবী (সা.) যে স্থানে জন্মগ্রহণ করেন তা ‘মাওলিদের গৃহ’ নামে পরিচিত। চলতি বছরের শেষ দিকে এ স্থানটি গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে সৌদি রাজা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের জন্য একটি প্রাসাদ তৈরি করা হবে। পবিত্র মক্কা নগরী সফরকালে এ প্রাসাদে অবস্থান করবেন সৌদি রাজা।
ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইরফান আলাভি বলেছেন, কংক্রিট ও মর্মর পাথরের নীচে চিরকালের জন্য চাপা পড়ে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে মহানবী (সা.)র জন্মস্থান।
হজ মওসুম শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নির্মাণ কাজ চলছে। পবিত্র মসজিদুল হারামের এক পাশের সম্প্রসারের কাজ এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে। বর্তমানের চেয়ে পাঁচগুণ বড় করে তৈরি করা হবে সৌদি রাজার নতুন প্রাসাদ। মসজিদুল হারামের কাছে একটি পাহাড়ে নির্মাণ করা হবে এ প্রাসাদ।
রাসুল (সা.)র পবিত্র মিরাজ গমনের স্মরণে নির্মিত কয়েকটি ঐতিহাসিক স্তম্ভ গত সপ্তাহে ধ্বংস করে দিয়েছেন সৌদি কর্মকর্তারা।
এভাবে, ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত শত শত ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস করে দেয়ায় এরই মধ্যে বিশ্বের মুসলমানদের তীব্র সমালোচনা ও ধিক্কারের মুখে পড়েছে সৌদি আরব। সৌদি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার আওতায় এ সব স্থান ধ্বংস করতে হচ্ছে। আরো বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর স্থান সংকুলানের জন্য এ জাতীয় সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে বলেও তারা দাবি করছেন।
সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আশ-শেখ সম্প্রতি এ জাতীয় তৎপরতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে দাবি করেছেন, হজযাত্রীদের স্থান সংকুলানের কথা বিবেচনা করে এসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।#