ইমাম সাদিক (আ.) এর পবিত্র শাহাদাত বার্ষিকীতে বার্তা সংস্থা আবনা পাঠকদের উদ্দেশ্যে মহান এ ইমাম হতে বর্ণিত কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হল।
ইমাম সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত কয়েকটি হাদীস
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনা : ষষ্ঠ ইমাম হযরত ইমাম সাদিক (আ.) ২৫শে শাওয়াল ১৪৮ হিজরীতে তত্কালীন অত্যাচারী আব্বাসীয় খলিফা মানসুর দাওয়ানেকী কর্তৃক বিষপ্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর পবিত্র এ শাহাদাতের দিনে মহান এ ইমাম হতে বর্ণিত ১৪টি হাদীস এখানে উল্লেখ করা হল।
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন :
(১) ‘গিবত হল; তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কোন কথা বলা যে কথাকে মহান আল্লাহ্ গোপন রেখেছেন'। (মিযানুল হিকমাহ, হাদীস ১৫৫১০)
(২) ‘তিনটি বিষয় ব্যতীত কোন উত্তম কাজই পরিপূর্ণ হয় না : ঐ কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জলদি করা, ঐ কাজকে ক্ষুদ্র মনে করা এবং ঐ কাজকে গোপন রাখা'। (খাসায়েসুল আইম্মাহ, পৃ. ১০০)
(৩) ‘সবচেয়ে উত্তম প্রশান্তি হল জনগণ হতে কোনরূপ আশা না রাখা'। (মিশকাতুল আনওয়ার, পৃ. ৩২৪)
(৪) ‘আত্মীয়তা রক্ষা করা, কেয়ামতের দিনের হিসাবকে সহজ করে দেয়'। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৭৮, পৃ. ২১০)
(৫) ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখে, মহান আল্লাহ্ তার পার্থিব ও পরকালীন সকল কাজের জন্য যথেষ্ট, যে সকল কাজের কারণে সে বিচলিত'। (তোহাফুল উকুল, পৃ. ৩০৪)
(৬) ‘আজ পৃথিবীতে এমন কাজ করো, যার মাধ্যমে আগামীকাল পরকালে সফলকাম হওয়ার আশা রাখতে পারো'। (তোহাফুল উকুল, পৃ. ৩০৬)
(৭) ‘যে ব্যক্তি কোন মু'মিনকে কোন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার জন্য ধিক্কার দেয়, সে ঐ গুনাহে নিজে লিপ্ত না হওয়া অবধি মৃত্যুবরণ করে না'। (উসুলে কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ৩৫৬)
(৮) ‘আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যে ব্যক্তি মধ্যপন্থা অবলম্বন করে সে কখনও অভাবী হয় না'। (আল-খেছাল, পৃ. ৯)
(৯) ‘তোমরা তোমাদের পিতার প্রতি বদন্যতা দেখাও, যাতে তোমাদের সন্তানরা তোমাদের প্রতি বদান্যতা দেখায়'। (তোহাফুল উকুল, পৃ. ৩৫৯)
(১০) ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য ভালবাসে, মহান আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শত্রুতা পোষণ করে এবং মহান আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য দান করে, সে ঐ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত যাদের ঈমান পরিপূর্ণ'। (উসুলে কাফী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৮৯)
(১১) ‘যখন দু'জন মুসলমান পরস্পরের সাথে সাক্ষাত করে তখন তাদের মধ্যে ঐ মুসলমান অন্যজন অপেক্ষা উত্তম যে অন্যজনকে অধিক ভালবাসে'। (উসুলে কাফী, খণ্ড ৩, পৃ. ১৯৩)
(১২) ‘সকল উত্তমকাজ একটি গৃহে রক্ষিত, আর তার চাবী দুনিয়া বিমূখতার মাঝে নিহীত'। (প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯৪)
(১৩) যখন মহান আল্লাহ কোন বান্দার কল্যাণ চান তখন তাকে দুনিয়া হতে বিমূখ, দ্বীনের বিষয়ে জ্ঞানী করেন এবং দুনিয়ার ত্রুটি সম্পর্কে তাকে অবগত করেন। আর যাকে এ ধরণের বৈশিষ্ট্য দান করা হয় তাকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করা হয়'। (প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯৬)
(১৪) মহান আল্লাহ্ হতে এমন ভাবে ভয় পাও যেন তুমি তাঁকে দেখছো, আর যদি তুমি তাকে না দেখো তবে (স্মরণ রেখো) তিনি তোমাকে দেখছেন'। (প্রাগুক্ত, পৃ. ১১০)
source : www.islamquest.net