১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী দুই পক্ষ অষ্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরীর মধ্যে 'সান জারমান' চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ভিত্তিতে অষ্ট্রিয়া সাম্রাজ্য ভেঙ্গে অষ্ট্রিয়া হাঙ্গেরী ও চেকোশ্লোভাকিয়া গঠিত হয় এবং এর কিছু ভূখন্ড ইতালী, যুগোশ্লাভিয়া, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার সাথে মিশে যায়। এ ছাড়া এই চুক্তিতে অষ্ট্রিয়া-জার্মান জোট বাতিল করা হয় এবং এ দুটো দেশকে যে কোন ধরণের সামরিক ও রাজনৈতিক জোট গঠন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অষ্ট্রিয়া ও জার্মানী কোনভাবেই যাতে পুনরায় শক্তি সঞ্চার করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য বিজয়ী পক্ষ চুক্তিতে ঐসব শর্ত জুড়ে দেয়।
১৯৫৪ সালের এই দিনে আলজেরিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে প্রচণ্ড ভূমিকম্প হয়। ঐ ভূমিকম্পের ফলে ৩০ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি শহর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং আরো বহু লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। ঐ ভূমিকম্প আলজেরিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক বিরুপ প্রভাব ফেলে।
আজ থেকে ২৭ বছর আগে এই দিনে ইরানের তাবরিয শহরের জুমার নামাজের খতিব ও ইমাম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আসাদুল্লাহ মাদানী সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। তিনি ফার্সী ১২৯৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইরানের কোম ও ইরাকের নাজাফ শহরে যান এবং সেখানে ধর্মতত্ত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ ইজতিহাদ অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন থেকেই তিনি ইরানের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং শাহের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। ইরানের বিপ্লবী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের জন্য তাকে বেশ ক'বছর বন্দী ও কারাজীবন ভোগ করতে হয়েছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হলে বিপ্লবের স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনী (র:) এর নির্দেশে তিনি ইরানের তাবরিয শহরে জুমার নামাজের খতিব নিযুক্ত হন। ফার্সী ১৩৬০ সালের ২০শে শাহরিভার শুক্রবার জুমার নামাজ পড়া অবস্থায় তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
ফার্সী ১৩৭৩ সালের এই দিনে ইরানের বিশিষ্ট গবেষক ও কোরআন বিশারদ ড: মোহাম্মদ রমইয়ার পরলোক গমন করেন। তিনি ইরানের ধর্মীয় নগরী মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে ধর্মীয় নানা বিষয়ে পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে তিনি দর্শন ও আইন শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন এবং ফার্সী ১৩৫৬ সালে তিনি জার্মানীর এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বেশ কিছুকাল তেহরান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী ষ্টাডিজ অনুষদের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিন ইসলাম ও কোরআন সম্পর্কে বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন।
আজ থেকে ৫৭৭ বছর আগে এই দিনে জ্যোতির্বিদ্যার অন্যতম নক্ষত্র 'ওলোগ বেগ' পরলোক গমন করেন। হিজরী ৭৯৬ সালে তিনি ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর যানজানে জন্ম গ্রহণ করেন। তার শৈশব কালটা কাটে পিতামহ তৈমুরের দরবারে। ১৬ বছর বয়সে তিনি তৎকালীন ইরানের অন্তর্ভূক্ত দূর প্রাচ্যের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। পিতামহ তৈমুরের মত রাজ্যজয়ের নেশা তার ছিলনা। তিনি অধিকাংশ সময় পড়ালেখা ও গবেষণার কাজে ব্যয় করতেন। শিক্ষার প্রসারে তিনি এমন একটি শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে জ্যোতির্বিদ্যার চর্চা হতো। ৮২৮ হিজরীতে তিনি সমরকান্দ শহরে তিনতলা বিশিষ্ট একটি মানমন্দির নির্মান করেন।
১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিকদের একজন সুকুমার রায় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি ভারতের কোলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন। সুকুমার রায় অনুপম ভাষায় শিশু-কিশোরদের উপযোগী গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ লিখে সবার মন জয় করেন। তার এসব সাহিত্যকর্ম সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ ও কৌতুকরসে পরিপূর্ণ। তার কবিতায় সমাজচেতনাও অনন্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তার আদিনিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। অস্কারপ্রাপ্ত বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ছিলেন তারই পুত্র।
বিচিত্র প্রতিভার অধিকারী সুকুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকীর্তি হলো : âআবোল-তাবোল'; âবহুরূপী'; âহ-য-ব-র-ল'; âপাগলা দাশু'; âখাই খাই'; âঅবাক জলপান', âশব্দকল্প দ্রুম'; âঝালাপালা' ইত্যাদি। #