২০ এপ্রিল (রেডিও তেহরান): ইয়েমেনের জনপ্রিয় ইসলামী গণ-প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রধান সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি বলেছেন, তার দেশের জনগণ সৌদি-মার্কিন আগ্রাসনের কাছে কখনও নতজানু হবে না।
তিনি গতকাল (রোববার) টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এই মন্তব্য করেছেন।
সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য সব ধরনের পন্থা ও মাধ্যম ব্যবহারের অধিকার ইয়েমেনি জনগণের রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইয়েমেনে চলমান সৌদি আগ্রাসন মার্কিন সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং ইহুদিবাদী কর্মকর্তাদের বক্তব্য থেকেই তা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারই সৌদিদের এ আগ্রাসন শুরু করার অনুমতি ও নির্দেশ দিয়েছে এবং এ সরকারই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তা পরিচালনা করেছে। আগ্রাসনে ইয়েমেনের শিশুসহ সব কিছুকেই টার্গেট করা হয়েছে বলে সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি মন্তব্য করেন।
সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি সৌদি সরকারকে মার্কিন সরকারের গোলাম বা সেবাদাস হিসেবে অভিহিত করেন এবং সৌদিরা মার্কিন নীল-নক্সা বাস্তবায়নে কেবল মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মার্কিন সরকার ও ইহুদিবাদী ইসরাইল কী আরবদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং ইসলামের পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায় আগ্রহী? মার্কিন সরকার ও ইসরাইলের কোলে কোন্ আরববাদ বিকশিত হচ্ছে?’
তিনি ইয়েমেনের রাজনৈতিক বিরোধকে ঘরোয়া বিষয় হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার সৌদি সরকারের নেই। ইয়েমেনের জনগণই নিজ ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি উল্লেখ করেন।
তিনি ইয়েমেনের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে অন্যায্য, তবে বিস্ময়কর নয় বলে মন্তব্য করেন।
সাইয়্যেদ আবদুল মালিক হুথি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিয়মিত গণ-বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় ইয়েমেনিদের প্রশংসা করেন এবং এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংহতি জোরদারের লক্ষ্যে ইয়েমেনিদের ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। #
source : abna