আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সন্ত্রাসী বাহিনী বোকো হারামের মোকাবিলায় এদেশের সেনাবাহিনীর ঘাটতিকে পূরণ করতে গণবাহিনী গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ। নিজেদের এলাকা ও শহরগুলোকে তাকফিরি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
ইতিমধ্যে মোবি শহরে গঠিত গণবাহিনী বোকো হারামের হাত থেকে শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। শহরটি গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বোকো হারামের দখলে ছিল। বসে নেই গুয়ুক অঞ্চলের জনতাও। তারা তাদের শহরের চারপাশে বাঙ্কার তৈরী ও ট্রাপ স্থাপন করেছে। বোকো হারামের হামলা থেকে শহরকে নিরাপদ রাখতে তাদের এ চেষ্টা।
এর মাঝে এ সকল গণবাহিনী বোকো হারাম সন্ত্রাসী দলের -যাদের হামলায় সম্প্রতি মাসগুলোতে হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে- সদস্যদের শাস্তি দেওয়া শুরু করেছে।
কয়েকদিন পূর্বে গণবাহিনী'র একটি টহল দল ৪ ব্যক্তিকে বোকো হারামের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করে শহরের প্রবেশ মুখে হত্যা করেছে।
গুয়ুক শহরের বাসিন্দা ‘দাউদা' এ সম্পর্কে জানিয়েছেন : এ ঘটনা সম্পর্কে আমি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি। সে হাইওয়েতে ড্রাইভিং করছিল, এ সময় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে ভীড় দেখতে পেয়ে কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, গণবাহিনী'র হাতে বোকো হারামের ৪ সদস্য নিহত হওয়ার কথা। উত্সুক জনতা তখনও লাশগুলোকে ঘিরে রেখেছিল। স্থানীয়রা আরো জানায়, ঐ ৪ ব্যক্তি শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে গণবাহিনী'র সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, অতঃপর তাদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।
গণবাহিনী'র সদস্য এবং কিছু কিছু লোকের ভাষ্যানুযায়ী, বোকো হারামের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। কারো বোকো হারামের সাথে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে অস্ত্র নিয়ে মোটর সাইকেলে ড্রাইভ করবে।
গণবাহিনী'র কমান্ডারদের বর্ণনা অনুযায়ী, বোকো হারাম সন্ত্রাসীরা শহরে হামলা করতে চায় এমন তথ্য তাদের কাছে রয়েছে।
এদিকে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বোকো হারামের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৬০০ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী ও গণবাহিনী। বোকো হারাম জঙ্গীরা সম্প্রতি কয়েকটি শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে ২ হাজারেরও অধিক লোককে হত্যা ও তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
গণবাহিনী'র এহেন সহিংসতার পরও তাদেরকে দেশের নতুন বীর বলে আখ্যায়িত করে তাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন নাইজেরিয়ার প্রসিডেন্ট ।#
source : www.abna.ir