যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে একটি কলেজে এক মুসলিম তরুণী হিজাব পরে যাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাতে হাফিংটন পোস্ট এমন তথ্য দিয়েছে।
আবনা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে একটি কলেজে এক মুসলিম তরুণী হিজাব পরে যাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাতে হাফিংটন পোস্ট এমন তথ্য দিয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মুসলিম অ্যাডভোকেটস ও স্থানীয় একটি আইনি ফার্ম জর্জিয়া ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটকে একটি চিঠি পাঠিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ড্রেস কোড পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে।
কলেজের কর্মকর্তারা ম্যাকাভয় নামে ওই তরুণীকে বলেন, তার হিজাব কলেজের ড্রেস কোডের সঙ্গে যায় না। হিজাব পরে কলেজে প্রবেশ করায় কর্মকর্তারা বারবার তাকে হয়রানি করেছেন।
ম্যাকাভয় বলেন, কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন- ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি হিজাব পরেছেন। কলেজ প্রশাসনের কাছে যদি এমন ব্যাখ্যা দিয়েও আসেন, তবু তাকে এ পোশাকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
মুসলিম অ্যাডভোকেটসের অ্যাটর্নি নিমরা আজমি বলেন, মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব পরা ও শিক্ষাগ্রহণ অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই হিজাব পরাকে স্বতঃসিদ্ধ অপেশাদার কিংবা রেওয়াজবিরোধী কাজ হিসেবে আমরা ভাবতে পারি না।
তবে স্কুলের ড্রেস কোডে হিজাব পরায় কোনো নিষেধের কথা বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে- শিক্ষার্থীদের পোশাক নিরেট কালো ও অবশ্যই পেশাদার বা রেওয়াজ অনুযায়ী হতে হবে।
ম্যাকাভয় বলেন, তিনি স্কুলের রেওয়াজ অনুযায়ী পোশাক পরেছেন। তিনি কালো ট্রাউজার, কালো শার্ট ও কালো হিজাব পরেছেন।
২১ বছর বয়সী এ তরুণী বলেন, কলেজের প্রেসিডেন্ট তাকে জোর করে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন। তাকে বাড়ি চলে যেতে বলেছেন।