বাঙ্গালী
Saturday 4th of May 2024
0
نفر 0

রজব মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ

রজব মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ

বিশেষ গুরুত্ববহ পবিত্র মাস ‘রজব'। এ মাসের বিষয়ে বহু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। স্বয়ং মহানবী (স.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর নিকট অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস, ফজিলতের দিক থেকে কোন মাস এর সমপর্যায়ে নয়। এ মাসে কাফেরদের সাথেও যুদ্ধ করা হারাম করা হয়েছে। রজব মাস আল্লাহর মাস, শাবান মাস আমার মাস এবং রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, মহান আল্লাহ্ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন, মহান আল্লাহর ক্রোধ তার হতে দূরীভূত হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহের একটি দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনা : হযরত মুসা ইবনে জাফার (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, জাহান্নামের আগুন এক বছরের জন্য তার হতে দূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি ৩ দিন রোজা রাখে তার উপর বেহেশ্‌ত ওয়াজিব হয়ে যায়'।

তিনি আরো বলেছেন : ‘রজব হচ্ছে বেহেশতের একটি ঝর্ণাধারার নাম; যার (পানি হচ্ছে) দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। যে ব্যক্তি এ মাসের একটি দিন রোজা রাখে সে অবশ্যই এ ঝর্ণাধারা হতে পানি পান করবে।

ইমাম সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী (স.) বলেছেন : ‘রজব মাস হচ্ছে আমার উম্মতের ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনার মাস। অতএব, এ মাসে অত্যাধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা মহান আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু। রজব মাসকে ((أصل)) বলা হয়, কারণ এ মাসে আমার উম্মতের উপর আল্লাহর অত্যাধিক রহমত বর্ষিত হয়, অতএব, ((أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَ أَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ)) (আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আসআলুহুত তাওবাহ) -এ যিকরটি অত্যাধিক পড়।

সালেম হতে ইবনে বাবাওয়াইহ বর্ণনা করেছেন : রজব মাস শেষ হতে কয়েকদিন বাকি ছিল, আমি ইমাম সাদিক (আ.) এর সাক্ষাতে গেলাম। যখন তাঁর দৃষ্টি আমার উপর পড়লো, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন : এ মাসে রোজা রেখেছো? আমি বললাম : না, হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান।

তিনি বললেন : এতটা সওয়াব তোমার হাতছাড়া হয়েছে যার পরিমাণ মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা। নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে মহান আল্লাহর মাস। মহান আল্লাহ্ একে অন্যান্য মাসের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন, এ মাসের মর্যাদাকে অত্যাধিক বৃদ্ধি করেছেন এবং এ মাসে রোজাদারদের সম্মানিত করণকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নিয়েছেন।

অতঃপর আমি বললম : হে আল্লাহর রাসূল (স.) এর সন্তান, যদি আমি এ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলিতে রোজা রাখি তবে কি ঐ সওয়া প্রাপ্ত হব? তিনি বললেন : হে সালেম! যে ব্যক্তি এ মাসের শেষ দিনগুলির একদিন রোজা রাখে মহান আল্লাহ্ তাকে মৃত্যুপূর্ব যন্ত্রণা, মৃত্যুর পর ভয় এবং কবরের আযাব হতে নিরাপত্তা দান করেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসের শেষের দিনগুলির দু'টিতে রোজা রাখে সে পুলে সিরাত সহজেই অতিক্রম করবে। যে ব্যক্তি এ মাসের শেষ দিনগুলির ৩ দিন রোজা রাখবে সে কেয়ামত দিবসের বৃহত ভয়, সেদিনের তীব্র আতংক হতে নিরাপদ থাকবে... জেনে রাখো, রজব মাসের রোজার জন্য অত্যধিক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এমনও বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ এ মাসে রোজা রাখতে সক্ষম না হয় তবে ((سُبْحَانَ الْإِلَهِ الْجَلِیلِ سُبْحَانَ مَنْ لا یَنْبَغِى التَّسْبِیحُ إِلا لَهُ سُبْحَانَ الْأَعَزِّ الْأَكْرَمِ سُبْحَانَ مَنْ لَبِسَ الْعِزََّ وَ هُوَ لَهُ أَهْلٌ)) [উচ্চারণ : সুবহানাল ইলাহিল জালিল, সুবহানা মান লা ইয়ম্বাগীত তাসবীহ ইল্লা লাহু, সুবহানাল আয়াজ্জিল আকরাম, সুবহানা মান লাইসাল ইজ্জা ওয়া হুওয়া লাহু আহলুন]-এ তসবিহ পাঠ করবে, যাতে সে রোজার সওয়াব লাভ করে।

