আবনা ডেস্ক : ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে কোটি কোটি মানুষ কুদস দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি রমজানের শেষ শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে এ দিবস।
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশের অন্তত ৮০০ ছোট-বড় শহরে কুদস দিবসের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে কোটি কোটি জনতা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা জানান। তারা ইসরাইল ধ্বংস হোক- নিপাত যাক বলে শ্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা গাজা উপত্যকার উপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি অবরোধ এবং এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তারা দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তাদের সমর্থক বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। ইরানের বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল, গ্রুপ ও ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ আজকের মিছিলে অংশ নিয়েছে।
এদিকে, তেহরানে বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিল শেষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাইলি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মানবাধিকার সংস্থা, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে যুদ্ধাপরাধ ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে, ইরানের জনগণ মনে করে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধার এবং ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তেহরানে বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিলে প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ছাড়াও ভাইস প্রেসিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী, ইসলামী সংস্কৃতি ও দিক নির্দেশনামন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সংসদ স্পিকার ও সংসদ সদস্যরাসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যুবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।
ইরানের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং ভারতেও বিশ্ব কুদস দিবসের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও কুদস দিবস পালিত হয়েছে, ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, মিশর, ইয়েমেন, আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাহরাইনসহ আরো বহু দেশে।#
source : abna