আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা): ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের সমালোচনা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা আচার্য ধর্মেন্দ্র। তিনি বলেছেন,‘চীন ভরসা করার মতো যোগ্য বন্ধু নয়। জম্মু-কাশ্মির ছাড়া ভারতের মানচিত্র দেখানোর পর কোনো আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন ব্যক্তি কখনই সেখানে যেতে চাইবে না।’
আচার্য ধর্মেন্দ্র মহারাজ, চীনের পরিবর্তে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, এখন মোদিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের রাস্তায় চলবেন, না বৈশ্বিক নেতা হতে চান।’ সরদার প্যাটেল চীনের উপর কখনই আস্থা রাখতেন না বলে জানান বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা আচার্য ধর্মেন্দ্র।
এদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি পরিচালিত এনডিএ জোটের শরিক শিবসেনা তাদের দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় চীনকে কঠোরভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছ, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হল, তাদের নীতি হচ্ছে সামনে থেকে আলিঙ্গন করা এবং পিছন থেকে ছুরি মারা। একদিকে, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্যাপকভাবে সংবর্ধনা জানাল, অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মির ও অরুণাচল প্রদেশকে মুছে দিল ভারতের মানচিত্র থেকে!’
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনে যাওয়ার পর সেখানকার সরকার নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভিতে খবর সম্প্রচার করার সময় ভারতের মানচিত্র থেকে জম্মু-কাশ্মির এবং অরুণাচল প্রদেশকে বাদ দিয়ে দেখানো হয়।
শিবসেনা মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রশ্ন তোলা হয়েছে,‘যদি চীনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময় চীনের মানচিত্র থেকে তিব্বতকে বাদ দিয়ে দেখাত ভারত, তাহলে কি চীনের মানুষ সেটা মেনে নিতেন?’
শিবসেনার দাবি, ‘চীনের আচরণ থেকে ভারতের বোঝা উচিত, জম্মু-কাশ্মির ও অরুণাচল প্রদেশকে বাইরে রেখে ভারতের মানচিত্র ব্যবহারের প্রশ্নে চীন কখনোই নিজেকে শোধরাবে না।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে বিজেপি উচ্ছ্বসিত হলেও তাদের শরিকদল শিবসেনার পক্ষ থেকে চীনের অবস্থানের এভাবে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আচার্য ধর্মেন্দ্র চীনকে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করে মোদিকে জায়ানবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।#
source : abna