আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : জাতিসংঘ বলেছে, মিয়ানমারে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানের জন্য জরুরি মানবিক ত্রাণসহায়তা দরকার। মিয়ানমারে মুসলিম-বিরোধী নির্যাতন ও হয়রানি অব্যাহত থাকার মধ্যে জাতিসংঘ এ কথা বলল।
জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী সংস্থা গতকাল (শুক্রবার) বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মুসলিম-বিরোধী সহিংতা শুরুর পর গত তিন বছরে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছে এবং এখনো চার লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দরকার। এর মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছে যারা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছে। এছাড়া, অনেকেই রয়েছে বিচ্ছিন্ন বহু গ্রামে যেখানে কোনো ধরনের সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এসব রোহিঙ্গা মুসলমানের কাছে চিকিৎসা ও জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাতে না পারাটা বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, উদ্বাস্ত হওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানের মধ্যে ৪০ হাজার লোক সমুদ্রোপকূলের ৫০০ মিটারের মধ্যে জীবনযাপন করছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়া চরম অবস্থায় পৌঁছালে তাদের বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে।
মিয়ানমারে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বসবাস রয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি স্বীকার করে না। এসব মুসলমানের জন্য নিজ দেশের ভেতরে চলাচলের কোনো স্বাধীনতা নেই, এমনকি সন্তানাদি গ্রহণের বিষয়েও সরকারি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। চাকরি কিংবা কাজকর্ম তাদের কাছে অনেকটা সোনার হরিণের মতো।#
source : abna