মহান আল্লাহর অশেষ প্রশংসা এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত ও ন্যায়পরায়ণ সাহাবিদের শানে অশেষ দরুদ আর সালাম পেশের মাধ্যমে শুরু করছি আজকের আলোচনা।
যে কোনো কারণে কিংবা ভুল বোঝাবুঝির কারণে দু'জন মুসলমানের মধ্যে যদি সম্পর্কের অবনতি ঘটে বা সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় তাদের মধ্যে আবারও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা এবং বন্ধুত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা অত্যন্ত বড় ধরনের সৎকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। সারা বছরে সম্ভব না হলেও এটা হওয়া উচিত পবিত্র রমজান মাসের অন্যতম কর্মসূচি ও সংস্কৃতি। ইসলামী বিধান অনুযায়ী এ জাতীয় প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য মিথ্যা কথা বলাও বৈধ। যেমন, এটা বলা যে, আপনি অমুক ভাইয়ের ওপর খুবই রেগে আছেন, অথচ উনি আপনার অমুক কাজের খুবই প্রশংসা করেছেন!
কখনও গাড়িতে দেখা যায় এক যাত্রী একটি পুরনো নোট দিচ্ছেন ভাড়া হিসেবে কিন্তু চালক তা নিতে চাচ্ছে না। এ বিষয়ে দু'জনই নাছোড়বান্দা। এমন সময় একজন মুমিনের উচিত এটা বলা, আপনার নোটটা আমাকে দিন আর এর পরিবর্তে নিন এই ভালো নোট। এরপর ভালো নোটটি চালককে দিলেই ঝামেলা মিটে যায়। এ ধরনের কাজেও রয়েছে অনেক সাওয়াব। কিংবা দেখছেন যে, কখনও দুই শিশু একই কাজ করার জন্য বা একই খেলনা পাওয়ার জন্য ঝগড়া করছে। তখন তাদের দু'জনকেই একই কাজ অর্ধেক মাত্রায় করতে দেয়া বা খেলনাটিকে সমান সময়ের জন্য উভয়কে ব্যবহার করতে দেয়া- এসবই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু উদ্ভাবনী পন্থা ও কৌশল হতে পারে।
মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। তাই তিনি ক্ষমাশীলদেরও ভালবাসেন। যারা অন্যদের ক্ষমা করে না, আল্লাহও তাদের সহজেই ক্ষমা করবেন না। আসলে প্রতিশোধস্পৃহা ও স্বার্থপরতা মানুষকে ক্ষমা থেকে দূরে রাখে। আমরা অনেক সময় এ আশা করি যে বয়সে ছোট কারও কাছে ক্ষমা চাইলে আমি ছোট হয়ে যাব! কিংবা অমুক যেহেতু বড়দের সম্মান করে না তাকেও কখনও সম্মান দেখাব না! আমরা অনেক সময় ছোটদের কাছে সম্মান আশা করি অথচ তাদেরকে কতটা সম্মান দিয়েছি ও স্নেহ করেছি তার খবর রাখি না। কখনও কি কোনো ছোটো ভাইয়ের জন্য বড় কোনো সুযোগ বা স্বার্থ ত্যাগের কথা ভেবেছি? অথচ মহানবী (সা.) বলেছেন, মু'মিন ভাইয়ের উচিত নিজের জন্য যা পছন্দ করা তা অন্য ভাইদের জন্যও তা পছন্দ করা। আর অন্যদের যেসব মন্দ কাজ বা স্বভাবকে আমরা ঘৃণা করি, নিজেরাও যেন সেসবকে এড়িয়ে চলি। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, তোমরা কেন এমন কথা বল যা নিজেরা কর না? এটা আল্লাহর কাছে খুবই অপছন্দনীয়। এ জন্যই দেখা যায় মহানবী (সা.) যে দিন খেজুর খেয়েছেন সেদিন অতিরিক্ত খেজুর খেতে অভ্যস্ত শিশুকে ওই বদ-অভ্যাস দূর করার জন্য সেদিন কিছুই না বলে অন্য দিন উপদেশ দিয়েছেন।
যারা কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বয়স্কদের বা বড়দের সম্মান করে না, স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজেরাও একদিন ছোটদের মাধ্যমে অপমানিত হয়। একই ধরনের কথা বাবা-মায়ের প্রতি সম্মানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যারা নিজ বাবা মায়ের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে, তারাও একদিন নিজ সন্তানের কাছ থেকে কঠোর আচরণের শিকার হবে।
