বাঙ্গালী
Sunday 1st of September 2024
0
نفر 0

নুহের (আ.) মহাপ্লাবন, দুটি শিলালিপি ও পাঁচ মাসুম

এখন থেকে ১৪১ সৌর বছর আগে ( খ্রিস্টিয় তেসরা ডিসেম্বর, ১৮৭২ সালে) হযরত নুহ (আ.)'র যুগের মহাপ্লাবন সংক্রান্ত প্রাচীনতম দলিলের ভাষার অর্থ উদ্ধার করেছিলেন বিখ্যাত পণ্ডিত ও গবেষক জর্জ স্মিথ।

চালাদিয়ান যুগের (বা নব্য ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৬-৫৩৯) ওই দলিলটি ছিল কিলকীয় (কিউনিফর্ম) সাংকেতিক ভাষার একটি শিলালিপি যা আবিষ্কৃত হয়েছে মেসোপটেমিয়ায় (আধুনিক ইরাকে)। এর আগে নুহের প্লাবন সম্পর্কে কয়েক শত বছর ধরে ইহুদি ধর্ম গ্রন্থের প্রচারিত বক্তব্যকে এ সম্পর্কিত প্রাচীনতম দলিল বলে মনে করা হত।

লন্ডনের ‘সোসাইটি অফ বাইবিলিকেল আরকিওলজি'-তে এ শিলালিপির ভাষা অনুবাদ করে পড়ে শোনান স্মিথ। তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ওই শিলালিপির খণ্ডগুলোকে একত্রিত করেন। ইরাকের নিনেভা বা নেইনাভা থেকে শিলালিপিটি আনা হয় ব্রিটিশ জাদুঘরে। এ শিলালিপিকে 'গিলগামেশ বীরত্ব গাঁথা'র ১১ তম শিলালিপি বলে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ ওহি বা ঐশী প্রত্যাদেশ পবিত্র কুরআনে হযরত নূহ (আ.)'র যুগের মহাপ্লাবনের ঘটনা স্থান পেয়েছে। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী ইরাকের কুফা শহর ছিল হযরত নুহ (আ.)'র শহর। তার আবাসস্থল ছিল ঠিক সেখানে যেখানে বর্তমানে রয়েছে কুফার বড় মসজিদ ও আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.)'র শাহাদতের স্থান। কুফা বর্তমানে ইসলামের অন্যতম প্রধান পবিত্র শহর। যাই হোক্, এই শহর থেকেই শুরু হয়েছিল সেই মহাপ্লাবন। অবিশ্বাসীরা বা কাফিরদের সবাই ডুবে যায়। শুধু নুহ (আ.) ও ঈমানদার ব্যক্তিরা নুহ (আ.)'র নির্মিত বিশাল কিশতি বা নৌকায় উঠে বেঁচে ছিলেন।

আরো একটি ঐতিহাসিক শিলালিপি ও পাক-পাঞ্জতন বা ইসলামের পাঁচ মাসুম ব্যক্তিত্ব

উল্লেখ্য হযরত নুহ (আ.)'র নৌকা ককেশাস অঞ্চলের যে পর্বতে থেমেছিল সেই ‘আরারাত' পর্বতে আবিষ্কৃত একটি শিলালিপি বর্তমানে মস্কোর জাদুঘরে রয়েছে। বর্তমানে অপ্রচলিত এক প্রাচীন সেমিটিক ভাষার এই শিলালিপিতে এক আল্লাহর প্রতি মুনাজাত বা দোয়া রয়েছে বলে ভাষার বক্তব্য বা বিষয়বস্তুর অর্থ উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তারা আরো বলেছেন, এই দোয়া বা প্রার্থনায় পাঁচ জন পবিত্র ব্যক্তির নাম নেয়া হয়েছে ওয়াসিলা বা সুপারিশ পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে। তাঁদের নাম হল: হামদা, ইলিয়া, বাতুলা, শাবারা এবং শুবাইরা। ইসলামী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাঁচ মহামানব হলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), হযরত আলী (আ.), হযরত ফাতিমা (সালামুল্লাহি আলাইহা), হযরত ইমাম হাসান (আ.) এবং হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)।

ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের এই চার সদস্যদের ওয়াসিলা দিয়ে মুনাজাত করেছেন হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত মুসা (আ.) ও ঈসা (আ.)সহ সব নবী-রাসূল।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন পুজদেমন
৪১৮ যাত্রী নিয়ে প্রথম হজ্ব ফ্লাইট ...
পাকিস্তানের কুয়েত্তা শহরে ...
বাহরাইন সরকারকে অবশ্যই ...
সামেরা শহরে ৫ বিস্ফোরণ ; বদর ...
ইয়েমেনের জনগণের সমর্থনে লন্ডনে ...
عراقی فوج اور سید الشھدا(ع) رضاکار فورس کا صوبہ ...
ইমাম মুসা কাযেম (আ) এর শাহাদাত ...
রায় প্রত্যখ্যান করে সমাবেশ : ...
পাকিস্তানেও লেগেছে একুশের ...

 
user comment