আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সৌদি আরবের প্রতীক খচিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান গত সপ্তাহে ইয়েমেনের 'নাকম' পাহাড়ে যে বোমাটি ফেলেছিল তা নিউট্রন বোমা হতে পারে বলে একজন খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন।
গতকাল (সোমবার) বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গর্ডন ডাফ ও জেফ স্মিথের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পরমাণু বিজ্ঞানী গর্ডন ডাফ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ'র পরিদর্শক ছিলেন।
ইয়েমেন থেকে পাওয়া একটি ভিডিও-চিত্র বিশ্লেষণ করে পরমাণু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিস্ফোরণের যে ভিডিও চিত্রটি গত ২০ মে রেকর্ড করা হয়েছে তা যে একটি নিউট্রন বোমার বিস্ফোরণ ছিল এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত জোরালো এবং হামলাটি কেবল ইসরাইলের পক্ষেই চালানো সম্ভব।
তারা আরও বলেছেন, দৃশ্যত সেটি ছিল একটি ছোট নিউট্রন বোমা। বোমাটির আকার, রঙ, আলোকসম্পাত ও মধ্য আকাশে অগ্নি-গোলকের স্থায়িত্ব এবং বিশাল আকৃতির মেঘ-কুণ্ডলীই এর প্রমাণ। এ ছাড়াও চার্য-কাপলড ডিভাইস বা 'সিসিডি' ক্যামেরায় তোলা ছবিতে সাদা পিক্সেল ফ্ল্যাশ দেখা যাওয়ায় বোমাটি যে নিউট্রন বোমা ছিল তা স্পষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইল এর আগেও নিউট্রন বোমা ব্যবহার করেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ কিছুই করছে না বা বলছে না। এ ধরনের বোমা ব্যবহারকে 'সত্যিকারের যুদ্ধ-অপরাধ' হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন, রুশ, চীন ও ফরাসি সরকার অথবা শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-এইট কিছু না বললে জাতিসংঘ এ ধরনের ঘটনা উপেক্ষা করে থাকে।
ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত দুই বার নিউট্রন বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সৌদি আরবের কোনো এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান না থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলের এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমানকেই সৌদি জঙ্গি বিমানের প্রতীকের রঙ্গে আবৃত করে ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। #
source : abna