পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের একটি শিয়া মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৯ ব্যক্তি শহীদ হয়েছে।
আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। জুমআর নামাযের উদ্দেশ্যে সমবেত মুসল্লিদেরকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে অন্তত ১৯ ব্যক্তি শহীদ এবং অপর ৬০ জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পুলিশের পোশাকে কয়েকজন সন্ত্রাসী মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়ে। অতঃপর তাদের একজন সাথে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্যভর্তি বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। পেশোয়ারের হায়াতাবাদ অঞ্চলে এ সন্ত্রাসী হামলার সময় প্রায় ৮০০ মুসল্লি জুমআর নামায আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতর অথবা এর বাইরে অবস্থান করছিল।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত এ শহরের পুলিশ প্রধান ‘মিয়াঁ সাঈদ' জানিয়েছেন, জুমআর নামাযের জন্য সমবেত মুসল্লিদের মাঝে সশস্ত্র ব্যক্তিদের একটি দল ঢুকে গুলি করা শুরু করে। এ সময় মসজিদ ভবনের ভেতর থেকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহীন হুসাইন রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, মুসল্লিরা নামায শেষ করা মাত্রই সামরিক পোশাকধারী ৫/৬ ব্যক্তি হামলা শুরু করে। তারা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে গুলি চালাতে থাকে। মসজিদের ভেতরে কি ঘটছে তা বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীদের একজন তার সাথে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আমাদের চারপাশে ধুলা ও ধোঁয়ায় ভরে যায়।
এদিকে, এ সন্ত্রাসী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে পাকিস্তানের ‘তাহরিকে তালেবান'। উগ্রতাবাদী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বহু বছর ধরে পাকিস্তান সরকারের সাথে যুদ্ধ করছে তালেবান জঙ্গীরা। খায়বার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী মুশতাক গণি বলেছেন, ওই অঞ্চলে উগ্রবাদী তালেবান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে এ হামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকার আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তালেবান বিরোধী অভিযান বৃদ্ধি করলে তা এদেশের সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য কোন সুফল বয়ে আনেনি বরং তারা পূর্বের ন্যায় প্রতিনিয়ত উগ্রতাবাদী হামলার শিকার হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় অন্তত ৬১ জন শিয়া মুসলিম শহীদ হয়।#
source : www.abna.ir