আবনা ডেস্ক : পশ্চিমা যুবসমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দ্বিতীয় ঐতিহাসিক চিঠি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হাসান হামিদ বলেছেন, পাশ্চাত্যের ভবিষ্যৎ নির্মাতা ও যুবসমাজের কাছেই এ চিঠি পাঠানোর কারণ হল- পশ্চিমা যুবসমাজ বস্তুবাদের কর্তৃত্বের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে আছে। এই যুবসমাজ নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের স্বপ্নের আদর্শ পূরণ করতে চায়।
হাসান হামিদ আরও মনে করেন, পশ্চিমা যুবসমাজ তাদের দেশের পরিবেশকে ঘৃণা করছে। আর এ জন্যই তাদের অনেকেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিচ্ছে। আর যেসব পশ্চিমা যুবক মধ্যপ্রাচ্যে এসে নানা সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ দিয়েছে তাদের বেশিরভাগই যখন এসব গোষ্ঠীর নানা অনাচার ও নৃশংসতা দেখতে পায় তখন তারা আবারও মর্মাহত হয়।
পশ্চিমা যুবসমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দ্বিতীয় ঐতিহাসিক চিঠি প্রসঙ্গে হাসান হামিদ আরও বলেছেন, “এ চিঠি পাশ্চাত্যের এক বিশাল শ্রেণীর সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তুলেছে। পুঁজিবাদ ও বস্তুবাদের শেকলে আষ্টেপৃষ্ঠে ব্ন্দী পশ্চিমা সমাজের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্পষ্ট করাই এ চিঠির উদ্দেশ্য।”
তার মতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পশ্চিমা যুব সমাজকে এটা বলেছেন যে, তাদের সমাজে দাসপ্রথা ও উপনিবেশবাদ চালু ছিল এবং পাশ্চাত্য এখনও অন্যদের অবজ্ঞার চোখে দেখে ও অন্যান্য জাতিকে শোষণ করতে চায়।
উল্লেখ্য, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার চিঠি বিশ্বের মোট ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ইন্টারনেট মাধ্যমগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি পাঠক এই চিঠি ভিজিট করেছেন। #
source : abna24