ইসলামের নৈতিক উপদেশমালায় বলা হয় যে ছোটদেরকে সন্তানের মত স্নেহ কর এবং বড়দের বা বড় ভাইকে বাবার মত সম্মান কর। অন্যের ব্যাপারে হীন ধারণা রাখাও পাপ। অন্যদিকে সুধারণা রাখা সাওয়াবের কাজ। তাই বয়সের দিক থেকে ছোটদেরকে ভাবতে হবে উনি বয়সে বড় বলে নিশ্চয়ই উনার সৎকর্মের পরিমাণ আমার চেয়ে বেশি। অন্যদিকে ছোটদের ব্যাপারে বয়স্ককে এটা ভাবতে হবে যে, বয়স কম বলে তারা আমার চেয়ে নিশ্চয়ই কম পাপ করেছে।
অন্যদের দোষ গোপন রাখাও অত্যন্ত বড় মাপের উদারতা ও সাওয়াবের কাজ। একবার কোনো এক মহান আলেম অন্য এক বয়স্ক ব্যক্তির একটি মন্দ বিষয় শুনে ফেলেন। কিন্তু শোনা সত্ত্বেও তিনি অন্যদের সামনে এমন ভাব করলেন যেন তিনি কিছুই শোনেননি। ওই ব্যক্তি লজ্জিত অবস্থায় আলেমের সঙ্গে কথা বলতে আসলে তিনি বলতে থাকেন, কি বলছেন? আরো জোরে বলুন। ...না- না, এখনও শুনতে পারছি না, বুঝতে পারছি না ইত্যাদি। ওই মহান আলেম এই ব্যক্তিকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এরপর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কানে কম-শোনা ব্যক্তির মতই আচরণ করে গেছেন!
যারা অন্যের দোষ গোপন করে তারা আল্লাহ ও মহাপুরুষদের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন বলে অনেক কাহিনী ও বর্ণনা রয়েছে।
মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা, দুই-জনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করার মত কিছু বলা বা করা, অহেতুক কারো সম্পর্কে খারাপ ধারণা করা বা সন্দেহ পোষণ করা মারাত্মক পাপ। এইসব পাপের শাস্তি রহিত করার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। অথবা তা যদি সম্ভব না হয় তবে তার নামে সদকা দেয়া, তার জন্য সব সময় ক্ষমা প্রার্থনা করা ও তার হয়ে দরুদ পাঠ করা ইত্যাদি জরুরি।
বিশে রমজানের রাত তথা একুশে রমজান আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.)'র শাহাদত-বার্ষিকী। একুশে রমজান পৃথিবী হারিয়েছিল বিশ্বনবী-(সা.)'র শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও শ্রেষ্ঠ অনুসারীকে, হারিয়েছিল বিশ্বনবী-সা:'র জ্ঞান-নগরীর মহা-তোরণকে, হারিয়েছিল রাসূল (সা:)'র পর সবচেয়ে দয়ালু ও উদার আত্মার অধিকারী মানুষ এবং হেদায়াতের উজ্জ্বলতম প্রদীপকে। সেদিন মুসলিম বিশ্ব তার অত্যন্ত দুঃসময়ে হারিয়েছিল সাধনা ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার সর্বোত্তম আদর্শকে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:)'র নিজ হাতে গড়ে তোলা ইসলামের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ও সবচেয়ে আপোষহীন নেতাকে। কিন্তু অকাল-মৃত্যু সত্ত্বে আমীরুল মু'মিনীন হযরত আলী (আঃ)’র শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের স্বর্গীয় আলোকোজ্জ্বল প্রভা যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে আদর্শ মুমিনের কর্মতৎপরতার গভীরে অতুলনীয় ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করে চলেছে। সেই আমীরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আঃ)'র শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সবার প্রতি আমরা জানাচ্ছি অশেষ সমবেদনা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর মতে,
