পরিপূর্ণরূপে কুবানি শহর থেকে আইএসআইএলে'র পশ্চাদপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুবানি রক্ষী বাহিনী।
আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : আইনুল আরব খ্যাত কুবানি শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে সিরিয়ান কুর্দিরা।
সিরিয়ার সরকার বিরোধী এক মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ‘কানি আরাবান', ‘মাদরাসা তাশরিনে'র অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ‘মাকতালা' অঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে কুবানি শহরকে আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়ে তাদেরকে শহর থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে কুর্দি যোদ্ধারা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে কুবানি শহরের উত্তরের পাশ্ববর্তী কিছু এলাকায় আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি রয়েছে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, ১৮ বছরের যুবকদের নিয়ে গঠিত ১৪০ সদস্যের একটি দলকে -যারা সম্প্রতি তাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছিল- এ অঞ্চলে প্রেরণ করেছিল আইএসআইএল।
এদিকে ‘মামিদ' ও ‘তারমিক' অঞ্চলের উপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে কুর্দিদের মদতপুষ্ট বিভিন্ন দল। গত রোববার (২৫শে জানুয়ারী) আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কুর্দিরা ‘মাদরাসা শারিয়াত' ও ‘সাইদান মসজিদ'ও দখল করে নেয়।
গতকাল (২৬শে জানুয়ারী) ভোরে গণবাহিনী'র সশস্ত্র এক অভিযানে কৌশলগত ‘মাশতা নূর' পাহাড়ের চূড়াকে সন্ত্রাসী মুক্ত করে সেখানে পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ পাহাড়টির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলেপ্পো ও রাক্কাহ শহর থেকে আইএসআইএলে'র প্রয়োজনীয় রসদপত্র সরবরাহকারী রুটটি বিচ্ছিন্ন হল।
কুবানি প্রতিরক্ষা বাহিনী'র সহকারী প্রধান ‘উজলান ইসো' জানিয়েছেন, কুবানি থেকে পশ্চাদপসারণ করেছে আইএসআইএল। কুর্দিশ চ্যানেল ‘রুদাও' কুর্দি পেশমার্গ বাহিনী'র এক কমান্ডারের উদ্ধৃতি দিয়ে কুবানি শহর মুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘ চারমাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কুবানি শহর থেকে আইএসআইএলকে বিতাড়িত করার বিষয়টি আইএসআইএল'র জন্য বড় পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৩ সালে তাদের তত্পর হওয়ার পর এটাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়। এ পরাজয়, সন্ত্রাসী এ দলটির আধিপত্য প্রসারের পথে একটি বড় আঘাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।
উল্লেখ্য, ১৬ই সেপ্টেম্বর কুবানি শহরে হামলার পর থেকে এ নাগাদ আইএসআইএলে'র ১০০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।#
source : www.abna.ir