রেডিও তেহরানের বরাত দিয়ে আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: নাইন ইলেভেনের বার্ষিকীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্থানে পবিত্র কোরআন পোড়ানো এবং ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাসের কাছে ইহুদিদের হাতে মুসলমানদের ঐশি ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। তাঁর পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো:
রেডিও তেহরান : যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাসের কাছে একদল ইহুদিবাদি পবিত্র কোরআন অবমাননা করার মতো ঘৃণ্য কাজ করেছে। এ সব ঘটনাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
আহমদ আব্দুল কাদের : দেখুন, এ সব ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। বিশ্বজুড়ে কোরআন এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যে সব ঘটনা ঘটছে তার পেছনে বরাবরই ইহুদিবাদি ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। তা ছাড়া, তাদের প্রভাবিত খৃষ্টান বিভিন্ন গ্রুপও একইভাবে ইসলাম, মুসলিম ও কোরানের বিরুদ্ধে সব সময় এ ধরনের কাজ করছে। আমি মনে করি, ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদিরা দীর্ঘ দিন ধরে যে ষড়যন্ত্র করে আসছে এবং পরবর্তী সময়ে খৃষ্টান সম্প্রদায় এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে -তারই ধারাবাহিকতায় আজকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনা ঘটলো। এর পেছনে যে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রয়েছে সে বিষয়টি মুসলমানদের মনে রাখতে হবে। একইসাথে ইহুদিবাদি ও খৃষ্টানদের এ ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। ইহুদিবাদিরা তাদের এ সব চক্রান্ত থামাবে না যদি মুসলমানরা কার্যকরভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ায় এবং তীব্র প্রতিবাদ না করে।
রেডিও তেহরান : ব্যক্তির স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা বা বাক-স্বাধীনতা সংরক্ষণের নামে মার্কিন সরকার কোরআন পোড়ানো কর্মসূচির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এর মাধ্যমে সে দেশের ৮০ থেকে ৯০ লাখ মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার লংঘন করা হয়েছে অথচ মুসলমানদের অধিকার রক্ষা করা ছিল ওই সরকারের দায়িত্ব। পাশাপাশি বিশ্বের দেড়শ' কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হলো এবং তাদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা হলো না। তো, মার্কিন সরকারের এই ব্যক্তি স্বাধীনতা সংরক্ষণের দোহাই দেয়া কতটা গ্রহণযোগ্য?
আহমদ আব্দুল কাদের : দেখুন, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়; আমি বলবো এটি তাদের নিরেট ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। বরাবরাই দেখা গেছে, মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় এলে তারা নীরব ভূমিকা পালন করে । মুসলমানদের ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে, তাদের অধিকারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কোনো গুরুত্ব দেয় না বরং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলে বা অবস্থান নেয় তখন তাদের পক্ষ নিয়ে তারা ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রশ্নটি তোলে। একইসঙ্গে নীরবতা পালন করে বা কোনো কোনো সময় এমনটিও বলে থাকে যে- এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই বা করার নেই। আসলে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সব ব্যাপারে দ্বৈতনীতি বা ডাবল স্টান্ডার্ড গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক কালে কোরআন পোড়ানোর কর্মসূচি বা ঐশি গ্রন্থ পবিত্র কোরআনের অবমাননার ঘ্টনা তারই একটি উত্তম নজির। কেবলমাত্র এবারের ঘটনা নয়, বরাবরই আমরা দেখেছি এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং তার মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মুখে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে। কার্যত তারা সেটি করে বিশেষ গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে আর এর ভিকটিম হয় মুসলমানরা। দেখা যায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে বা কোরআনের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে সেখানে যদি মুসলমানরা প্রতিবাদ করে তখন তারা ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই তুলে তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। তাদের দৃষ্টিতে ব্যক্তি স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে- ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আমি মনে করি ব্যক্তি স্বাধীনতার স্লোগান তুলে তারা মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন ঘটনা থেকে এটা বোঝা যায় আমেরিকা এবং পশ্চিমাদের ব্ক্তব্য হচ্ছে- ইসলাম, মুসলিম ও কোরআনের বিরুদ্ধে যারা অব্স্থান নেবে তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা সংরক্ষণ করতে হবে।
এ জন্য আমি মনে করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্রদের ইসলাম, মুসলমান এবং পবিত্র ঐশি ধর্মগ্রন্থ কোরআন নিয়ে যে মনোভাব তা খুবই নিন্দনীয়। এটি তাদের দ্বিমুখী অবস্থান এবং তা বন্ধ না করা হলে পৃথিবীর কোথাও ব্যক্তি স্বাধীনতা বা ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
রেডিও তেহরান : কথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ক্রুসেডের কথা বলেছিলেন যদিও পরে তিনি তা শুধরে নিয়েছিলেন। এর পরে সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্মের নামে ব্যাপকভাবে ভয়ভীতি ছড়ানো হয় এবং এ কাজে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে। এরপর কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলো যা বিশ্বের নজিরবিহীন। তো এ সবই কী এক সূত্রে গাঁথা বলে আপনি মনে করেন?