আলী (আ.) ছিলেন যুবকদের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার আদর্শ, সরকার-প্রধানদের জন্য ন্যায়বিচারের আদর্শ, ইবাদত, খোদা-প্রেম ও ভারসাম্যপূর্ণ অনাড়ম্বর জীবনের জন্য সব মুমিন মুসলমানের জন্যই আদর্শ। তাঁর মুক্তিকামীতা বিশ্বের সব মুক্তিকামীর আদর্শ এবং প্রজ্ঞাময় বক্তব্য ও চিরস্মরণীয় উপদেশগুলো আলেম, বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের জন্য আদর্শ।
আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব নদী-দখলকারী শত্রুরা যার বাহিনীর জন্য নদীর পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করলে সেই শত্রুদের পরাজিত করার পরও তিনি ওই নদীর পানি কোনো শত্রুর জন্য নিষিদ্ধ করেননি। জালিমদের বিরুদ্ধে আলী (আ.) সবচেয়ে কঠোর হলেও তিনি ব্যক্তিগত ক্রোধের বশে নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাদের ওপর আঘাত হানতেন।
সিফফিনের যুদ্ধের প্রাক্কালে উভয়পক্ষের লোকক্ষয় এড়ানো ও বিদ্রোহীদের সুপথে আনার জন্য তিনি এত বেশী অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছিলেন যে, সে সময় শত্রুরা এ প্রচারণা চালিয়েছিল যে মহাবীর আলী (আ.) মৃত্যুকে ভয় পান! অথচ শিশুর কাছে মাতৃস্তন যতটা প্রিয় শাহাদত ছিল আলীর কাছে তার চেয়েও বেশি প্রিয়।
হযরত আলী (আঃ) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে রাসূলে পাক (সা:) বলেছেন, মুসার সাথে হারুনের যে সম্পর্ক তোমার সাথে আমার সেই সম্পর্ক, শুধু পার্থক্য হল হারুন (আঃ) নবী ছিলেন, তুমি নবী নও।
রাসূল (সা.) বলেছেন, " আমি জ্ঞানের নগরী, আলী তার দরজা, যে কেউ আমার জ্ঞানের মহানগরীতে প্রবেশ করতে চায় তাকে এ দরজা দিয়েই আসতে হবে"।
মহানবী (সা:) আরো বলেছেন:
হে আম্মার! যদি দেখ সমস্ত মানুষ একদিকে চলে গেছে, কিন্তু আলী চলে গেছে অন্য দিকে, তবুও আলীকে অনুসরণ কর, কারণ, সে তোমাকে ধ্বংসের দিকে নেবে না।
বিশ্বনবী (সা:) আরো বলেছেন:
* আমি আলী থেকে, আর আলী আমার থেকে, যা কিছু আলীকে কষ্ট দেয়, তা আমাকে কষ্ট দেয়, আর যা কিছু আমাকে কষ্ট দেয় তা আল্লাহকে কষ্ট দেয়।
* হে আলী! ঈমানদার কখনও তোমার শত্রু হবে না এবং মোনাফেকরা কখনও তোমাকে ভালবাসবে না।
অনেক সাহাবী এ হাদিসের ভিত্তিতেই মোনাফেকদের সনাক্ত করতেন।
রাসূলে পাক (সা:)'র স্ত্রী বিবি আয়শা হযরত আলী (আঃ)'র শাহাদতের খবর শুনে বলেছিলেন,
"হে রাসূল! তোমার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র শাহাদত বরণ করেছেন। আজ এমন এক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন যিনি ছিলেন রাসূল (সা:)'র পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ।"
ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, "সব ধরনের নীচতা ও কৃত্রিমতা বা মিথ্যার বিরুদ্ধে আলী (আ.)'র ছিল মহত সমালোচনা এবং আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক সব ধরনের কূটচাল থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।"
ঐতিহাসিক মাসুদির মতে, রাসূল (সা.)'র চরিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল যার ছিল তিনি হলেন আলী (আ.)।
শাহাদত-প্রেমিক আলী(আ.) যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, তাঁর সঙ্গীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সবাই কাঁদছে, চারিদিকে ক্রন্দনের শব্দ, কিন্তু আলী (আ.)-এর মুখ হাস্যোজ্জ্বল। তিনি বলছেন,
“আল্লাহর শপথ! আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম কি হতে পারে যে, ইবাদতরত অবস্থায় শহীদ হব?”
