রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তুদের জন্য ত্রাণ ততপরতায় বাধা না দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের জীবনমান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব এ সংস্থা।
মানবাধিকার ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ভ্যালেরি অ্যামোস গতকাল (শুক্রবার) মিয়ানমার সফর শেষে বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান উদ্বাস্ত হয়েছে এবং তাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দরকার।
চার দিনের সফরে অ্যামোস দেশটির পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলীয় উদ্বাস্তু শিবিরগুলো ঘুরে দেখেন। তিনি জানান, "মানবিক সহায়তার প্রয়োজন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এবং এটা এখন বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, রাষ্ট্রবিহীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেসব উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করছে সেগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ এবং এগুলোতে অনেক বেশি গাদাগাদি করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এমনকি যেসব উদ্বাস্তু শিবিরে মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে সেগুলোতেও জনগণের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ভ্যালেরি অ্যামোস জানান, উদ্বাস্তু শিবিরগুলোর শিশুরা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলে যেতে পারে না, পুরুষরা তাদের পরিবারের জন্য কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারে না এবং এ অবস্থায় সব জায়গায় একটা সাধারণ হতাশা রয়েছে। তিনি উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর অনুমতি দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের এ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, ছয় মাস ধরে প্রায় ৪০ হাজার উদ্বাস্তুর কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি এ কাজে বাধা দিয়ে আসছে। শীতকালে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অবস্থা ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কাও করেন অ্যামোস।
source : http://bangla.irib.ir