আবনা ডেস্ক: নিউ ইয়র্কে এবার হত্যার শিকার হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারী। কুইন্স এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে কিছু দূরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন নাজমা খানম নামের ওই বাংলাদেশি। উল্লেখ্য, নাজমা খানমের বোনের ছেলে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একজন ট্রানজিট অফিসার। বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর দেখতে পায় আহত নাজমা খানমের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার শরীরের উপরিভাগে ছুরিকাঘাত ছিল। তাকে দ্রুত জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এনওয়াইপিডি মুসলিম অফিসার্স সোসাইটি বৃহস্পতিবার সকালে এক টুইটে জানায়, নিহত নাজমা তাদের সহকর্মী কবিরের খালা ছিলেন। এ খবর দিয়েছে এনবিসি নিউজ নিউ ইয়র্ক। স্থানীয় বাসিন্দা দুরুদ মিয়া মন্তব্য করেন এ হত্যাকাণ্ড হেটক্রাইম ছিল বলে তার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না ৬০ বছর বয়সী একজন নারীর কোনো শত্রু ছিল।
স্থানীয় আরেক গণমাধ্যম পিক্স১১ ডটকম জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার সময় নাজমা খানমের পেছনেই ছিলেন তার স্বামী। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে বাঁচানোর সময় পান নি। নিহত নাজমা খানমের তিন সন্তান রয়েছে। এদের দুজন বাংলাদেশে থাকেন। আরেকজন নিউ ইয়র্কে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কুইন্সের ওজোন পার্ক এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় বাংলাদেশি ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকুঞ্জি ও তার সহযোগী তারা মিয়াকে। ওই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অস্কার মোরেল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১৩ই আগস্ট ইমাম ও তার সহযোগী হত্যার পর থেকেই কুইন্সের স্থানীয় বাংলাদেশি মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বুধবার নাজমা খানমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নাজমা খানম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে।
source : abna24