ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ হামলাকে পরিকল্পিত এবং সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করেছে করাচি পুলিশ। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন দলই এ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয় সূত্র নিষিদ্ধ সিপাহে সাহাবা সন্ত্রাসী দলকে এ হামলার জন্য দায়ী করছে।
পাকিস্তানে শিয়া ব্যক্তিত্ব হত্যার বিষয়টি বেশ কিছু বন্ধ থাকার পর পূনরায় শুরু হয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন পাক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার, ২৮শে এপ্রিল) পাকিস্তানের অন্যতম শিয়া সংস্থা ‘তাহরিক-এ নুফাজে ফিকহে জাফারি’র প্রাদেশিক কর্মকর্তা ‘আবেদ হাসান কেজেলবাশ’ খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত পেশোয়ার শহরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। তিনি ছিলেন পেশোয়ার শহরের ধর্মীয় অঙ্গনে সক্রিয় ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। গতবছর মহররম মাসে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় তার ভাইও শহীদ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের শিয়া ব্যক্তিত্ব হত্যাকণ্ডের নেপথ্যে মূলতঃ সবার আগে লশকরে ঝংভি ও সিপাহে সাহাবার নাম উঠে আসে; বিশেষকরে খায়বার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব প্রদেশে।#