ঘাতকের প্রাণঘাতী আঘাতে ধরাশায়ী আমিরুল মু'মিনিন এ ঘটনা নিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি বা অবিচার না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন,
“আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানেরা তোমরা এমন যেন না কর, যখন আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নেব তখন মানুষের উপর হামলা করবে এ অজুহাতে যে, আমীরুল মু'মিনীনকে শহীদ করা হয়েছে। অমুকের এটার পেছনে হাত ছিল, অমুক এ কাজে উৎসাহিত করেছে। এসব কথা বলে বেড়াবে না, বরং আমার হত্যাকারী হল এই ব্যক্তি।”
আলী (আ.) ইমাম হাসান (আ.)-কে বলেছিলেন,
“বাবা হাসান! আমার মৃত্যুর পর যদি চাও আমার হত্যাকারীকে মুক্তি দেবে তাহলে মুক্তি দিও, যদি চাও কিসাস গ্রহণ করবে তাহলে লক্ষ্য রাখবে, সে তোমার পিতাকে একটি আঘাত করেছে, তাকেও একটি আঘাত করবে। যদি তাতে মৃত্যুবরণ করে তো করল, নতুবা ছেড়ে দেবে।”
তারপর আবার বন্দির চিন্তায় মগ্ন হলেন আলী (আ.)। বন্দিকে ঠিক মতো খেতে দিয়েছ তো? পানি দিয়েছ খেতে? ঠিক মতো দেখাশোনা কর ওর। কিছু দুধ তাঁর জন্য আনা হলে কিছুটা খেয়ে বললেন, বাকীটা বন্দিকে দাও।
হযরত আলী (আঃ) নিজেকে সব সময় জনগণের সেবক বলে মনে করতেন এবং সব সময় অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। দ্বিতীয় খলিফা বলেছেন, আলী ইবনে আবি তালিবের মতো আরেকজনকে জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নারীকূলের কারো নেই, আলী না থাকলে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত।
জীরার ইবনে হামজা তাঁর প্রিয় নেতার গুণাবলী তুলে ধরতে গিয়ে বলেছিলেন,
"আলীর ব্যক্তিত্ব ছিল সীমাহীন, তিনি ক্ষমতায় ছিলেন দোর্দণ্ড, তাঁর বক্তব্য ছিল সিদ্ধান্তমূলক, তাঁর বিচার ছিল ন্যায়ভিত্তিক, সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল, তাঁর প্রতিটি আচরণে প্রজ্ঞা প্রকাশিত হত। তিনি মোটা বা সাদামাটা খাদ্য পছন্দ করতেন এবং অল্প দামের পোশাক পছন্দ করতেন। আল্লাহর কসম, তিনি আমাদের একজন হিসেবে আমাদের মাঝে ছিলেন, আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন, আমাদের সকল অনুরোধ রক্ষা করতেন। তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ অনুভূতি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সম্বোধন করে কিছু বলতে ও প্রথমে কথা বলতে আমরা ভয় পেতাম না। তাঁর হাসিতে মুক্তা ছড়িয়ে পড়তো। তিনি ধার্মিকদের খুব সম্মান করতেন। অভাবগ্রস্তের প্রতি খুবই দয়ালু ছিলেন। এতিম, নিকট আত্মীয় ও অন্নহীনকে খাওয়াতেন। তিনি বস্ত্রহীনে বস্ত্র দিতেন ও অক্ষম ব্যক্তিকে সাহায্য করতেন। তিনি দুনিয়া ও এর চাকচিক্যকে ঘৃণা করতেন। আমি আলী ইবনে আবি তালিবকে গভীর রাতে বহুবার এ অবস্থায় মসজিদে দেখেছি যে তিনি নিজ দাড়ি ধরে দাঁড়িয়ে এমনভাবে আর্তনাদ করতেন যেন সাপে কামড় খাওয়া মানুষ এবং শোকাহত লোকের মতো রোদন করে বলতেন, হে দুনিয়া, ওহে দুনিয়া, আমার কাছ থেকে দূর হও! আমাকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করো না!"
হযরত আলী (আঃ)' বলেছেন, 'বাহ্যিক অলংকার ও পোশাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্য নয়, সৌন্দর্য হল-জ্ঞান ও সভ্যতা। যার পিতা-মাতা মারা গেছে সে এতীম নয়, প্রকৃত এতীম সে যার মধ্যে জ্ঞান ও বিবেক নেই।'
এবারে শুনুন অর্থসহ ২০ রোজার দোয়া:
اليوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لي فيهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّي فيهِ اَبْوابَ النّيرانِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، يا مُنْزِلَ السَّكينَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী। #
source : irib.ir