আবনা ডেস্ক : লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ'র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আমেরিকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থার লক্ষ্য হতে পেরে হিজবুল্লাহ গর্ববোধ করছে। হিজবুল্লাহ'র তিন কর্মকর্তার ওপর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক দিনের মধ্যে এ মন্তব্য করলেন তিনি। সিরিয়ায় তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ’র সামরিক অভিযানের অজুহাতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা।
সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, ইহুদিবাদী প্রকল্প, আরো ভালো করে বলতে গেলে তাকফিরি প্রকল্পের বিরুদ্ধে নিজ ভূখণ্ড রক্ষা করবে হিজবুল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার আগে বা পরে সমভাবেই মহাশয়তান হিসেবেই বিরাজ করবে আমেরিকা।
এ ছাড়া, হিজবুল্লাহ'র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও পরিষ্কার ভাষায় নাকচ করে দেন হাসান নাসরুল্লাহ। হিজবুল্লাহ’র ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার প্রচারণার অংশ হিসেবে এ অভিযোগ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিছক চরিত্র হননের উদ্দেশ্যেই এ জাতীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। হিজবুল্লাহর কোনো বাণিজ্যিক বা আর্থিক সংগঠন নেই বলে হাসান নাসরুল্লাহ জানান।
ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু আলোচনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ফলে হিজবুল্লাহ'র দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তাও নাকচ করে দেন হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, শত্রুরা বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে এ জাতীয় দাবি করছে।
হিজবুল্লাহ’র মতো মিত্রদের প্রতি ইরানের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু আলোচনার মধ্য দিয়ে এ সম্পর্ক ছিন্ন হবে না। ইরানের প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, হিজবুল্লাহ প্রসঙ্গে ইরানের ভূমিকার কোনো পরিবর্তনই হবে না।'#
source : abna