আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : ৬১ হিজরীর ১০ই মহররম, মুয়াবিয়ার কুলাঙ্গার পুত্র ইয়াজিদের নির্দেশ ইরাকের কারবালা প্রান্তের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় মহানবী (স.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.) ও ইমাম আলী (আ.) এর সন্তান ইমাম হুসাইন (আ.) কে। তিনি ৭১ জন সঙ্গী-সাথীসহ পিপাসার্ত অবস্থায় কারবালার মরু প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হন। তারই চল্লিশা উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শোক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে এ দিবস। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, কুরআন তেলাওয়াত, মার্সিয়া পাঠ, বক্তৃতা, আহলে বাইত (আ.) এর উপর বয়ে যাওয়া মুসিবতের বর্ণনা, নওহা পাঠ, আযাদারী, শোক র্যা লী ও আপ্যায়ন ইত্যাদি।
রাজধানী ঢাকা, খুলনা (খালিশপুর), সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা শহরে শোক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আজ।
প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশের সর্ববৃহত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনাতে। আগামীকাল আয়োজিত এ অনুষ্ঠান খুলনাস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী'র উদ্যোগে এবং ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিলের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আহলে বাইত (আ.) এর ভক্তরা এ শোক অনুষ্ঠান ও শোক মিছিলে অংশ গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, এ দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সর্ববৃহত সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় ইরাকের কারবালা শহরে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নাগাদ সেখানকার উপস্থিতির সংখ্যা ২ কোটি অতিক্রম করেছে। ইরাকের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইমাম হুসাইন (আ.) এর প্রতি শোক প্রকাশ করতে আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীরা সমবেত হন পবিত্র এ শহরে।#
source : www.abna.ir