আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সৌদি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইয়েমেনের জন্য ইরানের ত্রাণবাহী কার্গো জাহাজটি আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে পৌঁছেছে।
শুক্রবার রাতে জাহাজটি পৌঁছার পর জিবুতি ও ইথিওপিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী বাহরাইনি জাহাজে যাওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের স্বাগত জানান। পরে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ইরানের প্রথম ত্রাণবাহী কার্গো জাহাজটি জিবুতিতে পৌঁছেছে। ইয়েমেনিদের জন্য ওষুধ ও ত্রাণবহনকারী একটি ইরানি বিমান কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জিবুতিতে পৌঁছবে বলে ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান।
আলী বাহরাইনি বলেন, “ইরানের ত্রাণবাহী কার্গো জাহাজটি ইয়েমেনের হুদাইদা বন্দরে পৌঁছানোর জন্য আমরা জাতিসংঘ ও বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি’র কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইরানের ত্রাণসামগ্রী ইয়েমেনের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।”
গত ১১ মে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর আব্বাস থেকে জাহাজটি ইয়েমেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। জাহাজটিতে কম্বল, কাপড়, ওষুধসহ আড়াই হাজার টন খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। এছাড়া, জাহাজে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, ডাক্তার ও সংবাদকর্মী রয়েছেন। জাতিসংঘের সহযোগিতায় ইরান যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে ত্রাণ পাঠানোর এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানের ৩৪তম নৌবহর ত্রাণবাহী কার্গো জাহাজটিকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, সৌদি আরব ইরানের ত্রাণবাহী দুটি বিমান ফেরত দিয়েছে। ওই দুটি বিমানেও ইয়েমেনের জনগণের জন্য জরুরি ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী নেয়া হয়েছিল।
গত ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরব ইয়েমেনে বর্বর সামরিক আগ্রাসন চালানো শুরু করেছে। এতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। ইয়েমেনের জনগণ সৌদি সরকারের পছন্দের ব্যক্তি মানসুর হাদিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করায় সৌদি রাজপরিবার দরিদ্র এই দেশটিতে হামলা চালিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হাদিকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে চাইছে। সৌদি আরবের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব রয়েছে; শুধু ইরানই ইয়েমেনে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।#
source : abna