আবনা ডেস্ক : সিলেটের শিশু সামিউল আলমকে (রাজন) নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদসহ দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম মো. আনোয়ারুল হকের কাছে নূর আহমদ (২৪) ও দুলাল আহমদ (৩২) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন।
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে নূর আহমদ ভিডিও ধারণ করার পুরো বর্ণনা দেন। তিনি জানান কামরুলের নির্দেশেই তিনি ভিডিও ধারণ করেন। তবে তাঁর মাধ্যমে ফেসবুকে ভিডিও ছাড়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। শিশু রাজনের মৃত্যুর খবর তিনি পরে জানতে পারেন। এ কারণে তিনি ভয়ে পালিয়েছিলেন।
অন্যদিকে দুলাল আহমদ ঘটনার সময় শুধু উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে জবানবন্দিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। দুজনের জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনার সঙ্গে ভিডিওচিত্রের মিল রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
এ দুজনকে মা-বাবা ধরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশে দিয়েছিলেন। সামিউলকে যেখানে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেই জায়গার পাশেই নূর আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি মুঠোফোনে ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ড ধরে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছিলেন। ১৫ জুলাই রাতে ঘটনাস্থলের অদূরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাঙ্গাইল এলাকার বাড়ি থেকে নূরকে তাঁর বাবা নিজামউদ্দিন পুলিশে দেন। এ সময় তিনি ছেলে অপরাধী হলে শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানান। একইভাবে ১৪ জুলাই দুলাল আহমদকে (৩২) তাঁর মা রাজিবুন নেছা এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। দুজনই ওই সময় পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার সময় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছিল।
source : abna