আবনা : ইয়েমেনের জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন আনসারুল্লাহ’র ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
পরিষদ তার ভাষায় ‘অধিকৃত সমস্ত অঞ্চল’ থেকে সরে আসতে এবং সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে আনসারুল্লাহর কাছে দাবি জানিয়েছে। প্রস্তাবে আনসারুল্লাহর নেতা সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি ও তাঁর একজন ঘনিষ্ঠ মিত্রের সফর ও সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশে তাদের সম্পদ আটক করা যাবে।
প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং সৌদি বিমান হামলার শিকার ইয়েমেনের নাগরিকদের জন্য ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দেয়ার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। গতকাল (মঙ্গলবার) নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। রাশিয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকলেও প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভেটো দেয়নি।
গত ২৬শে মার্চ থেকে ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নিল। নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির খসড়া উত্থাপন করেছে জর্দান ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এই প্রস্তাবকে ইয়েমেনে সৌদি হামলার প্রতি সমর্থন বলে দাবি করেছেন এবং সৌদি সরকারের দাবি মানা না হলে ইয়েমেনে চলমান সৌদি হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে আনসারুল্লাহর সমর্থিত ইয়েমেনের বিপ্লবী গণকমিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গতকালের প্রস্তাবটির নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় বিপ্লবী কমিটি এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভে অংশ নিতে ইয়েমেনের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইয়েমেনে বর্তমানে আনসারুল্লাহর সমর্থিত একটি অস্থায়ী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এই সরকারের প্রতি দেশটির বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে।#
source : abna