আবনা ডেস্ক: সৌদি আরব রেকর্ড পরিমাণ বাজেট ঘাটতির মুখে পড়েছে। এ ঘাটতি কমাতে সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করাসহ জ্বালানি খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।
একইসঙ্গে কর এবং বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে সৌদি আরব।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম দিন দিন পড়ে যাওয়ার কারণে সৌদি আরবের অর্থনীতিতে এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রি থেকেই দেশটির ৮০ শতাংশ রাজস্ব আসে। কিন্তু তেলের দাম পড়ে রাজস্ব কমে যাওয়ায় সৌদি আরব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট ঘটতির মুখে পড়েছে।
দেশটির বাজেট ঘাটতি বেড়ে ৩৬ হাজার ৭শ’ কোটি রিয়েল পেরিয়ে গেছে। তেলের দাম পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইয়েমেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে সরকারি ব্যয়ও অনেক বেড়ে গিয়ে আর্থিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
আরব দেশগুলো মধ্যে অর্থনীতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় দেশটির নজিরবিহীন বাজেট ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন সৌদি কর্মকর্তারা। সৌদি আরব সরকারও এবারই প্রথমবারের মতো এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যয় কাটছাঁটের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
সোমবার সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের বাজেট পেশ করে বাজেট ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এক দশকেরও বেশি সয়ের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অশোধিত তেল রপ্তানিকারক এ দেশটির অর্থনৈতিক নীতিতে এবারই সবচেয়ে বড় ধরনের রদবদল দেখা গেছে। রয়েছে কিছু স্পর্শকাতর রাজনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনাও। যেগুলো এর আগে বরাবরই এড়িয়ে চলেছে কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের বাজেট পরিকল্পনায় ঘাটতি কমিয়ে ৩২ হাজার ৬শ’ কোটি রিয়ালে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সৌদি আরব।
অর্থনৈতিক নীতি না বদলালে সৌদি আরব আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে গত অক্টোবর মাসে সতর্ক করেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।
এখন সৌদি আরব নতুন যে বাজেট পরিকল্পনা নিয়েছে তার সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করছে রিয়াদের অর্থবাজারে আস্থা ধরে রাখার ওপর।
source : abna24