আহমদ আব্দুল কাদের : আমি প্রশ্নের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। অবশ্যই এ সবই এক সুত্রে গাঁথা। মূলত: তাদের এই যে মনোভাব- ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা, ব্যাপক প্রচারণা চালানো, ইসলামপন্থীদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা -এ সবই করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। তারা ইসলাম নামের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও ভয়ভীতি জড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আর আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের এই প্রবণতা কিন্তু আজকে নতুন কোনো বিষয় নয়। তারা যখন যেভাবে সুযোগ পেয়েছে তখনই সেখানে ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে আজ এই যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, ইসলামকে বিকৃত করা হচ্ছে; নানারকম উস্কানি দেয়ার চেষ্টা চলছে, মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে- এ সবই গভীর ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত। আমি আবারও বলছি- এ সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা না হলে তা চলতেই থাকবে।
রেডিও তেহরান : পবিত্র কোরআন পোড়ানোর মতো এতবড় একটা মারাত্মক ঘটনার পর কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করা হলো না। এর কারণ কি?
আহমদ আব্দুল কাদের : দেখুন, আমি প্রথমেই স্বীকার করব যে- ন্যক্কারজনক ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে যেভাবে বা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যেভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। কেন হয়নি সে বিষয়ে বলার আগে আমি বলে নেব যে- বাংলাদেশ ইসলাম বিরোধী যে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এসেছে। প্রসঙ্গক্রমে বলব- তাসলিমা নাসরিন ইস্যু, সালমান রুশদী ইস্যু, রাসূল (সাঃ) এর কার্টুন ইস্যু এবং কোরআন অবমাননাসহ এ জাতীয় যতগুলো ইস্যু এসেছে সব সময় বাংলাদেশের জনগণ তার বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিয়েছে, সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু, বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে- সাম্রাজ্যবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের যে ধরনের ভূমিকা পালন করার কথা ছিল সে ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। দেশের বর্তমান এ পরিস্থিতির কথা আপনাদের হয়তো জানা আছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট আজ এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, মুসলমানদের অস্তিত্বরক্ষা করা এবং ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করার বিষয়টি বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নানা কারণে ইসলামী দলগুলো অত্যন্ত শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। ইসলামী দলগুলোর ভবিষ্যত কি হবে সে বিষয়টি এখন অস্পষ্ট। আমি মনে করি, এ সব পরিস্থিতির কারণে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর কর্মসূচির বিরুদ্ধে সেভাবে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ হতে পারেনি। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, মাত্র কিছু দিন আগে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের অভিযোগ তোলা হয়েছে, জঙ্গীবাদের ধুয়া তুলে অনেক আলেম উলামাকে গ্রেফতার করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে; বর্তমানেও অত্যাচার চলছে। আর এ রকম যে কোনো ঘটনা ঘটলে সরকার সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিষয়টিকে জঙ্গীবাদের সাথে জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এটিও একটি কারণ বলে আমি মনে করি।
এ ছাড়া, সাম্প্রতিক কোরআন অবমাননার ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ না হওয়ার পেছনে ঈদ-উল ফিতরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আপনারা জানেন যে- বাংলাদেশের ঈদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো নয়। এখানে ঈদের সময় এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে, রাজধানী শহর একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে চলে যায় নাড়ির টানে। ফলে, বিক্ষোভ প্রতিবাদের জন্য যে লোকবল দরকার সেটি হয়ে ওঠেনি ঈদের কারণে। যার কারণে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের যে ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল, এর বিরুদ্ধে কথা বলার দরকার ছিল তা হয়ে ওঠেনি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের অন্যান্য অবস্থা এবং ঈদের কারণে এমনটি হয়েছে এবং সঠিক দায়িত্বটা আমরা পালনে ব্যর্থ হয়েছি। তবে, এ কথা স্বীকার করি- এ সব কথা বলে দায় এড়ানো যায় না। এ সব ব্যাপারে আরো সোচ্চার এবং সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি। এ ধরনের যে কোনো ইস্যুতে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা এবং প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা, জনাব আহমদ আবদুল কাদের,ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ভালো সম্পর্কের কারণে কী এরকম হলো ? এমনই ধারণা করছেন অনেকে বা কোনো কোনো মহল থেকে এ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, আপনি কি বলবেন?
