আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : গত রোববার রাতে কুয়েত্তা শহরের হাজারা সম্প্রদায়ের শিয়াদের উপর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৫ জন শহীদ হয়েছে।
বেলুচিস্তান পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি মোটর সাইকেল যোগে আসা ঐ চার সন্ত্রাসী রেস্টুরেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিয়াদের উপর গুলি চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এ হামলা শিয়াদের বিরুদ্ধে চালানো পরিকল্পিত হামলার অংশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন দল বা ব্যক্তি এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিপাহে সাহাবাই এ হামলার সাথে জড়িত।
এদিকে, সংক্ষিপ্ত এক বার্তায়, সন্ত্রাসী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ‘মুহাম্মাদ নওয়াজ শরিফ’। পাশাপাশি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণের উপর প্রতিনিয়ত এ ধরনের হামলা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের হামলা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি পাক সরকার। বরং সরকারের গড়িমসির কারণে সন্ত্রাসীরা দিনে দিনে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এবং অনায়াসে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করে চলেছে দেশটির বিভিন্ন নিষিদ্ধ, জঙ্গি ও তাকফিরি সংগঠন।
কয়েক সপ্তাহ পূর্বেও করাচীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। যাত্রীদেরকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের চালানো গুলিতে অন্তত ৪৫ জন যাত্রী প্রাণ হারায়। যাদের মাঝে কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে।
ইসলামাবাদের ‘জিন্নাহ’ গবেষণা কেন্দ্রের এক গবেষণার ভিত্তিতে প্রতিবছর পাকিস্তানে সহিংসতার হার বেড়েই চলেছে। ঐ গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ৩ বছরে পাকিস্তানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯০০ শিয়া মুসলিম।
উল্লেখ্য, বিগত মাসগুলোতে হামলার কৌশল পরিবর্তন করেছে সন্ত্রাসীরা। আগে বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলার কৌশল ব্যবহার করলেও বর্তমানে তারা পরিকল্পিতভাবে মোটর সাইকেলযোগে এসে হামলা চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করছে।#