বাঙ্গালী
Tuesday 26th of November 2024
0
نفر 0

আবারো অনশনে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অবৈতনিক মাদ্রাসা শিক্ষকরা

আবনা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে আবারো আন-এডেড বা সরকারস্বীকৃত অবৈতনিক মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরণ অনশন করতে যাচ্ছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোলকাতার মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সামনে তারা অনশন-অবস্থান শুরু করবেন। গত ২২ জুলা
আবারো অনশনে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অবৈতনিক মাদ্রাসা শিক্ষকরা

আবনা ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে আবারো আন-এডেড বা সরকারস্বীকৃত অবৈতনিক মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরণ অনশন করতে যাচ্ছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোলকাতার মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সামনে তারা অনশন-অবস্থান শুরু করবেন। গত ২২ জুলাই শিক্ষকরা সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সামনে অনশন শুরু করেন। পরে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবের আশ্বাস পেয়ে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
আজ (শনিবার) ‘আন-এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি’র প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত ২২ জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা দফতরের সচিব সৈয়েদ আহমেদ বাবা এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এ পর্যন্ত এ নিয়ে সরকারি তরফে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় আবারো আন্দোলনের পথে যেতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘৯ দফা দাবির ভিত্তিতে অনশন এবং অবস্থানের ডাক দেয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা এই আন্দোলনে শামিল হবেন।’
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান আজ বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৩৭টি মাদ্রাসা অনুমোদন দিলেও তার আর্থিক এবং উন্নয়নের দায়ভার গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে, প্রায় দেড় হাজারের বেশি মাদ্রাসা অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও অজ্ঞাত কারণে তা দেয়া হচ্ছে না। যেসব মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে, তাদের মিড ডে মিল, বিল্ডিং গ্রান্ট, অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ, এমপি এবং এমএলএ কোটার উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে না।’  
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের জন্য মাল্টি-সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বা ‘এমএসডিপি’ প্রকল্পে শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন,  স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পাকা বাড়ি নির্মাণ, সড়ক, খাওয়ার পানি, আয়ের জন্য প্রকল্প তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রকল্পে সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে। আমরা অনুমোদিত মাদ্রাসায় ‘এমএসডিপি’ প্রকল্পে উন্নয়নের দাবি জানিয়েছি। এর পাশাপাশি, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে অনুদান বরাদ্দের দাবি করেছি।’
কামরুজ্জামান বলেন, ‘পরিদর্শন হওয়া মাদ্রাসাগুলোকে অবিলম্বে অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগপত্র ও বেতন চালু করা, ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক এবং তাদের বৃত্তি দেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে সরকারের কাছে।’
এ সব দাবি মানা না হলে বিভিন্ন জেলা সদরে এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ‘আন-এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি’র প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।রেডিও তেহরান


source : abna
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মার্কিন মিত্ররাই সিরিয়ায় ...
তুরস্কে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি খুন
নিউ ইয়র্কে এবার ছুরিকাঘাতে ...
যশোরে ইমাম বাকির (আ.) এর ...
ফিলিস্তিন ও যায়নবাদ প্রসঙ্গ : ...
‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা.)’ মুভি ...
শিশু নীরব হত্যা মামলার প্রধান ...
স্কুলে হিজাব পরায় মার্কিন মুসলিম ...
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ...
আয়াতুল্লাহ জাকজাকি বেঁচে আছেন ...

 
user comment