কোরআন ও মায়ারেফ বিভাগ: ইরানের মাশহাদ নগরীর ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বলেন: ২৩ জিলকদ হচ্ছে তার জিয়ারতের দিন। আর ইমাম রেজা (আ.)-এর জিয়ারতের সওয়াব এক মিলিয়ন কবুল হজের সমান।
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ইরানের মাশহাদ নগরীর ফেরদৌসী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হুজ্জাতুল ইসলাম জাফর ইসলামী ফার বলেন: ২৩ জিলকদ হচ্ছে তার জিয়ারতের দিন। আর ইমাম রেজা (আ.)-এর জিয়ারতের সওয়াব এক মিলিয়ন কবুল হজের সমান।
হুজ্জাতুল ইসলাম জাফর ইসলামী ফার বলেন: জিলকদ মাস হচ্ছে চারটি হারাম মাসের একটি। এই মাসের প্রথমে হযরত মাসূমা সালামুল্লাহ আলাইহার জন্মদিন, ১১ তারিখে ইমাম রেজা(আ.)-এর জন্মদিন এবং এই মাসের শেষের দিকে হযরত ইমাম জাওয়াদ(আ.)-এর শাহাদাত দিবস।
তিনি বলেন: ইমাম রেজাকে(আ.) এই মাসেই মদিনা থেকে খোরাসানে নিয়ে আসা হয়। এই মাসের সকল উপলক্ষ ও ঘটনাবলী ইমাম (আ.)-এর সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণেই ২৩ জিলকদকে তার জিয়ারতের দিন হিসাবে ধার্য করা হয়েছে।
হুজ্জাতুল ইসলাম জাফর ইসলামী ফার ইমাম রেজা(আ.)-এর সম্মানকে রাসূল(সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি সম্মান উল্লেখ করে বলেন: ইমাম রেজা(আ.)-এর জিয়ারত রাসূল(সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি সম্মান। কেননা মহান আল্লাহ সূরা হুজুরাতে বলেছেন: যারা রাসূল(সা.)-এর সাথে বেয়াদবি করবে আল্লাহ তাদের সকল ভাল কর্মকে বৃথা করে দিবেন। আর যারা রাসূল(সা.)-এর সাথে ভদ্র আচরণ করবে এবং রাসূল(সা.)-এর সামনে মাথা নত করবে, আল্লাহ তাদরে সকল গোনাহ মাফ করে দিবেন।
তিনি বলেন: পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে রাসূল(সা.)-এর আহলে বাইতও তার মত সম্মানিত। যারা তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে আল্লাহ তাদের গোনাহ মাফ করে দিবেন। আর একারণেই ইমামগণের যিয়ারতের সওয়াব ও ফজিলত এত বেশী।
তিনি বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার ও আমার আহলে বাইতের সদস্যদের জিয়ারত করবে আমিও তাদের জিয়ারতে যাব। এবং কিয়ামতের সকল ভয় থেকে তাদেরকে মুক্তি দিব।
হুজ্জাতুল ইসলাম জাফর ইসলামী ফার বলেন, ইমাম জাওয়াদ (আ.) ইমাম রেজা(আ.)-এর জিয়ারতের ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন: আমার পিতার জিয়ারতের সওয়াব হাজার হাজার এমনকি এক মিলিয়ন কবুল হজের সমান।
তিনি বলেন: একমাত্র রাসূল(সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইতের আনুগত্যের মাধ্যমেই মানুষের আমল আল্লাহর নিকট কবুল হবে।
হুজ্জাতুল ইসলাম জাফর ইসলামী ফার বলেন: যারা এই দিনে রাসূল(সা.) ও ইমাম রেজা(আ.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তার জিয়ারত করবে সে অধিক সওয়াবের অধিকারী হবে।