আবনা ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) সদস্যরা সন্তানসহ তাকে জিম্মি করে রেখেছিল। কোনক্রমে সেই বন্দিদশা থেকে ৪ শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে এখন তিনি অবস্থান নিয়েছেন ইরাকের দোহুক এলাকার একটি আশ্রয় শিবিরে। বন্দিদশায় থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের আচরণ ও তাদের প্রশিক্ষণের ধরনের বিষয়ে ইজাদি সম্প্রদায়ের ওই নারী ভয়ে শিউরে ওঠার মতো কিছু তথ্য দিলেন। তার বিবরণে উঠে এলো কিভাবে আইএসআইএল নৃশংসতার প্রশিক্ষণ দেয়, তাদের কি খেতে দেয়া হয়- এ সমস্ত তথ্য। মেইল অনলাইন বিশেষ এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। ওই নারী বলছিলেন, ৪ বছর বয়সী সর্বকনিষ্ঠ সন্তানটিকে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কেড়ে নেয় আইএসআইএলের সদস্যরা। এরপর শিশুটিকে আইএসআইএলের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির মা বলছিলেন, ইজাদি সম্প্রদায়ের মানুষরা ‘কাফের’, তার শিশুপুত্রকে এমন শিক্ষা দেয় সন্ত্রাসীরা। ৪ বছরের শিশুটির হাতে একটি তলোয়ার তুলে দিয়ে তাকে বলা হয়, ইজাদিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসীরা তাকে কোরআন শরীফ ও নামাজ পড়তে, আরবি ভাষায় কথা বলতে, তলোয়ারের ব্যবহার ও শরীয়াহ আইন শেখায়। এ বিষয়গুলো ও জঙ্গিদের কর্মকান্ড কিছুই বোঝার বয়স এখনও হয়নি তার। তবে একটি বিষয় রপ্ত করে নিয়েছে তার শিশু মস্তিষ্ক। ৪ বছরের ওই ছোট্ট শিশুর কাছে যখন জানতে চাওয়া হলো, প্রশিক্ষণ শিবিরে তাকে কি শেখানো হয়েছে, সে তার গলায় আঙুল দিয়ে একটি রেখা টেনে গলা কেটে মানুষ হত্যার ইঙ্গিত করলো। এমনকি শিশুটির হাতে তলোয়ার তুলে দিয়ে জঙ্গিরা বলেছিল, এটা তোমার মাকে হত্যার জন্য। বন্দি থাকার সময় সন্ত্রাসীরা পরিবারটির সঙ্গে যে আচরণ করেছিল, তা মনে করে এখনও আঁৎকে ওঠেন ওই নারী। তিনি বলছিলেন, বন্দিদের খাবারের সঙ্গে আফিম থেকে প্রস্তুতকৃত মরফিন জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হতো, যাতে তারা পালাতে না পারে। তিনি আরও জানান, পানির সঙ্গে মূত্র মেশানো থাকতো এবং খাবারের সঙ্গে থাকতো কাঁচের টুকরা। বর্তমানে ওই মা তার ৪ শিশু সন্তানসহ ইরাকের দোহুকের একটি শরণার্থী শিবিরে থাকছেন। ২০১৪ সালের আগস্টে আইএস তাদের বন্দি করেছিল। জিম্মি থাকার সময়ই ওই নারীর ১৪ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে অপর এক সন্ত্রাসীর কাছে বিক্রি করা হয়। তার ১২ বছরের এক শিশুপুত্রকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়।#
source : abna