বাঙ্গালী
Tuesday 26th of November 2024
0
نفر 0

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পাহাড় ধসে নিহত ৭

আবনা ডেস্ক : লামা উপজেলায় পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ৬ জনে উন্নীত হয়েছে। উপজেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় শুক্রবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫টি পরিবারের ৭ জন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শনিবার বিকাল পর্যন্ত মাটি চাপায় নিহত ৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। একজন নারীর লাশ এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।
রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পাহাড় ধসে নিহত ৭

আবনা ডেস্ক : লামা উপজেলায় পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ৬ জনে উন্নীত হয়েছে। উপজেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় শুক্রবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫টি পরিবারের ৭ জন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শনিবার বিকাল পর্যন্ত মাটি চাপায় নিহত ৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। একজন নারীর লাশ এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।
উদ্ধারকৃত লাশগুলোর পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন, আমেনা বেগম ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন, বশির আহমদ ও তার ছেলে মো. সাগর হোসেন, রোজিনা বেগম ও তার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত ছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসন নিহতদের প্রত্যেকের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা করে এবং পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রতিজনের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছেন। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কশৈহ্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কাজী মো. মজবিুর রহমান, জহিরুল ইসলমা ও পারুল বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। বাজালিয়া এলাকায় প্রধান সড়কের ওপর এখনও ৩-৪ ফুট বানের পানির নিচে। ফলে দু’দিন ধরে জেলা সদর সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। লামা উপজেলা সদরের দমকল বাহিনী, উপজেলা হাসপাতাল, উপজেলা পশুসম্পদ অফিস, কৃষি বিভাগ ও নিচু এলাকাগুলো ৩-৪ ফুট পানির নিচে এখনও। রামজাদি এলাকায় পাহাড় ধস ও বানের পানিতে বেইলি সেতু তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রামজাদি থেকে বড়ুয়াপাড়া পর্যন্ত আধাকিলোমিটার বেইলি সেতুসহ সড়কপথের ওপর নৌকা দিয়ে শত শত মানুষ পারাপার করছেন। স্বর্ণ মন্দিরের কাছে পুলপাড়ায় বেইলি সেতু এবং সেনানিবাস এলাকার সড়কপথ বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে রাঙ্গামাটি জেলার সড়কপথ বন্ধ বুধবার থেকে। প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কপথ পাহাড়ি ঢলের পানিতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় ২৪ জুলাই থেকে রুমা ও থানছি উপজেলা সদরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, লামায় পাহাড় ধসের ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদকে ত্রাণসহ পাঠানো হয়েছে। জেলায় ২৪টি বন্যাআশ্রয় কেন্দ্র এখনও চালু রয়েছে।
রাঙ্গামাটি : কাউখালী উপজেলায় পাহাড় ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোররাতে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের কালিছড়ি নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম নাইমুরি মারমা। এছাড়াও পাহাড় ধসের আরেক পৃথক ঘটনায় একই উপজেলার কাশখালীতে শামীমা আক্তার নামে আরেক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে নির্মাণ করা নিজ মাটির ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নাইমুরি মারমা তাৎক্ষণিক মারা যান। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
সাভার : শনিবার সাভার পৌর এলাকার দেওগাঁও দক্ষিণপাড়া এলাকায় মাটির ঘর ভেঙে ঘরের নিচে চাপা পড়ে তৈয়র আলী দেওয়ান নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তার বাড়ি ফরিদপুরের জাজিরা থানার জাজিরা গ্রামে। শুক্রবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নাজমুল নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে আশুলিয়ার গেরুয়া এলাকার এক মাদ্রাসার ছাত্র।


source : abna
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদার ...
আবনা : ইয়েমেন আগ্রাসীদের ...
সিরিয়া- লেবানন অভিন্ন সীমান্তে ...
বাহরাইনে ইমাম হোসাইন (আ.)এর ...
পশ্চিমবঙ্গে প্রবীণ খ্রিস্টান ...
মোরায় কক্সবাজারে দুই শতাধিক ...
ক্যান্সার দিবস : যে লক্ষণগুলো ...
আনসারুল্লাহ'র দখলে সৌদি আরবের ...
২৮০ জন শরণার্থীকে সমুদ্রে ...
সন্ত্রাসবাদ রুখতে ঐক্যবদ্ধ ...

 
user comment