সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেইখ আব্দুল আযিয আলুশ শেইখ, মহানবী (স.) ও মানবাধিকার শিরোনামে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে, রিয়াদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারিত অনুষ্ঠানমালা দেখার বিষয়টি হারাম হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন : যে সকল স্যাটালাইট চ্যানেল সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে, তারা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু!
নারীদের ড্রাইভিংয়ের বৈধতা দানের বিষয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার দাবীকে উপেক্ষা করে তিনি বলেন : নারীদের ড্রাইভিং হারাম ঘোষণা একমাত্র কারণ, আমরা চেয়েছি এ অপকর্ম হতে ইসলামী সমাজকে রক্ষা করতে, যাতে জনগণ গুনাহের শিকার না হয়।
সম্মেলনে মদিনা মুনাওয়ারাহ'র মেডিকেলের ছাত্রদের উপস্থিতিতে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন : সরকারের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ছাত্রদের উচিত সমমনা ও ঐক্যবদ্ধ হয়।
((تفسیر آیه اطیعوا الله و اطیعوا الرسول و اولی الامر منکم)) পবিত্র কুরআনের এ আয়াতের বিভ্রান্ত ও মনগড়া তাফসির করে আলুশ শেইখ আরো বলেন : ((اولی الامر)) অর্থ হচ্ছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ও সৌদি বাদশাহ। আর এ আয়াতের তাফসিরের ভিত্তিতে তাদের অনুসরণ ও আনুগত্য করা ওয়াজিব!
সৌদি আরবের কিছু কিছু অঞ্চলে সরকারের বিরোধিতার -যেমন আশ-শারকিয়া অঞ্চলের শিয়ারা- কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন : সমাজের যে সকল ব্যক্তিরা উম্মাহ'র ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং দেশের কর্মকর্তাদের আনুগত্য করে না তারা এ আয়াতের শামিল নয়। অতএব, তারা উলিল আমরেরও আনুগত্য করে না।
আলুশ শেইখ আরো বলেন : যে সকল মুসলমান (সরকারের বিরুদ্ধে) অভিযোগ তোলে তারা শুধু শরিয়ত অনুমতি দেয় না এমন কাজে লিপ্ত নয় বরং এ ধরনের কাজ করতে শরিয়ত নিষেধ করেছে।
সম্মেলন শেষে এ বিষয়টি নির্ধারিত হয় যে, মহানবী (স.) এর প্রতি সর্বাধিক সেবা দানকারী ব্যক্তিকে সৌদি আরবের বাদশা ‘আব্দুল্লাহ' নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।