আহমদ আব্দুল কাদের : আমার মনে হয়- আপাতত এ কথা বলা যাবে না। এখন সাম্রাজ্যবাদের প্রশ্নে যদি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্ন তোলা হয় সে ক্ষেত্রে কোনো কোনো দল হয়তো এমনটি মনে করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকা এমন যে- দেশের সরকারও তাদের সঙ্গে মিলে থাকতে চাইছে। সরকার আমেরিকার পক্ষ নিয়ে এমন ভূমিকা পালন করছে যে, এ সব কারণে যে কোনো বিষয়ে আমাদের খুব সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। অনেক বিষয়ে কর্মসূচি নিতে বা কথা বলতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। ফলে, এটি ভালো সম্পর্কের প্রশ্ন নয়; এটি কৌশলগত প্রশ্ন। এ ধরনের বিষয় হয়তো কোনো কোনো দলের ক্ষেত্রে হতে পারে তবে, সব দল এমন নীতিতে চলে- সেটি আমি মনে করি না। বেশিরভাগ ইসলামী দল বোঝানোর চেষ্টা করে তারা গণতন্ত্র এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করে এবং তারা গণতন্ত্রের পথে আছে, জঙ্গীবাদ বা সন্ত্রাসের পথে নয়।
আমি বলবো- ইসলামী দলগুলোর বা আমাদের পক্ষে আজ থেকে ১০ বছর আগে যেভাবে কার্যক্রম চালানো সম্ভব ছিল বর্তমানে সেভাবে কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আগে আমরা যেভাবে ইসলামের পক্ষে কথা বলতে পারতাম, ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করতে পারতাম এখন সেভাবে কথা বলতে বা প্রতিবাদ জানাতে পারছি না। বর্তমান সরকার সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ট হিসেবে যে কাজ করছে সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। সে জন্যে আমাদেরকে সবসময় সাম্রাজ্যবাদের স্থানীয় শক্তি বা স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে যারা কাজ করছে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তারপরও আমি বলবো যে, সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে ইসলামী দলগুলোর সম্পর্ক নিয়ে যে কথা উঠছে তা ঠিক নয়; ইসলামী দলগুলো মৌলিকভাবে সাম্রাজ্যবাদের প্রশ্নে সব সময় বিরোধিতা করে এসেছে এবং বিরোধিতা করা উচিত। তাদের সঙ্গে ইসলামী দলগুলোর আপোষের কোনো সুযোগ নেই এবং দলগতভাবে সে প্রশ্ন অবান্তর। তবে, সরকারে যদি কোনো দল থাকে এবং সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক কোনো বিষয় সৃষ্টি হয় সেটি ভিন্ন বিষয়।
আমি মনে করি, সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে ইসলামী দলগুলোর যে ভূমিকা পালন করা উচিত তা অবশ্যই করতে হবে। কখনও যদি এর ব্যত্যয় ঘটে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় কৌশলগত বিষয় বলে মনে করতে হবে। তবে, আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলব যে, সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে ইসলামী দলগুলো লিয়াজোঁ রক্ষা করে চলছে সে কথা সত্য নয়। বাহ্যিকভাবে কোনো কোনো দল যে লিয়াজোঁ রক্ষা করার চেষ্টা করছে, সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে- বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য এমনটি করা হচ্ছে। তারা এটি বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, তারা জঙ্গীবাদের সঙ্গে নেই।#
সূত্র: রেডিও তেহরান।
source : www.abna.ir