আবনা : সৌদি আরব আজ ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমান বন্দরে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে। এতে বিমান বন্দরে আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া, বিমান বন্দরের অদূরে আদ্ দেইলামি সামরিক বিমান ঘাঁটিসহ আশেপাশের আরো কয়েকটি সামরিক স্থাপনায়ও হামলা হয়েছে। প্রচণ্ড এসব হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে। আমেরিকার সবুজ সংকেতে সৌদি আরবের হামলায় এ পর্যন্ত ইয়েমেনের ৯০০ লোক নিহত এবং ১৭০০’র বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
এদিকে, ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরের জনগণ গতকাল জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সৌদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, শত্রুরা ভেবেছিল হামলা চালিয়ে ইয়েমেনের জনগণকে পরাজিত করা যাবে এবং তারা আত্ম সমর্পণ করবে। কিন্তু তাদের সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
ওদিকে, ইসরাইল ও সৌদি আরবের অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে ইয়েমেনে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অনেক বিলম্ব প্রতিক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘ ইয়েমেনে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানিয়ে বলেছে, সৌদি হামলায় এ পর্যন্ত বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৮০টি শিশু রয়েছে। জাতিসঙ্ঘের এক হিসাবে বলা হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও পাচ্ছে না।
জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে এক লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশী মানুষ ব্যাপক পানি সংকটে পড়েছে। অন্যদিকে জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল ইউনিসেফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইয়েমেনের এক লাখের বেশি শিশু পুষ্টিহীনতার সম্মুখীন হতে পারে। আহতদের সংখ্যা এত বেশি যে, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির মুখপাত্র মেরি ক্লার বলেছেন, হাসপাতালগুলো কঠিন সংকটে পড়েছে এবং তারা সব আহতদেরকে চিকিৎসা দিতে পারছে না। সৌদি বিমান হামলায় সানা, আল দালি ও এডেন শহরে যে ৩৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি হাসপাতাল ও একটি স্কুলও রয়েছে। #
source : abna