বাঙ্গালী
Monday 25th of November 2024
0
نفر 0

সাংস্কৃতিক সমস্যাই ভেনেজুয়েলার মুসলমানদের প্রধান সমস্যা

ভেনেজুয়েলার তাবলিগী কার্যক্রম কেন্দ্রের প্রধান জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় মুসলমানদের উপস্থিতির ইতিহাস ২ শত বছর পূর্বের। এদেশের মুসলমানরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সমস্যায় জর্জরিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : ভেনেজুয়েলায় তাবলিগী কার্যক্রম কেন্দ্রের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মুহাম্মাদ আলী খাদেমী ইসফাহানী ভেনেজুয়েলায় তার তাবলিগী কার্যক্রম সম্পর্কে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন : ভেনেজুয়েলায় তাবলিগী এ কেন্দ্রের কার্যক্রম ১৯৮৭ সাল হতে শুরু হয় এবং এটা ছিল এদেশের প্রথম শিয়া কেন্দ্র। আমি এ অঞ্চলের প্রবেশের পূর্বে এ অঞ্চলে অন্য কারো কোন কার্যক্রম ছিল না এবং আমি ঐ বছর হতেই কাজ শুরু করি। মার্গারিটা দ্বীপে ৩৫০০০ স্কয়ার মিটার একটি জমি ক্রয় করে ইমাম মাহদী (আ. ফা.) সেন্টার নামে নামকরণ করার পর সেটাকে সরকারী রেজিষ্ট্রেশন করে ইরানে ফিরে আসি।

হুজ্জাতুল ইসলাম খাদেমী বলেন : যেহেতু এ অঞ্চলে মুসলমানদের কোন কবরস্থান ছিল না তাই আমি দ্বিতীয় সফরে ভেনেজুয়েলা সরকারের অনুমোদন নিয়ে ঐ দ্বীপে একটি ইসলামি কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করি। এরপর হতে শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবেরই মৃত্যু ব্যক্তিদেরকে ঐ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তিনি আরো বলেন : এদেশের বিভিন্ন স্থানে শিয়ারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। আর এ কারণে বিগত ২৩ বছরে ভেনেজুয়েলার বিভিন্ন শহরে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক ইসলামি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যে সকল ইসলামি কেন্দ্র বর্তমানে ভেনেজুয়েলাতে তত্পর সেগুলো হচ্ছে : মার্গারিটা দ্বীপে অবস্থিত ইমাম মাহদী (আ. ফা.) সেন্টার, সান ফেংস শহরে ১০ হাজার স্কয়ার মিটার জমির উপর অবস্থিত হযরত রাসুলে আকরাম (স.) মসজিদ (যাতে পাথরের উপর ইরানি কারুকার্য করা হয়েছে এবং এর গম্বুজ শেইখ লুতফুল্লাহ মসজিদের সাদৃশ্য), কারাকাস শহরে অবস্থিত ইমাম হাদী (আ.) সেন্টার, ভ্যালেন্সিয়া শহরে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার, মারাকাইবো শহরে অবস্থিত ‘আহলে বাইত (আ.)’ সেন্টার এবং প্রোটোলাকুর্জ শহরে অবস্থিত ইসলামি কেন্দ্র। এগুলো ভেনেজুয়েলার গুরুত্বপূর্ণ শহর যাতে সুন্নি ও শিয়ারা জীবন-যাপন করে এবং বিভিন্ন ইসলামি কেন্দ্র তত্পর রয়েছে। আগামীতে আমাদের সন্তানদের জন্য এদেশে ইসলামি স্কুলও চালু করা হবে ইনশা আল্লাহ।

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মুহাম্মাদ আলী খাদেমী বলেন : এদেশে সাধারণ মুসলমান ও শিয়া মাযহাবের অনুসারীদের উপস্থিতির ইতিহাস ২০০ বছর পূর্বের। অভিবাসী মুসলমানরা লেবানন হতে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে এদেশে হিজরত করেন। এদেশের জনগণের একটি অংশ শিয়া মাযহাবের অনুসারী, যারা এদেশের বিভিন্ন শহরে বসবাস করে। প্রায় ২০ হাজার লেবাননীজ শিয়া এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জীবন-যাপন করছে এবং তাদের অধিকাংশ কারকাস শহর ও মার্গারিটা দ্বীপে বসবাস করে। ভেনেজুয়েলার অভিবাসী মুসলমান ও শিয়াদের মূল পেশা হচ্ছে ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক ভাবে তারা ভাল অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন : সাংস্কৃতিক সমস্যা এদেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ এদেশে মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য কোন মুসলিম স্কুল নেই। দুঃখজনকভাবে আমাদের সন্তানরা যেহেতু ইসলাম দেশসমূহ হতে দূরে অবস্থান করে, তাই যদি চাই তারা ইসলামি সাংস্কৃতিতে বেড়ে উঠুক তবে অবশ্যই তাদের জন্য ইসলামি স্কুল চালু করতে হবে, যাতে তাদেরকে ইসলামি সংস্কৃতি শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মার্কিন মিত্ররাই সিরিয়ায় ...
তুরস্কে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি খুন
নিউ ইয়র্কে এবার ছুরিকাঘাতে ...
যশোরে ইমাম বাকির (আ.) এর ...
ফিলিস্তিন ও যায়নবাদ প্রসঙ্গ : ...
‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা.)’ মুভি ...
শিশু নীরব হত্যা মামলার প্রধান ...
স্কুলে হিজাব পরায় মার্কিন মুসলিম ...
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ...
আয়াতুল্লাহ জাকজাকি বেঁচে আছেন ...

 
user comment