আবনা ডেস্ক : সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইসমাইল হোসেন আবলুছকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
সিলেটের মহানগর হাকিম ফারহানা ইয়াসমিন মঙ্গলবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার গ্রেপ্তার ৩২ বছর বয়সী এই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি আলমগীর হোসেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা-ের ঘটনায় এ নিয়ে গ্রেপ্তার দুই জনকে রিমান্ডে পেল পুলিশ।
গত ৮ জুলাই রাজনের লাশসহ গ্রেপ্তার মুহিত আলমকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে আরও তথ্য উদঘাটন করতে মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগমকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রাজনকে পিটিয়ে হত্যার অন্যতম আসামি প্রবাসী কামরুল ইসলাম সোমবার সৌদি আরবে ধরা পড়েন, যিনি ঘটনার পরপরই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার সকালে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের রাজনকে। নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় জালালাবাদ থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে, যাতে মুহিত, তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি দুই আসামি হায়দার ও ময়নাকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
source : abna