আবনা ডেস্ক : উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএলের হয়ে যুদ্ধরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক ব্রিটিশ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া আসাদ উজ্জামান সম্প্রতি নিহত হয়েছে বলে লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক গার্ডিয়ান খবর দিয়েছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আসাদুজ্জামানসহ মোট পাঁচজনের একটি দল নিজেদের নাম দিয়েছিল ‘ব্রিটানি ব্রিগেড বাংলাদেশি ব্যাড বয়েজ।’
২৫ বছর বয়সি আসাদ উজ্জামান ও তার দল ২০১৩ সারের অক্টোবরে ব্রিটেনের গ্যাটউয়িক বিমানবন্দর দিয়ে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। ওই পাঁচজনের চারজন এরইমধ্যে নিহত হয়েছে এবং পঞ্চম জন ব্রিটেনে ফিরে গেলে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে মাসুদুর চৌধুরি নামক ওই সন্ত্রাসী ব্রিটিশ কারাগারে বন্দি রয়েছে।
যেসব ব্রিটিশ জঙ্গি সর্বপ্রথম আইএসআইএল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল তাদের অন্যতম হচ্ছে ইফতেখার জামান নামের এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবক। তার প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে আসাদ উজ্জামানের দলটি সিরিয়ায় যায়। ইফতেখার জামান ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় নিহত হয়।
ইফতেখারের চাচাতো ভাই আসাদ হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকে নিহত ৫০তম ব্রিটিশ নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকফিরি সন্ত্রাসীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর তৎপরতা মনিটরকারী লন্ডনভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শিরাজ মাহের প্রথম আসাদ উজ্জামানের নিহত হওয়ার খবর দেন।
দুই বছর আগে আসাদের সঙ্গে আরো যে চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সিরিয়ায় গিয়েছিল তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান। তারা হচ্ছে মাসুদুর চৌধুরি (৩১), মোহাম্মাদ মেহদি হাসান (১৯), মোহাম্মাদ মামুনুর রশীদ (২৪) এবং মোহাম্মাদ হামিদুর রহমান (২৫)। হামিদুর রহমান ২০১৪ সালের জুলাইয়ে এবং মামুনুর রশীদ একই বছরের অক্টোবরে নিহত হয়। এ ছাড়া, ২০১৪ সালেরই অক্টোবরে সিরিয়ার কুবানিতে কুর্দি পিশমার্গা যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই নিহত হয় মেহদি হাসান।
ব্রিটেন আইএসআইএল বিরোধী কথিত আন্তর্জাতিক জোটের অন্যতম শরীক হলেও সিরিয়া এবং ইরাকে এখনো শত শত ব্রিটিশ নাগরিক এ জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে যুদ্ধ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।#
source : abna