মাহদাভীয়াত বিভাগ: আবির্ভাবের পর ইমাম মাহদী (আ.) নিজেকে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মাধ্যমে পরিচয় করাবেন। সুতরাং সে পর্যন্ত যেন বিশ্বের সকল মানুষ ইমাম হুসাইন(আ.)-কে চিনে থাকে।
আরবাইন তথা চল্লিশায় ইমাম হুসাইন(আ.)-কে জিয়ারত করার জন্য সর্ব প্রথম যিনি কারবালায় এসেছিলেন তিনি হচ্ছেন জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রা.) এবং তার পর এসেছিলেন মহানবীর আহলে বাইতের সদস্যরা। সে ঘটনার ১৩৭৩ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু তার পর থেকে সর্বদা আলেম ওলামাগণ ইমাম হুসাইন(আ.)-এর চল্লিশার গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তারা পায়ে হেটে নাজাফ থেকে কারবালায় আসতেন। উমাইয়া ও আব্বাসীয় রক্ত পিপাসু জালিম শাসকদের চরম বাধা সত্ত্বেও পবিত্র ইমামগণও এই সুন্নত বজায় রেখে ছিলেন।
আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকী বাহজাত পায়ে হেটে ইমাম হুসাইনের চল্লিশার জিয়ারতের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন: রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে; ইমাম মাহদী(আ.)আত্মপ্রকাশ করার পর নিম্নের বাক্যের মাধ্যমে পাঁচটি আওয়াজ দিবেন
اَلا یا اَهلَ العالَم اِنَّ جَدِی الحُسَین قَتَلُوهُ عَطشاناً، اَلا یا اَهلَ العالَم اِنَّ جَدِی الحُسَین سحقوه عدوانا،...
আবির্ভাবের পর ইমাম মাহদী(আ.) নিজেকে ইমাম হুসাইন(আ.)-এর মাধ্যমে পরিচয় করাবেন। সুতরাং সে পর্যন্ত যেন বিশ্বের সকল মানুষ ইমাম হুসাইন(আ.)-কে চিনে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের সকলেই ইমাম হুসাইন(আ.)-কে চেনে না। আর এর জন্য দায়ী আমরা। কেননা আমরা ইমাম হুসাইন(আ.)-কে এত জোরে ডাকতে পারি নি যে, সারা বিশ্বের মানুষ তাকে চিনতে পারবে। ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চল্লিশার জিয়ারতের জন্য পায়ে হাটা ইমাম হুসাইন(আ.)-কে বিশ্ববাসীর নিকট পরিচয় করানোর জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম।
যদিও সর্বদাই ইমাম হুসাইন(আ.)-এর জিয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিন্তু তারপরও মানুষ সকল বাধা অতিক্রম করে এবং জীবনের মায়া ত্যাগ করে চল্লিশার দিন ইমাম হুসাইন(আ.)-এর রওজায় হাজির হতেন।
source : http://shabestan.net