আন্তর্জাতিক বিভাগ : ইরানের ৩২তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার জর্ডানিজ বিচারক ‘সামিহ আহমাদ খালেদ উসামেনাহ’ বলেছেন, অমুসলিম দেশ থেকে আগত প্রতিদ্বন্দীরা মাখরাজ, ওয়াকফ ও এবতেদা সঠিকভাবে আদায়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে।
আবনা : বার্তা সংস্থা ইকনাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ইরানের আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী; কোনরূপ বৈষম্য ছাড়াই ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সংখ্যালঘু মুসলমানদেরকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
যা কিছু অন্য প্রতিযোগিতার থেকে ইরানের প্রতিযোগিতাকে আলাদা করে সে সম্পর্কে বলেন : এর অনেক বৈশিষ্ট্যতা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করছে যা চোখে পড়ার মত। প্রতিযোগিতার চলতি অধিবেশনে ৮০টিরও বেশী দেশের প্রতিদ্বন্দীগণ অংশগ্রহণ করছেন। এত সংখ্যক প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ অন্য দেশে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চোখে পড়ে না।
তিনি বলেন: সবচেয়ে মজার বিষয় হল সংখ্যালঘু মুসলমানদের ক্ষেত্রে এখানে কোন বৈষম্যতা নেই। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে মুসলমানদেরকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অথচ অনেক আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশগুলোকে অথবা তাদের সাথে সুসম্পর্কের অধিকারী দেশগুলোকে বা যে সকল দেশের ওয়াকফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
৩২তম প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মত প্রতিদ্বন্দীদের নাম সিলেকশনের জন্য লটারীর সফ্টওয়্যারের মোড়ক উন্মোচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন : প্রথমবারের মত এ ধরনের কোন পদক্ষেপ আমি দেখছি এবং শুধুমাত্র ইরানেই এমন সিস্টেম চালু হয়েছে, অপর কোন দেশে নেই।#
source : abna