পবিত্র রজব মাসের বিভিন্ন দোয়া ও ফজিলত :

(১) মহানবী (স.) হতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র রজব মাসে একশত বার

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِى لا إِلَهَ إِلا هُوَ وَحْدَهُ لا شَرِیكَ لَهُ وَ أَتُوبُ إِلَیْهِ

-এ দোয়াটি পাঠ করবে এবং সদকা প্রদানের মাধ্যমে দোয়া শেষ করবে (দোয়া শেষে সদকা প্রদান করবে)। তার উপর মহান আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত (বর্ষিত হবে), আর যে ব্যক্তি ৪০০ বার পড়বে তাকে ১ শত শহীদের সওয়াব দান করবেন।

(২) আল্লাহর নবী (স.) হতে বর্ণিত হয়েছে : ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে এক হাজার বার ((لا إله إلا الله)) [লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্] বলবে, মহান আল্লাহ্ তাকে ১ লক্ষ নেকি দান করবেন এবং তার জন্য বেহেশতে ১ শত শহর নির্মাণ করবেন।

(৩) সাইয়্যেদ ইবনে তাউস তার গ্রন্থে মহানবী (স.) হতে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েত এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, (এ মাসে) সূরা ইখলাস পাঠের বিষয়ে তিনি (স.) ব্যাপক ফজিলতের কথা উল্লেখ করেছেন যে, এ মাসে ১০ হাজার বার বা ১ হাজার বার বা ১ শত বার সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করা (অতি উত্তম)। এছাড়া আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি রজব মাসের শুক্রবার দিন ১ শত বার সূরা তওহিদ তেলাওয়াত করবে, কেয়ামতের দিন একটি নূর তাকে বেহেশতের দিকে নিয়ে যাবে।

(৪) সাইয়্যেদ ইবনে তাউস মহানবী (স.) হতে বর্ণনা করেছেন : যদি কোন ব্যক্তি রজব মাসে শুক্রবার দিন যোহর ও আছরের নামাযের মাঝে (দুই রাকাত করে) ৪ রাকাত নামায আদায় করে এবং প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৭ বার আয়াতুল কুরসি ও ৫ বার সূরা ইখলাস পাঠ করে, অতঃপর ১০ বার ((أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِى لا إِلَهَ إِلا هُوَ وَ أَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ)) -এ যিকর পাঠ করে, যেদিন হতে সে এ নামায পড়েছে সে দিন হতে তার মৃত্যুর দিন অবধি মহান আল্লাহ্ প্রতিদিন ১ হাজার নেকি প্রদান করবেন, যে সকল আয়াত সে তেলাওয়াত করেছে তার প্রতিটি আ

 


source : www.abna.ir
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

পিতা মাতার সাথে উত্তম আচরণ
উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা (আ.)
মহানবী (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (২)
তাকওয়া হাসিলের উপায়
পুনরুত্থান দিবস
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের দিনগুলি ...
ইসলামী ঐক্য : গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আকাশ, পৃথিবী ও হযরত আদম (আ.) সৃষ্টি ...
দাওয়াতে দ্বীনের গুরুত্ব ও ...
কারবালার বীর নারী হযরত যায়নাব (আ.)

 
user comment