বাঙ্গালী
Wednesday 27th of November 2024
0
نفر 0

হযরত মুহাম্মাদ (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (১)

হযরত মুহাম্মাদ (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (১)

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামে'র নবুয়্যত প্রাপ্তি দিবসে সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। যে নবী (স.) ভালবাসা, ন্যায়নিষ্ঠতা, মানবতা, মুক্তি এবং উত্তম চরিত্রের বাণী নিয়ে মানব জাতির হেদায়েতের উদ্দেশ্য এ পৃথিবীর বুকে পদার্পন করেছিলেন। আজ তাঁরই নবুয়্যত প্রাপ্তি দিবস। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দিন হতেই তাঁর উপর ওহী অবতীর্ণ শুরু করেন।

এ পবিত্র দিনে সর্বশ্রেষ্ট মানব ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস দু'টি পর্বে আবনা পাঠকদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হল। মহান আল্লাহ, তাঁর নবী এবং নবী'র আহলে বাইতের পথে চলার তওফিক আমাদেরকে দান করুন।

(১) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ‘বিজ্ঞজনদের মাঝে গর্ব করার উদ্দেশ্যে, মূর্খদের সাথে তর্ক করার উদ্দেশ্যে, সভায় প্রশংসা কুড়ানোর জন্য, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, নেতৃত্ব লিপ্সুতার জন্য ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে জ্ঞানের সন্ধান করো না। যদি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কারো উদ্দেশ্য এমন হয় তবে তার স্থান হবে জাহান্নাম'। [লি-আলীল আখবার, পৃ. ১৯৩]

(২) মহানবী (স.) বলেছেন : ‘তোমারা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্য সৃষ্টি হওনি, বরং তোমরা অবশিষ্ট থাকার জন্য সৃষ্টি হয়েছো। আর তোমরা [মৃত্যুর মাধ্যমে] এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হবে'। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৩, পৃ. ১৬১)

(৩) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘আশা-আকাঙ্খা আমার উম্মতের জন্য একটি রহমত স্বরূপ, যদি আশা না থাকতো তবে কোন মা তার সন্তানকে দুধ পান করাতো না এবং কোন মালিই গাছ লাগাতো না' (তথা কোন কৃষকই চাষাবাদ করতো না)। (সাফিনাহ, আমাল, পৃ. ৩০)

(৪) হযরত (স.) বলেছেন : ‘ঈমানদার ব্যক্তিদের সম্মান জনগণ হতে তাদের অমুখাপেক্ষীতার মাঝে নিহীত, আর মুক্তি ও আত্মমর্যাদা অল্পে তুষ্টতার মাধ্যমে অর্জিত হয়'। (আদাব ওয়া আখলাক দার ইসলাম, পৃ. ৩১৮)

(৫) নবি করিম (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে আয়াতাল কুরসী পড়ে, মহান আল্লাহ্ তাকে রক্ষার জন্য একটি ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যাতে সে সুস্থ অবস্থায় সকালে পৌঁছায়' (বা জাগ্রত হয়)। (তাফসিরে মিনহাজুস সাদিকীন, খণ্ড ২, পৃ. ৯২)

(৬) রাসূলে (স.) বলেছেন : মহানবী (স.) কে জিজ্ঞেস করা হল, কেয়ামতের দিনের পরিত্রাণ কোন জিনিসের মাঝে নিহীত?

