আবনা : যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটেই ভাষাশহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। এর পরপরই শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই নেতাই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়েও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী পুষ্পমাল্য অর্পণের পরপরই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদ, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যাঁরা রাজপথ রাঙিয়েছিলেন, গভীর শ্রদ্ধায় তাঁদের স্মরণ করতেই একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সফররত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সফরসঙ্গী মুনমুন সেন, প্রসেনজিৎ, দেব, নচিকেতাসহ অন্যরা।
শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন মমতা ও তাঁর সঙ্গীরা। বাংলাদেশ সফরে আসা মমতার সাথে শহীদ মিনারেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দেখা হয়। সেখানে কিছু সময় কুশল বিনিময় করেন তাঁরা।
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল শনিবার সকালে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর নেতা আবু সাঈদ খোকন।
এ সময় ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যরাতে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘিরে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর থেকে বেশি আসছে শিশু-কিশোরের দল। কেউ বা নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে, কেউ বা বাবা-মা-স্বজনদের সঙ্গে। লাখো মানুষের পদভারে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে আমাদের এ প্রতিবাদের স্মারক শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসেছেন। বাদ যাননি বয়স্করাও। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ নিজ নিজ ব্যানারে শ্রদ্ধা অর্পণ করতে এসেছেন শহীদ মিনারে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৫ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন দিনটি ঘিরে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।#
source : www.abna.ir