তিনি উত্তরে বললেন : ‘পরিত্রাণের একমাত্র পথ তোমরা হচ্ছে মহান আল্লাহকে ধোকা দিও না, এমনটি করলে মহান আল্লাহও তোমাদেরকে ধোকা দিবেন। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহকে ধোকা দেয় মহান আল্লাহও তাকে ধোকা দেন এবং তার হতে ঈমান কেড়ে নেন, যদি সে বুঝতে পারে তবে [বুঝবে যে] প্রকৃত অর্থে সে নিজেকেই ধোকা দিয়েছে'। বলা হল হে আল্লাহর রাসূল কিভাবে আল্লাহকে ধোকা দেওয়া হয়? তিনি বললেন : ‘মহান আল্লাহ্ যে কর্ম সম্পাদনের নির্দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন তা তোমরা সম্পাদন করো কিন্তু তোমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে [আল্লাহ ব্যতীত] অন্য কেউ'। অতঃপর বললেন : তাকওয়া অর্জন কর এবং লোক দেখানো হতে দূরে থাকো, কেননা লোক দেখানো বা রিয়া হচ্ছে মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা। লোক দেখিয়ে কর্ম সম্পাদনকারীকে কেয়ামতের দিন ৪টি নামে ডাকা হবে : হে কাফের, হে পাপাচারী, হে ধোকাবাজ, হে ক্ষতিগ্রস্থ, তোমার সকল কর্ম ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তোমার সকল সওয়াব বাতিল হয়ে গেছে'। (আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৫৮২)

(৭) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আমি উত্তম নৈতিকতার পরিপূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি'। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৭, পৃ. ৩৭২)

(৮) মহানবী (স.) বলেছেন : ‘সর্বোত্তম নৈতিকতার অধিকারী ব্যক্তিরা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম; যারা জনগণকে ভালবাসে এবং জনগণও যাদেরকে ভালবাসে'। (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৮০)

(৯) নবি করিম (স.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে বৃদ্ধদেরকে সম্মান কর এবং ছোটদেরকে স্নেহ করো'। (আমালিয়ে সাদুক, পৃ. ৯৪)

(১০) আল্লাহর রাসুল (স.) বড় ও বয়োজেষ্ঠ্যদের সম্মান সম্পর্কে বলেছেন : ‘মহান আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি রূপ হচ্ছে মুসলিম বৃদ্ধ ও বয়োজেষ্ঠ্যদের প্রতি সম্মান করা'। (আল-কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৫)

(১১) মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম বৃদ্ধকে সম্মান করে, মহান আল্লাহ্ তাকে কেয়ামতের দিনের ভয় হতে নিরাপত্তা দান করেন'। (লি-আলি'ল আখবার, পৃ. ১৮১)

(১২) এক বৃদ্ধ ব্যক্তি মহানবী (স.) এর সমীপে উপস্থিত হল, কিন্তু উপস্থিত ব্যক্তিরা কেউই তার সম্মান করলো না এবং তাকে জায়গা দিতে অলসতা দেখালো। (উপস্থিতদের এহেন আচারণে অসন্তুষ্ট হয়ে) মহানবী (স.) বললেন : ‘যারা আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করেনা এবং বৃদ্ধদের প্রতি সম্মান দেখায় না, তারা আমাদের হতে নয়'। (মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৬৮)

(১৩) দুই জাহানের রহমতের নবী (স.) হতে বর্ণিত : ‘তোমাদের সন্তানদেরকে সম্মান করো এবং তাদের সাথে আদবের সাথে আচরণ করো'। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১১৪)

(১৪) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : ‘তিনটি এমন জিনিষ আছে যাতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি; প্রথম : প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের। দ্বিতীয় : পিতা মাতার প্রতি দয়াশীল হওয়া, চাই তারা মুসলমান হোক বা কাফের। তৃতীয় : আমানত রক্ষা করা, চাই অপর পক্ষ মুসলমান হোক বা কাফের'। মাজমুয়াতুল ওয়ারাম (তানবিহুল খাওয়াতের), খণ্ড ২, পৃ. ১২১)

(১৫) হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি কথায় অধিক স

 


source : www.abna.ir
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মিথ্যা অভিযোগে হেরাতে শিয়া আলেম ...
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদার ...
আবনা : ইয়েমেন আগ্রাসীদের ...
সিরিয়া- লেবানন অভিন্ন সীমান্তে ...
বাহরাইনে ইমাম হোসাইন (আ.)এর ...
পশ্চিমবঙ্গে প্রবীণ খ্রিস্টান ...
মোরায় কক্সবাজারে দুই শতাধিক ...
ক্যান্সার দিবস : যে লক্ষণগুলো ...
আনসারুল্লাহ'র দখলে সৌদি আরবের ...
২৮০ জন শরণার্থীকে সমুদ্রে ...

 
user comment